িয়েছিল। পড়া ছাড়ল না ছোট্ট মেয়েটি। বহু চেষ্টায় কাটা হাতেই কলম ধরা আয়ত্ত করল সে। চালিয়ে গেল পড়ালেখা। এসএসসিতে জিপিএ-৫ পেয়েছেন। এর মধ্যে বাবা চলে গেছেন মহাকালের ডাকে। কীভাবে দিন যাবে! ঘোর অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ। দমে যাননি ফাল্গুনী। এইচএসসি পাস করে ভর্তি হয়েছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে, ভূগোল বিভাগে। গতকাল শনিবার সকালে প্রথম আলো কার্যালয় সিএ ভবনের দশম তলার মিলনায়তনে তিনি তাঁর কঠোর জীবনসংগ্রামের কথা বলছিলেন। বেদনা ও বিস্ময়ে বাকরুদ্ধ হয়ে শুনছিলেন আমন্ত্রিত অতিথিরা। জীবন যাদের শুরুই হয়েছে সব রকমের সুযোগ-সুবিধাবিহীন পরিবেশে, দারিদ্র্যের কশাঘাতে জর্জরিত হয়েছে শৈশব—তারা শোনাচ্ছিল কেমন করে উঠে দাঁড়াল। কেমন করে এগিয়ে চলেছে বুকের মধ্যে আগুনের মতো গনগনে এক ইচ্ছাশক্তি নিয়ে, স্বপ্ন নিয়ে। প্রথম আলো তাদের অভিষিক্ত করেছে অদম্য মেধাবী অভিধায়। দাঁড়িয়েছে পাশে। ব্র্যাক ব্যাংকের সহায়তায় সেই অদম্য মেধাবীদের প্রথম আলো ট্রাস্ট সংবর্ধনা দিয়েছে গতকাল এই অনুষ্ঠানে। এবারের অনুষ্ঠানে এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পাওয়া ৫০ জন এবং এইচএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পাওয়া ৩০ জনকে সংবর্ধনা ও বৃত্তি দেওয়া হয়। তাদেরই একজন কক্সবাজারের মিজানুর রহমান। পিতৃহীন হয়েছে ছয় বছর বয়সে। ঠাঁই হলো স্থানীয় এতিমখানায়। সেখানে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়া। এর পর নিয়ম অনুসারে এতিমখানা থেকে বিদায়। মিজানুর দমে যায়নি। এক আত্মীয়র বাড়িতে আশ্রয় নিয়ে শুরু করল ছাত্র পড়ানো। এবার এসএসসিতে জিপিএ-৫ পেয়েছে। লালমনিরহাটের হাতিবান্ধার ফারজানা আক্তারের বাবা দিনমজুর। বয়স হয়েছে। নিয়মিত কাজও থাকে না। কষ্টের শেষ নেই। একরকম খেয়ে-না খেয়ে দিন যায়। সেই পরিস্থিতি থেকে এবার এসএসসিতে জিপিএ-৫ পেয়েছে সে। সংবর্ধনায় যে ৮০ জন এসেছিল, তাদের প্রত্যেকের জীবনসংগ্রামের কাহিনি প্রায় অভিন্ন। তারা শুনিয়েছে তাদের ভবিষ্যতের স্বপ্ন ও সংকল্পের কথা। কেউ হতে চায় চিকিৎসক, কেউ প্রকৌশলী, কারও ইচ্ছা শিক্ষকতা করা, কেউ চায় সেনাবাহিনীতে যোগ দিতে। তাদের সংগ্রাম ও স্বপ্নের কথা অভিভূত ও অনুপ্রাণিত করেছে অনুষ্ঠানের অতিথিদেরও। আবেগময় হয়ে ওঠে অনুষ্ঠানের পরিবেশ। ব্র্যাক ব্যাংক-প্রথম আলো ট্রাস্ট অদম্য মেধাবী সংবর্ধনা অনুষ্ঠান শুরু করেছিলেন প্রথম আলোর সহযোগী সম্পাদক আনিসুল হক এই বলে যে ‘মানুষ আসলে শেষ হয়ে যায় না। তোমরা আছ বলেই বাংলাদেশের আশা আছে।’ এর পর দেখানো হয় আশা আছে নামে একটি প্রামাণ্য চিত্র। সুরের ধারার শিল্পীরা গেয়ে শোনান ‘আমার মুক্তি আলোয় আলোয়’ এবং ‘আলোকের এই ঝর্নাধারায় ধুইয়ে দাও’ গান দুটি। অদম্য মেধাবী কার্যক্রমসহ প্রথম আলোর জনকল্যাণকর বিভিন্ন কার্যক্রমের পরিচিতি তুলে ধরেন সহযোগী সম্পাদক আব্দুল কাইয়ুম। অনুষ্ঠানটি সাজানো হয়েছিল অদম্যদের কথা, আমন্ত্রিত অতিথিদের বক্তব্য, আবৃত্তি, সংগীত ও নৃত্য দিয়ে। অধ্যাপক ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ অদম্যদের