পাঁচ সচিবের ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা সনদ বাতিলের সুপারিশ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মুক্তিযুদ্ধে অংশ না নিয়েও তারা সনদ নিয়েছেন বলে অনুসন্ধান প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে কমিশনে এ প্রতিবেদন দাখিল করেন অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তারা। প্রতিবেদনে যাদের মুক্তিযোদ্ধা সনদ বাতিল চাওয়া হয়েছে তারা হলেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব (বর্তমানে ওএসডি) কে এইচ মা
সুদ সিদ্দিকী, একই মন্ত্রণালয় থেকে ওএসডি হওয়া যুগ্ম সচিব আবুল কাসেম তালুকদার, পাবলিক সার্ভিস কমিশনের সচিব এ কে এম আমির হোসেন, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ সচিব এম এম নিয়াজউদ্দিন ও প্রাইভেটাইজেশন কমিশনের চেয়ারম্যান মোল্লা ওয়াহিদুজ্জামান। সূত্র জানায়, সনদ বাতিলের পাশাপাশি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ও পাবলিক সার্ভিস কমিশনকে (পিএসসি) বিভাগীয় ব্যবস্থা নিতেও বলেছে দুদক। দুদকের প্রতিবেদনে এ পাঁচজনের সনদ ও গেজেট সঠিক না হওয়ায় জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল ২০০২ এর ৭ (ঝ) ধারা অনুযায়ী বাতিলের সুপারিশ করা হয়েছে। সূত্র জানায়, প্রতিবেদনে বলা হয় অনুসন্ধানে তারা যুদ্ধে অংশগ্রহণের স্বপে কোনো দালিলিক প্রমাণ দেখাতে পারেননি। যে চার ক্যাটাগরির ভিত্তিতে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা শনাক্ত করা হয় সেগুলোর আওতায়ও তারা পড়েন না। একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধকালে তাদের বয়সও ছিল কম। অনুসন্ধান প্রতিবেদনে পাঁচ আমলার মুক্তিযোদ্ধার গেজেট বাতিল, সংগৃহীত সনদ বাতিল, অসদাচরণের দায়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ইচ্ছায় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ, মিথ্যা তথ্য প্রদান করায় পাবলিক সার্ভিস কমিশনের ইচ্ছায় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা যেতে পারে মর্মে সুপারিশ করা হয়েছে।
No comments:
Post a Comment