Wednesday, September 3, 2014

পর্যালোচনা হবে প্রকাশ্য আদালতে:প্রথম অালো

ফাঁসির আসামিদের কাছে আশার আলো পৌঁছে দিলেন ভারতের সুপ্রিম কোর্ট। রায় পর্যালোচনার জন্য তাদের আবেদন এবার থেকে তিন বিচারপতির বেঞ্চ প্রকাশ্য আদালতে শুনবেন। এত দিন পর্যালোচনার আবেদন বিচারপতিরা তাঁদের চেম্বারে একান্তে বিবেচনা করতেন। সেখানে আবেদনকারীর আইনজীবীদের থাকার অধিকার ছিল না। ফলে তাঁদের বক্তব্যও বিবেচিত হতো না। এই রায়ের মাধ্যমে প্রকাশ্য আদালতে আইনজীবীদের উপস্থিতি মেনে নেওয়া হলো। এত দিন ধরে চ
লে আসা নিয়ম অনুযায়ী ফাঁসির আসামিরা রায় পর্যালোচনার সুযোগ পেতেন। পর্যালোচনা শেষে বিচারপতি রায় বহাল রাখলে আসামিরা রাষ্ট্রপতির ক্ষমা ভিক্ষা করতে পারতেন। রাষ্ট্রপতির ক্ষমা না পেলে ‘কিউরেটিভ আপিলের’ অধিকার আসামির ছিল। সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি রাজেন্দ্র মল লোধার নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের সংবিধান বেঞ্চ এই অধিকারগুলো অপরিবর্তিত রেখেও আশার আলো সঞ্চার করেছেন। গতকাল মঙ্গলবার এই বেঞ্চ রায় দিয়েছেন, কিউরেটিভ আপিল করা হয়নি বা তা বিবেচিত হয়নি এমন আসামিরা রায় পর্যালোচনার (রিভিউ পিটিশন) আবেদন জানালে তা অন্তত তিনজন বিচারপতির বেঞ্চকে বিবেচনা করতে হবে। এবং তা করতে হবে প্রকাশ্য আদালতে। সেই বিবেচনায় আসামিপক্ষের আইনজীবীদের বক্তব্য, যুক্তি ও আইনি ব্যাখ্যাও শুনতে হবে। সংবিধান বেঞ্চ বলেছেন, অন্তত আধ ঘণ্টা আবেদনকারীর যুক্তি শুনতে হবে বিচারপতিদের। এই রায়ের ফলে যেসব ফাঁসির আসামির রায় পর্যালোচনার আবেদন খারিজ হয়ে গেছে অথচ ফাঁসি কার্যকর হয়নি, তাঁরা আরও একবার সুযোগ পাবেন। সংবিধান বেঞ্চ জানিয়েছেন, আগামী এক মাসের মধ্যে তাঁদের নতুন করে পর্যালোচনার আবেদন জানাতে হবে। ১৯৯৩ সালের মুম্বাই বিস্ফোরণের খলনায়ক ইয়াকুব আবদুল রাজ্জাক মেনন ও ২০০০ সালের লাল কেল্লা বিস্ফোরণে অভিযুক্ত মোহাম্মদ আরিফসহ আটজন ফাঁসির আসামির আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সংবিধান বেঞ্চ এই রায় দেন। তাঁদের আবেদন ছিল, রায় পর্যালোচনার আবেদন গোপনে বিবেচনার পরিবর্তে প্রকাশ্য আদালতে শোনা উচিত। শুধু তাই নয়, এই পর্যালোচনার আবেদন বিবেচনা করা উচিত অন্তত তিনজন বিচারপতির। এই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতেই সুপ্রিম কোর্টের সংবিধান বেঞ্চ বিষয়টি বিবেচনা করেন। যুগান্তকারী এ রায় দিয়ে আদালত বলেন, এটা প্রত্যেকের মৌলিক অধিকার। এর ফলে কিউরেটিভ আপিল খারিজ হয়নি এমন আসামিরা বাঁচার আর একটা সুযোগ পাবেন।

No comments:

Post a Comment