পাঠ্যক্রমের পাশাপাশি অন্য বই পড়া ও স্বাস্থ্য ভালো রাখার পরামর্শ দেন। তিনি বলেন, সামাজিক বৈষম্য শিক্ষার সুযোগের ক্ষেত্রে বৈষম্যের সৃষ্টি করেছে। এই বৈষম্য দূর করতে সরকারের পাশাপাশি বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও সমাজের সামর্থ্যবানদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে ব্র্যাক ব্যাংক-প্রথম আলো ট্রাস্টের এই উদ্যোগের প্রশংসা করেন এই অর্থনীতিবিদ। এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব উইমেন্সের উপাচার্য ফাহিমা আজিজ বলেন, তিনি অদম্যদের জীবনসংগ্রামের কাহিনি শুনে অভিভূত। নিজেদের ভবিষ্যৎ ও আগামীতে দেশের নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য তাঁদের যোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে ওঠার পরামর্শ দেন তিনি। সেন্ট্রাল উইমেন্স ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক পারভীন হাসান দেশ ও সমাজ বদলাতে ভূমিকা রাখার জন্য অদম্যদের অনুপ্রাণিত করেন। ব্র্যাক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মাহাবুবুর রহমান বলেন, ‘তোমাদের কথা শুনে আমরাই অনুপ্রাণিত হই। সহকর্মীদের বলি, এই ছেলেমেয়েরা যদি এত প্রতিবন্ধকতা জয় করে এগিয়ে যেতে পারে, তাহলে আমাদেরও পারতে হবে।’ তিনি অদম্যদের বড় করে স্বপ্ন দেখা ও তা বাস্তবায়নের জন্য প্রতি মুহূর্তে নিজেকে প্রস্তুত করে তোলার পরামর্শ দেন। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক সামন্তলাল সেন বলেন, শুধু পরীক্ষায় ভালো করলেই হবে না। ভালো মানুষ হতে হবে। অদম্য মেধাবীদের অনুপ্রাণিত করতে আরও এসেছিলেন অভিনয়শিল্পী দম্পতি তৌকীর আহমেদ ও বিপাশা হায়াত। তাঁরাও লেখাপড়ার বাইরে বিভিন্ন কার্যক্রমে অংশ নেওয়ার পরামর্শ দেন। বিপাশা ‘মন, জাগ’ মঙ্গললোকে’ গানটি গেয়ে শোনান। চঞ্চল চৌধুরী অদম্যদের শুনিয়েছেন ঢাকায় এসে প্রতিষ্ঠিত হতে তাঁর নিজের জীবনসংগ্রামের কাহিনি। গেয়েছেন ‘মানুষ মানুষের জন্যে’, ‘ধরো বন্ধু আমার কেহ নাই’সহ কয়েকটি গান। জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক গাজী আশরাফ লিপু বলেন, ‘ইচ্ছাশক্তির চেয়ে বড় শক্তি নেই। তোমরা ভবিষ্যতে যে যেখানেই থাকো, চেষ্টা করবে নিজের কাজের ক্ষেত্রের শীর্ষ অবস্থানে পৌঁছাতে। পরিশ্রমই তোমাদের সাফল্য এনে দেবে।’ সামিট গ্রুপ ও প্রথম আলো ট্রাস্টের চেয়ারম্যন মোহাম্মদ আজিজ খান বলেন, ‘জীবনে অনেক মুহূর্ত আছে যখন অনুপ্রাণিত হওয়া যায়। এখন তেমনি এক মুহূর্ত। তোমাদের দেখে আমি নিজেই অনুপ্রাণিত হচ্ছি। মনে হচ্ছে বাংলাদেশকে কেউ আটকাতে পারবে না।’ আবৃত্তি করেছেন মাহমুদা আখতার, গান গেয়ে শোনান কনা এবং ভাবনার শিল্পীরা পরিবেশন করেছেন ‘টাকডুম টাকডুম বাজাই’ গানের সঙ্গে সমবেত নৃত্য। অদম্য মেধাবীদের ক্রেস্ট দেওয়া হয় এবং তারা অতিথিদের সঙ্গে ছবি তোলায় অংশ নেন। মাদক, মুখস্থ ও অ্যাসিড সন্ত্রাসকে ‘না’ বলার প্রতিজ্ঞা করেন অদম্যরা। মধ্যাহ্ন ভোজের পর শেষ হয় এই আনন্দঘন আয়োজন।
Headlines from most popular newspapers of Bangladesh. বাংলাদেশে প্রকাশিত প্রধান প্রধান দৈনিক পত্রিকার সংবাদ শিরোনামগুলো এক নজরে দেখে নিন।
