রাজধানীর শ্যামপুরে গত রাতে স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা রিয়াজুল ইসলাম লালুকে (৩৫) সন্ত্রাসীরা গুলি করে হত্যা করেছে। সন্ধ্যার পরে শ্যামপুরের ব্রিজ এলাকায় নিজ ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানে অবস্থানকালে দুষ্কৃতকারীরা তাকে এলোপাতাড়ি গুলি চালিয়ে হত্যা করে। স্থানীয় ও হাসপাতাল সূত্র জানায়, রিয়াজুল ইসলাম লালু শ্যামপুর ইউনিয়নে স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি। তিনি ইট-বালুর ব্যবসায় করতেন। শ্যামপুর ব্রিজ সংলগ্ন এলাকায় আল মক
্কা এন্টারপ্রাইজ নামে তার ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান রয়েছে। নিহতের চাচাতো ভাই রুবেল জানান, সন্ধ্যা সোয়া ৭টায় লালু তার নিজ ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানে বসা ছিলেন। এ সময় কয়েক দুষ্কৃতকারী এসে তাকে লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলি করে পালিয়ে যায়। লোকজন মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে ৮টার দিকে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তার বুক, পেট, হাত ও পায়ে গুলিবিদ্ধ হয়েছে। হত্যাকাণ্ডের কারণ সম্পর্কে পরিবারের পক্ষ থেকে কেউ কিছু জানাতে পারেনি। তবে স্থানীয় সূত্র জানায় এলাকার সন্ত্রাসী নবী গ্রুপের সাথে তার দ্বন্দ্ব চলছিল। লালুর পিতার নাম মোক্তার হোসেন। শ্যামপুরের ১ নম্বর আফসার করিম রোডে তার বাড়ি। লালুর অনি (৮) ও অমি (৪) নামে দুই সন্তান রয়েছে। দুই ভাই ও তিন বোনের মধ্যে তিনি ছিলেন বড়। আজ ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ মর্গে পোস্টমর্টেম শেষে লালুর লাশ নামাজে জানাজার জন্য শ্যামপুরে নিয়ে যাওয়া হবে। পরে শ্যামপুর কবরস্থানে তার লাশ দাফনের কথা রয়েছে। এ দিকে লালু হত্যাকাণ্ডের খবর ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা হাসপাতালে ছুটে যান। পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল ও হাসপাতাল পরিদর্শন করেন। রাতে হাসপাতালে যান সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট সানজিদা খানম, স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি মোল্লা আবু কাওছার। লালু হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় রাতে পুলিশ সন্দেহজনক হিসেবে নুরুন্নবী ওরফে হাত কাটা নবীকে আটক করেছে বলে পুলিশ সূত্র জানায়। স্থানীয় সূত্র জানায়, নবী ওলামা লীগের শ্যামপুর ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক। লালু ও নবীর মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছিল। এরই জেরে লালু হত্যাকাণ্ডের শিকার হতে পারেন।
No comments:
Post a Comment