হেফাজতে ইসলামসহ বিভিন্ন দল ও সংগঠনের নেতারা এবং দেশের শীর্ষস্থানীয় ওলামায়েকেরাম আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে টেলিযোগাযোগমন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকীকে মন্ত্রিসভা থেকে বহিষ্কার ও তাকে গ্রেফতার করে শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। তারা বলেছেন, মন্ত্রী হজ, মহানবী সা: ও তাবলিগ জামাত সম্পর্কে কটূক্তি করে সারা বিশ্বের মুসলমানদের ঈমানের ওপর আঘাত দিয়েছেন। এমন আচরণ করার পর কারো ঈমান থাকে না। তারা মন্ত্রীর বক্তব্য প্রত্যাহা
র করে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনারও আহবান জানিয়েছেন। তার এ ধরনের নিকৃষ্ট মন্তব্যের প্রতিবাদে গতকাল রাজধানীতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে ইসলামী ঐক্যজোট। হেফাজতে ইসলাম : হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় নেতারা গতকাল এক বিবৃতিতে বলেন, পবিত্র হজ ও হাজীদের কটা করা, মহানবী সা:কে বিদ্রƒপাত্মক ভাষায় তাচ্ছিল্য করার স্পর্ধা দেখিয়ে বর্তমান সরকারের মন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকী নিউ ইয়র্কে যে কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য রেখেছেন তা কেবল একজন উগ্র নাস্তিকের পইে সম্ভব। আমরা অবিলম্বে তাকে মন্ত্রিসভা থেকে বহিষ্কার এবং ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেয়ার অভিযোগে গ্রেফতারপূর্বক সর্বোচ্চ শাস্তি প্রদানের দাবি জানাচ্ছি। বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, যদি সরকার তার বিরুদ্ধে মন্ত্রিসভা থেকে বহিষ্কারসহ দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হয় তবে দেশের লাখো-কোটি নবীপ্রেমিক আবারো ২০১৩ সালের মতো সারা দেশে নাস্তিকবিরোধী আন্দোলনে নামতে বাধ্য হবে। আমরা একই সাথে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করছি, সরকার ও প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপ যদি তার বিরুদ্ধে যথাযথ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ না করে তাহলে তার জন্য সালমান রুশদি ও তসলিমা নাসরিনের পরিণতি অপো করছে। বাংলাদেশের মাটিতে তাকে পা রাখতে দেয়া হবে না; সেই সাথে সংখ্যাগরিষ্ঠ নবীপ্রেমিক জনতা সরকারের হঠকারিতারও উপযুক্ত জবাব দেবে। বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ তার বিরুদ্ধে সারা দেশে তীব্র গণ-আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানান। বিবৃতিদাতারা হলেনÑ হেফাজতে ইসলামের সিনিয়র নায়েবে আমির আল্লামা মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী, নায়েবে আমির মাওলানা নূর হোসাইন কাসেমী, মাওলানা শামসুল আলম, মাওলানা শাহ্ আহমদুল্লাহ আশরাফ, মাওলানা আবদুল মালেক হালিম, মাওলানা তাফাজ্জল হোসাইন হবিগঞ্জ, মুফতি মোজাফফর আহমদ, মাওলানা আবদুল হামিদ পীর সাহেব মধুপুর, মহাসচিব মাওলানা জুনাইদ বাবুনগরী। ইসলামী ঐক্যজোট : টেলিযোগাযোগমন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকীর মন্তব্যের প্রতিবাদে গতকাল বিকেল সাড়ে ৫টায় তাৎক্ষণিকভাবে ইসলামী ঐক্যজোট ঢাকা মহানগরের উদ্যোগে এক বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। মিছিল শেষে তার কুশপুত্তলিকা পুড়িয়েছে জনতা। সমাবেশে বক্তারা বলেন, পবিত্র হজ ও মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সম্পর্কে জঘন্য ধৃষ্টতাপূর্ণ কটূক্তি এবং তাবলিগ জামাত সম্পর্কে অবমাননাকর মন্তব্য করে লতিফ সিদ্দিকী মুরতাদ হয়ে গেছেন। তিনি সারা দুনিয়ার মুসলমানদের অন্তরে আঘাত করেছেন। তার কথায় ১২৫ কোটি মুসলমানের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হচ্ছে। ৭২ ঘণ্টার মধ্যে যদি সে বক্তব্য প্রত্যাহার করে তওবা না করে তবে সারা দেশব্যপী ব্যাপক গণ-আন্দোলন শুরু হবে। প্রয়োজনে তার ফাঁসির দাবিতে লাগাতার হরতালের কর্মসূচি দেয়া হবে। বক্তারা বলেন, তাকে যারা আশ্রয়-প্রশ্রয় দেবে, বা করার অপচেষ্টা করবে এ দেশের ইসলামপ্রিয় নবীপ্রেমিক জনতা তাদেরকেও রেহাই দেবে না। তারাও মুরতাদের কাতারে শামিল হয়ে যাবে। তাদেরকে তসলিমা নাসরীন ও দাউদ হায়দারদের ভাগ্য বরণ করতে হবে। ইসলামী ঐক্যজোট ঢাকা মহানগর সভাপতি মাওলানা আবুল কাশেমের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, ইসলামী ঐক্যজোটের মহাসচিব মুফতি ফয়জুল্লাহ, ভাইস চেয়ারম্যান মাওলানা আবুল হাসানাত আমিনী, মাওলানা যুবায়ের আহমদ, মাওলানা আহলুল্লাহ ওয়াসেল, মুফতি সাইফুল ইসলাম, মাওলানা রিয়াজতুল্লাহ প্রমুখ। জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম : জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের সভাপতি শায়েখ আব্দুল মোমিন, নির্বাহী সভাপতি মাওলানা মোস্তফা আজাদ, সিনিয়র সহসভাপতি আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমী ও মহাসচিব মুফতি মুহাম্মদ ওয়াক্কাস আব্দুল লতিফ সিদ্দিকীর মন্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে অবিলম্বে তার অপসারণ দাবি করেছেন। গতকাল এক বিবৃতিতে জমিয়ত নেতৃবৃন্দ বলেন, এই মহা-উন্মাদ ও পাড় মাতাল মন্ত্রী হওয়ার পর থেকেই বিগত পাঁচ বছর ধরে ক্রমাগত ইসলামের বিরুদ্ধে বিষোদগার করে চলেছেন। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রে বসে পবিত্র হজ, মহানবী সা: ও তাবলিগ জামাতের বিরুদ্ধে দেয়া তার এবারের বক্তব্য ইসলামবিদ্বেষ এবং ধৃষ্টতার সব সীমা অতিক্রম করেছে। এর আগে সেখানে বসে অবৈধ আওয়ামী সরকারের প্রধানমন্ত্রীও ইসলামবিদ্বেষী সা¤্রাজ্যবাদী গোষ্ঠীর কৃপা লাভের আশায় ইসলামি রাজনীতির বিরুদ্ধে বক্তব্য দিয়েছেন। তার কথায় উৎসাহী হয়ে নাস্তিক্যবাদে বিশ্বাসী লতিফ সিদ্দিকী এ রকম চরম ঘৃণ্য উক্তি করার দুঃসাহস পেয়েছে। অবিলম্বে ইসলামবিদ্বেষী লতিফ সিদ্দিকীকে অপসারণ করতে হবে। তাকে প্রকাশ্যে তওবা এবং মুসলিম সমাজের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করতে হবে। নতুবা বিক্ষুব্ধ তৌহিদী জনতার ক্ষোভের অনলে সৃষ্ট যেকোনো পরিস্থির দায়ভার সরকারকেই বহন করতে হবে। খেলাফত আন্দোলন : বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের মহাসচিব মাওলানা মুহাম্মাদ জাফরুল্লাহ খান, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা হাবীবুল্লাহ মিয়াজি, ঢাকা মহানগরীর আমির মাওলানা মুজিবর রহমান হামিদী ও কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতি ফখরুল ইসলাম বলেছেন, লতিফ সিদ্দিকী নাস্তিক ও মুরতাদ হয়ে গেছেন। বাংলাদেশের মতো একটি মুসলিম রাষ্ট্রের মন্ত্রিপরিষদে কোনো নাস্তিক মন্ত্রী থাকতে পারে না। আওয়ামী লীগ সরকার নাস্তিকদের সহযোগিতা করতে করতে আজ সরকারের মন্ত্রিপরিষদের সদস্যও নাস্তিকে পরিণত হয়েছেন। সরকার যদি নাস্তিক লতিফ সিদ্দিকীকে মন্ত্রিপরিষদ থেকে অপসারণের ঘোষণা না দেয় তাহলে লতিফ সিদ্দিকীকে বাংলাদেশের মাটিতে পা রাখতে দেয়া হবে না। নেতৃবৃন্দ বলেন, সরকার যদি লতিফ সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে কোর অ্যাকশন না নেয় তাহলে আবদুল লতিফ সিদ্দিকীর এই একটা বক্তব্যই সরকার পতনের আন্দোলনের জন্য যথেষ্ট। বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস : মন্ত্রী লতিফ সিদ্দিকী ইসলাম ও মহানবী সা:-এর বিরুদ্ধে কটূক্তি করার প্রতিবাদ জানিয়ে বিবৃতি প্রদান করেছেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের ভারপ্রাপ্ত আমির মাওলানা ইউসুফ আশরাফ ও ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক। বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, হজ ইসলাম ধর্মের মৌলিক পাঁচটি স্তম্ভের অন্যতম। এ বিধানকে ব্যঙ্গ করে মন্তব্য করে লতিফ সিদ্দিকী আল্লাহ এবং রাসূলের সাথে বেয়াদবি করেছেন। ইসলামের রুকন হজ অস্বীকারকারী কোনোদিন মুসলিম হতে পারে না। এমনকি কোনো মুরতাদও আজ পর্যন্ত এ বিধান নিয়ে ব্যঙ্গ করার দুঃসাহস দেখায়নি। তার এই ঔদ্ধত্যপূর্ণ বক্তব্যে ধর্মপ্রাণ জনতা চুপ করে বসে থাকবে না। প্রয়োজনে শাহবাগী নাস্তিকবিরোধী আন্দোলনের চেয়েও তীব্র আন্দোলন কর্মসূচির ঘোষণা দেয়া হবে। নেতৃবৃন্দ লতিফ সিদ্দিকীকে অবিলম্বে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। ইসলামী ছাত্রশিবির : মন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকীর বিকৃত বক্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে ইসলামী ছাত্রশিবির। এক যৌথ প্রতিবাদলিপিতে ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি আবদুল জব্বার ও সেক্রেটারি জেনারেল আতিকুর রহমান বলেন, ইসলামের অন্যতম স্তম্ভ পবিত্র হজকে কটাক্ষ করে আবদুল লতিফ সিদ্দিকী বিকৃত বক্তব্য দিয়ে শুধু বাংলাদেশ নয়, বরং সারা বিশ্বের প্রতিটি মুসলমানের কলিজায় আঘাত করেছেন। তার এ ঔদ্ধত্যপূর্ণ বক্তব্য ক্ষমার অযোগ্য। এ বক্তব্যের মাধ্যমে তিনি ইসলামবিরোধী অবৈধ আওয়ামী সরকারের ইসলামবিদ্বেষী মনোভাবেরই বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়েছেন। ৯০ ভাগ মুসলমানের দেশের মুসলিম নামধারী এ মন্ত্রীর এ কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য জাতির কপালে আরেকবার কালিমা লেপন করেছে। নেতৃবৃন্দ সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, অবিলম্বে ইসলামবিদ্বেষী মন্ত্রী লতিফ সিদ্দিকীকে মন্ত্রিসভা থেকে বহিষ্কার করতে হবে। পবিত্র হজ ও