Sunday, October 19, 2014
কষ্টের জীবনে এগিয়ে যাওয়ার গল্প:প্রথম অালো
িয়েছিল। পড়া ছাড়ল না ছোট্ট মেয়েটি। বহু চেষ্টায় কাটা হাতেই কলম ধরা আয়ত্ত করল সে। চালিয়ে গেল পড়ালেখা। এসএসসিতে জিপিএ-৫ পেয়েছেন। এর মধ্যে বাবা চলে গেছেন মহাকালের ডাকে। কীভাবে দিন যাবে! ঘোর অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ। দমে যাননি ফাল্গুনী। এইচএসসি পাস করে ভর্তি হয়েছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে, ভূগোল বিভাগে। গতকাল শনিবার সকালে প্রথম আলো কার্যালয় সিএ ভবনের দশম তলার মিলনায়তনে তিনি তাঁর কঠোর জীবনসংগ্রামের কথা বলছিলেন। বেদনা ও বিস্ময়ে বাকরুদ্ধ হয়ে শুনছিলেন আমন্ত্রিত অতিথিরা। জীবন যাদের শুরুই হয়েছে সব রকমের সুযোগ-সুবিধাবিহীন পরিবেশে, দারিদ্র্যের কশাঘাতে জর্জরিত হয়েছে শৈশব—তারা শোনাচ্ছিল কেমন করে উঠে দাঁড়াল। কেমন করে এগিয়ে চলেছে বুকের মধ্যে আগুনের মতো গনগনে এক ইচ্ছাশক্তি নিয়ে, স্বপ্ন নিয়ে। প্রথম আলো তাদের অভিষিক্ত করেছে অদম্য মেধাবী অভিধায়। দাঁড়িয়েছে পাশে। ব্র্যাক ব্যাংকের সহায়তায় সেই অদম্য মেধাবীদের প্রথম আলো ট্রাস্ট সংবর্ধনা দিয়েছে গতকাল এই অনুষ্ঠানে। এবারের অনুষ্ঠানে এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পাওয়া ৫০ জন এবং এইচএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পাওয়া ৩০ জনকে সংবর্ধনা ও বৃত্তি দেওয়া হয়। তাদেরই একজন কক্সবাজারের মিজানুর রহমান। পিতৃহীন হয়েছে ছয় বছর বয়সে। ঠাঁই হলো স্থানীয় এতিমখানায়। সেখানে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়া। এর পর নিয়ম অনুসারে এতিমখানা থেকে বিদায়। মিজানুর দমে যায়নি। এক আত্মীয়র বাড়িতে আশ্রয় নিয়ে শুরু করল ছাত্র পড়ানো। এবার এসএসসিতে জিপিএ-৫ পেয়েছে। লালমনিরহাটের হাতিবান্ধার ফারজানা আক্তারের বাবা দিনমজুর। বয়স হয়েছে। নিয়মিত কাজও থাকে না। কষ্টের শেষ নেই। একরকম খেয়ে-না খেয়ে দিন যায়। সেই পরিস্থিতি থেকে এবার এসএসসিতে জিপিএ-৫ পেয়েছে সে। সংবর্ধনায় যে ৮০ জন এসেছিল, তাদের প্রত্যেকের জীবনসংগ্রামের কাহিনি প্রায় অভিন্ন। তারা শুনিয়েছে তাদের ভবিষ্যতের স্বপ্ন ও সংকল্পের কথা। কেউ হতে চায় চিকিৎসক, কেউ প্রকৌশলী, কারও ইচ্ছা শিক্ষকতা করা, কেউ চায় সেনাবাহিনীতে যোগ দিতে। তাদের সংগ্রাম ও স্বপ্নের কথা অভিভূত ও অনুপ্রাণিত করেছে অনুষ্ঠানের অতিথিদেরও। আবেগময় হয়ে ওঠে অনুষ্ঠানের পরিবেশ। ব্র্যাক ব্যাংক-প্রথম আলো ট্রাস্ট অদম্য মেধাবী সংবর্ধনা অনুষ্ঠান শুরু করেছিলেন প্রথম আলোর সহযোগী সম্পাদক আনিসুল হক এই বলে যে ‘মানুষ আসলে শেষ হয়ে যায় না। তোমরা আছ বলেই বাংলাদেশের আশা আছে।’ এর পর দেখানো হয় আশা আছে নামে একটি প্রামাণ্য চিত্র। সুরের ধারার শিল্পীরা গেয়ে শোনান ‘আমার মুক্তি আলোয় আলোয়’ এবং ‘আলোকের এই ঝর্নাধারায় ধুইয়ে দাও’ গান দুটি। অদম্য মেধাবী কার্যক্রমসহ প্রথম আলোর জনকল্যাণকর বিভিন্ন কার্যক্রমের পরিচিতি তুলে ধরেন সহযোগী সম্পাদক আব্দুল কাইয়ুম। অনুষ্ঠানটি সাজানো হয়েছিল অদম্যদের কথা, আমন্ত্রিত অতিথিদের বক্তব্য, আবৃত্তি, সংগীত ও নৃত্য দিয়ে। অধ্যাপক ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ অদম্যদের পাঠ্যক্রমের পাশাপাশি অন্য বই পড়া ও স্বাস্থ্য ভালো রাখার পরামর্শ দেন। তিনি বলেন, সামাজিক বৈষম্য শিক্ষার সুযোগের ক্ষেত্রে বৈষম্যের সৃষ্টি করেছে। এই বৈষম্য দূর করতে সরকারের পাশাপাশি বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও সমাজের সামর্থ্যবানদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে ব্র্যাক ব্যাংক-প্রথম আলো ট্রাস্টের এই উদ্যোগের প্রশংসা করেন এই অর্থনীতিবিদ। এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব উইমেন্সের উপাচার্য ফাহিমা আজিজ বলেন, তিনি অদম্যদের জীবনসংগ্রামের কাহিনি শুনে অভিভূত। নিজেদের ভবিষ্যৎ ও আগামীতে দেশের নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য তাঁদের যোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে ওঠার পরামর্শ দেন তিনি। সেন্ট্রাল উইমেন্স ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক পারভীন হাসান দেশ ও সমাজ বদলাতে ভূমিকা রাখার জন্য অদম্যদের অনুপ্রাণিত করেন। ব্র্যাক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মাহাবুবুর রহমান বলেন, ‘তোমাদের কথা শুনে আমরাই অনুপ্রাণিত হই। সহকর্মীদের বলি, এই ছেলেমেয়েরা যদি এত প্রতিবন্ধকতা জয় করে এগিয়ে যেতে পারে, তাহলে আমাদেরও পারতে হবে।’ তিনি অদম্যদের বড় করে স্বপ্ন দেখা ও তা বাস্তবায়নের জন্য প্রতি মুহূর্তে নিজেকে প্রস্তুত করে তোলার পরামর্শ দেন। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক সামন্তলাল সেন বলেন, শুধু পরীক্ষায় ভালো করলেই হবে না। ভালো মানুষ হতে হবে। অদম্য মেধাবীদের অনুপ্রাণিত করতে আরও এসেছিলেন অভিনয়শিল্পী দম্পতি তৌকীর আহমেদ ও বিপাশা হায়াত। তাঁরাও লেখাপড়ার বাইরে বিভিন্ন কার্যক্রমে অংশ নেওয়ার পরামর্শ দেন। বিপাশা ‘মন, জাগ’ মঙ্গললোকে’ গানটি গেয়ে শোনান। চঞ্চল চৌধুরী অদম্যদের শুনিয়েছেন ঢাকায় এসে প্রতিষ্ঠিত হতে তাঁর নিজের জীবনসংগ্রামের কাহিনি। গেয়েছেন ‘মানুষ মানুষের জন্যে’, ‘ধরো বন্ধু আমার কেহ নাই’সহ কয়েকটি গান। জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক গাজী আশরাফ লিপু বলেন, ‘ইচ্ছাশক্তির চেয়ে বড় শক্তি নেই। তোমরা ভবিষ্যতে যে যেখানেই থাকো, চেষ্টা করবে নিজের কাজের ক্ষেত্রের শীর্ষ অবস্থানে পৌঁছাতে। পরিশ্রমই তোমাদের সাফল্য এনে দেবে।’ সামিট গ্রুপ ও প্রথম আলো ট্রাস্টের চেয়ারম্যন মোহাম্মদ আজিজ খান বলেন, ‘জীবনে অনেক মুহূর্ত আছে যখন অনুপ্রাণিত হওয়া যায়। এখন তেমনি এক মুহূর্ত। তোমাদের দেখে আমি নিজেই অনুপ্রাণিত হচ্ছি। মনে হচ্ছে বাংলাদেশকে কেউ আটকাতে পারবে না।’ আবৃত্তি করেছেন মাহমুদা আখতার, গান গেয়ে শোনান কনা এবং ভাবনার শিল্পীরা পরিবেশন করেছেন ‘টাকডুম টাকডুম বাজাই’ গানের সঙ্গে সমবেত নৃত্য। অদম্য মেধাবীদের ক্রেস্ট দেওয়া হয় এবং তারা অতিথিদের সঙ্গে ছবি তোলায় অংশ নেন। মাদক, মুখস্থ ও অ্যাসিড সন্ত্রাসকে ‘না’ বলার প্রতিজ্ঞা করেন অদম্যরা। মধ্যাহ্ন ভোজের পর শেষ হয় এই আনন্দঘন আয়োজন।
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment