চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের বিবদমান দুই পক্ষের মধ্যে সমঝোতা হয়েছে। গতকাল রাত সাড়ে নয়টায় চট্টগ্রাম নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরীর বাসায় এ সমঝোতা হয়। সমঝোতার পরে বিবদমান দুই পক্ষ ক্যাম্পাসে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানে থাকবে বলে একমত হয়। প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপের পরিপ্রেক্ষিতে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের দুই নেতা এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য দুই পক্ষের
নেতাদের নিয়ে এ সমঝোতায় বসেন। ঘণ্টাব্যাপী চলা এ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নাছির হায়দার ও এরশাদ হোসেন। বৈঠক শেষ হওয়ার পর চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার এ কে এম হাফিজ আক্তার উপস্থিত হন। বৈঠকে উভয় পক্ষের উপস্থিতিতে দুটি সিদ্ধান্ত হয়। একটি হচ্ছে সব শিক্ষার্থী ভেদাভেদ ভুলে আজ রোববার থেকে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে ক্যাম্পাসে অবস্থান করবেন। অন্যটি হচ্ছে নেতা-কর্মীরা সংগঠনবিরোধী কর্মকাণ্ডে যুক্ত হবেন না। বৈঠক শেষে আওয়ামী লীগের সভাপতি এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, ‘এখন থেকে কেউ শৃঙ্খলা ভঙ্গ করলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ছেলেরা ক্যাম্পাসে পড়াশোনা করবে এবং রাজনীতি করবে নিয়মতান্ত্রিকভাবে।’ নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, ‘বৈঠকে নেওয়া সিদ্ধান্তের কথা উভয় পক্ষকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।’ বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জানায়, ক্যাম্পাসে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এক বছর ধরে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে বিরোধ চলছে। একটি পক্ষ ভার্সিটি এক্সপ্রেস (ভিএক্স) নামে এবং অন্যটি চুজ ফ্রেন্ডস উইথ কেয়ার (সিএফসি) ও ক্যাম্পাস ছাত্রলীগ নামে কার্যক্রম চালিয়ে আসছে। চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার বিষয়টি রাজনৈতিকভাবে সমাধানের জন্য ৮ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ জানিয়েছিলেন। পরে গত বুধবার দুপুরে চট্টগ্রাম সেনানিবাসের একটি কর্মসূচিতে যোগ দিতে এসে এ দুটি পক্ষের বিরোধ মেটানোর জন্য মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে উদ্যোগী হওয়ার নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। স্থানীয় দুই নেতাকে তিনি এ নির্দেশ দিয়ে বলেন, ‘যারা শৃঙ্খলা মানবে না, অনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়বে, তাদের সংগঠন থেকে বের করে দিন।’
No comments:
Post a Comment