মহানবী সা:কে জড়িয়ে কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য দেয়ার সুস্পষ্ট অভিযোগে তাকে গ্রেফতার করে বিচারের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। অন্যথায় আপনাদেরকেও তার বক্তব্যের পৃষ্ঠপোষক হিসেবে ধরে নেবে জনগণ। ইসলামী ছাত্র মজলিস : গতকাল নিউ ইয়র্কে জ্যাকসন হাইটসের একটি হোটেলে নিউ ইয়র্কস্থ টাঙ্গাইলবাসীদের সাথে মতবিনিময়কালে সরকারের টেলিযোগাযোগমন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকী যে বক্তব্য রেখেছেন এর তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র মজলিস। নেতৃবৃন্দ বলেন, উল্টাপাল্টা বক্তব্য প্রদানে উস্তাদ আবদুল লতিফ সিদ্দিকী এবার সীমা ছাড়িয়ে গেছেন। তিনি এবার ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ হজ নিয়ে ঠাট্টা মশকরা করে মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হেনেছেন। মুসলমানের সন্তান হয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম দেশের একজন মন্ত্রী হয়ে এ ধরনের বক্তব্য কিভাবে রাখলেন তা আমাদের বোধগম্য নয়। পীর সাহেব চরমোনাই : আমেরিকায় একটি হোটেলে টাঙ্গাইল প্রবাসী আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকী বলেছেন ‘আমি হজ ও তাবলিগ বিশ্বাস করি না’ মন্ত্রীর এ ধরনের বক্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি সৈয়দ মোহাম্মদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই বলেছেন, এই বক্তব্য দেয়ার ফলে মন্ত্রী লতিফ সিদ্দিকী ইসলাম থেকে খারিজ হয়ে কাফের হয়ে গেছেন। কেননা হজ ইসলামের মূল পাঁচ ভিত্তির অন্যতম ভিত্তি। এখন থেকে সে নিজেকে মুসলমান হিসেবে পরিচয় দিতে পারবে না। তিনি বলেন, অবিলম্বে মন্ত্রী পরিষদ থেকে লতিফ সিদ্দিকীকে বহিষ্কার করতে হবে এবং তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। গতকাল বিকেলে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ সিরাজগঞ্জ জেলা শাখার উদ্যোগে সম্প্রচার নীতিমালা বন্ধ এবং বিচারপতিদের অভিশংসন সংসদে ফিরিয়ে নেয়ার প্রতিবাদে আয়োজিত বিশাল জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। এতে সভাপতিত্ব করেন মুফতি মুহিব্বুল্লাহ। নেজামে ইসলাম পার্টি : বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির সভাপতি মাওলানা মো: আবদুর রকিব অ্যাডভোকেট ও মহাসচিব মাওলানা আবদুল লতিফ নেজামী মহানবী (সা:), হজ ও তাবলিগ সম্পর্কে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রীর বল্গাহীন, ঔদ্ধত্যপূর্ণ, ব্যঙ্গাত্মক, অবমাননাকর ও অশোভন উক্তির বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ ও নিন্দা করে প্রকাশ করে বলেছেন, এতে তার ইসলামি আক্বিদা বিদ্বেষী মনোভাবেরই বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে। বিবৃতিতে আরো বলা হয়, লতিফ সিদ্দিকীর বক্তব্যে জনগণের কাছে তার স্বরূপ উন্মোচিত হয়েছে। তিনি পাশ্চাত্যের সাথে সামঞ্জস্য রেখে আন্তর্জাতিক অনৈসলামীকরণ প্রক্রিয়ার সাথে সম্পৃক্ত শক্তির ক্রীড়নকে পরিণত হয়েছেন।
No comments:
Post a Comment