Wednesday, October 1, 2014

আন্তর্জাতিক প্রবীণ দিবস আজ:নয়াদিগন্ত

আন্তর্জাতিক প্রবীণ দিবস আজ। ১৯৯০ সাল থেকে জাতিসঙ্ঘ প্রতি বছরের ১ অক্টোবর এই দিবসটি পালনের সিদ্ধান্ত নেয়। ১৯৯১ সাল থেকে বিভিন্ন দেশ এই দিবসটি পালন করে আসছে। ‘লিভিং নো ওয়ান বিহাইন্ড : প্রমোটিং এ সোসাইটি ফর অল’ এই প্রতিপাদ্যকে ধারণ করে এবারো বাংলাদেশের বিভিন্ন বেসরকারি সংগঠন বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দিবসটি পালন করবে। প্রবীণরা সমাজের শ্রদ্ধেয় ব্যক্তি। সমাজ সংসারে আমাদের অস্তিত্ব, বেড়ে ওঠা, উন্নয়ন-অ
গ্রগতি এসবের মূলে রয়েছে তাদের অসামান্য অবদান। প্রবীণেরা যাতে জীবনের অবশিষ্ট সময় সুখ ও শান্তি এবং মর্যাদার সাথে অতিবাহিত করতে পারেন তার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া সমাজের নৈতিক ও মানবিক কর্তব্য। দিবসটি উপলক্ষে গতকাল রাষ্ট্রপতি মো: আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন। রাষ্ট্রপতি তার বাণীতে বলেছেন, বিশ্বের অন্যান্য দেশের সাথে বাংলাদেশেও জাতিসঙ্ঘ ঘোষিত ‘আন্তর্জাতিক প্রবীণ দিবস’ পালিত হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। বার্ধক্য জীবনের এক অনিবার্য বাস্তবতা। প্রকৃতির স্বাভাবিক নিয়মেই একদিন সবাইকে প্রবীণত্ববরণ করতে হয়। বিশ্বব্যাপী চিকিৎসা বিজ্ঞানের অভাবনীয় উন্নতিতে উন্নয়নশীল দেশসহ সারাবিশ্বে মানুষের গড় আয়ু বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে পৃথিবীর সব দেশেই প্রবীণদের সংখ্যা ক্রমাগত বেড়ে চলেছে। দেশের বিদ্যমান আর্থসামাজিক অবস্থার প্রেক্ষাপটে দেখা যায়, অনেক প্রবীণ অবনতিশীল স্বাস্থ্য, আর্থিকদীনতা ও অবহেলায় বসবাস করছেন। যথাযোগ্য সম্মান ও মর্যাদার সাথে বসবাস করার প্রবীণদের যে মৌলিক ও মানবিক অধিকার রয়েছে, তা ুণœ হচ্ছে। প্রবীণদের এই অধিকার সংরক্ষণে প্রয়োজনীয় সহায়তা ও সুযোগ-সুবিধা প্রদান অপরিহার্য।  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বাণীতে বলেন, বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও আন্তর্জাতিক প্রবীণ দিবস উদযাপন করা হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। এ উপলক্ষে আমি দেশের প্রবীণদের সুস্বাস্থ্য, মর্যাদাপূর্ণ জীবন এবং সার্বিক কল্যাণ কামনা করছি। তিনি বলেন, প্রবীণ জনগোষ্ঠী দেশের মোট জনসংখ্যার একটি সংবেদনশীল ও অবিচ্ছেদ্য অংশ। কর্মময় জীবনে নিজ নিজ পরিবার, সমাজ ও দেশ গঠনে তারা অত্যন্ত নিষ্ঠা, আন্তরিকতা ও উৎসাহ-উদ্দীপনা নিয়ে কাজ করেছেন। প্রবীণদের কল্যাণে আমাদের সরকার বয়স্কভাতা কর্মসূচি, জাতীয় প্রবীণ নীতিমালা-২০১৩, পিতামাতার ভরণপোষণ আইন-২০১৩ প্রণয়ন করেছে। প্রবীণদের স্বাস্থ্য ও চিকিৎসাসেবা উন্নয়নের পাশাপাশি আমরা সামাজিক নিরাপত্তার প্রতিটি খাতে বরাদ্দ বহুগুণে বৃদ্ধি করেছি। এ ছাড়া প্রবীণ উন্নয়ন ফাউন্ডেশন গঠনের মাধ্যমে প্রবীণসেবা কর্মসূচি আরো গতিশীল করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। বাণীতে প্রধানমন্ত্রী আন্তর্জাতিক প্রবীণ দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ প্রবীণ হিতৈষী সংঘ ও জরাবিজ্ঞান প্রতিষ্ঠানসহ অন্যান্য সংগঠন গৃহীত সব কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করেন। 

No comments:

Post a Comment