উড়ালসড়কের নামকরণ করা হয়। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রায় নয় মিনিটের সংক্ষিপ্ত বক্তৃতায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা ঢাকায় বাস করলেও চট্টগ্রামবাসীর সঙ্গে আত্মার সম্পর্ক রয়েছে। আমরা চট্টগ্রামকে প্রকৃত অর্থেই বাণিজ্যিক রাজধানী হিসেবে গড়ে তুলতে কাজ করছি।’ তিনি বলেন, ‘আমি কথা দিয়েছিলাম, দায়িত্ব নিয়ে চট্টগ্রামের উন্নয়ন করব। তা করে যাচ্ছি। আজ আখতারুজ্জামান চৌধুরী উড়ালসড়কের নির্মাণকাজ শুরু হলো। এই উড়ালসড়ক চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর পর্যন্ত নিয়ে যাওয়া হবে।’ তিনি নির্মাণকাজ চলাকালে চট্টগ্রামবাসীর সহযোগিতা কামনা করেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় এসে চট্টগ্রাম বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর করেছিলাম। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ককে চার লেনে উন্নীত করার কাজ চলছে। ভবিষ্যতে এটিকে ছয় লেনে উন্নীত করা হবে। চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেললাইন করার জন্য জমি অধিগ্রহণের কাজ চলছে।’ প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ চাই না। আমরা চাই উন্নয়ন, শান্তি ও গণতন্ত্র। বাংলাদেশ ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে দক্ষিণ এশিয়ার উন্নত দেশে পরিণত হবে।’ তিনি বলেন, ‘আমরা বিশাল সমুদ্রসীমা অর্জন করেছি। এই সমুদ্রসম্পদ জনগণের কাজে লাগাতে চাই।’ প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি আমলে মোবাইল ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ ছিল একজনের হাতে। তিনি আপনাদের চট্টগ্রামের মানুষ। তিনি একসময় মন্ত্রী ছিলেন। তখন কল করলেও ১০ টাকা, ধরলেও ১০ টাকা। আমরা ক্ষমতায় এসে তা সহজলভ্য করে দিয়েছি।’ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী মোশাররফ হোসেন, আখতারুজ্জামান চৌধুরীর ছেলে ও ভূমি প্রতিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী, সাংসদ আফছারুল আমীন, সাংসদ হাছান মাহমুদ, সিডিএ চেয়ারম্যান আবদুচ ছালাম, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নুরুল আলম চৌধুরী, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার সভাপতি মোসলেম উদ্দিন আহমেদ, নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দিন প্রমুখ। এই উড়ালসড়কের দৈর্ঘ্য ৫ দশমিক ২ কিলোমিটার। ‘জাতীয় পতাকা’ প্রদান: প্রধানমন্ত্রী গতকাল ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের (ইবিআর) তিনটি ইউনিটকে কর্মদক্ষতা, কঠোর অনুশীলন ও কর্তব্যনিষ্ঠা এবং দেশসেবার স্বীকৃতি হিসেবে জাতীয় পতাকা দিয়েছেন। এ উপলক্ষে চট্টগ্রাম সেনানিবাসে বাংলাদেশ ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টাল সেন্টারে কুচকাওয়াজে ভাষণদানকালে প্রধানমন্ত্রী আশাবাদ ব্যক্ত করেন, রেজিমেন্টের সদস্যরা অতীতের মতো ভবিষ্যতেও দেশের নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষাসহ অর্পিত দায়িত্ব সফলতার সঙ্গে পালনে সক্ষম হবেন। ইবিআরের তিনটি ইউনিট হলো রংপুর সেনানিবাসের ৩৪ ই বেঙ্গল, শহীদ সালাউদ্দীন সেনানিবাসের ৩৬ ই বেঙ্গল ও জালালাবাদ সেনানিবাসের ৩৮ ই বেঙ্গল। প্রধানমন্ত্রী প্যারেড গ্রাউন্ডে এসে পৌঁছলে সেনাবাহিনীপ্রধান জেনারেল ইকবাল করিম ভূইয়া তাঁকে অভ্যর্থনা জানান।
Headlines from most popular newspapers of Bangladesh. বাংলাদেশে প্রকাশিত প্রধান প্রধান দৈনিক পত্রিকার সংবাদ শিরোনামগুলো এক নজরে দেখে নিন।
Thursday, November 13, 2014
চট্টগ্রামকে বাণিজ্যিক রাজধানী হিসেবে গড়তে কাজ করছি:প্রথম অালো
উড়ালসড়কের নামকরণ করা হয়। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রায় নয় মিনিটের সংক্ষিপ্ত বক্তৃতায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা ঢাকায় বাস করলেও চট্টগ্রামবাসীর সঙ্গে আত্মার সম্পর্ক রয়েছে। আমরা চট্টগ্রামকে প্রকৃত অর্থেই বাণিজ্যিক রাজধানী হিসেবে গড়ে তুলতে কাজ করছি।’ তিনি বলেন, ‘আমি কথা দিয়েছিলাম, দায়িত্ব নিয়ে চট্টগ্রামের উন্নয়ন করব। তা করে যাচ্ছি। আজ আখতারুজ্জামান চৌধুরী উড়ালসড়কের নির্মাণকাজ শুরু হলো। এই উড়ালসড়ক চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর পর্যন্ত নিয়ে যাওয়া হবে।’ তিনি নির্মাণকাজ চলাকালে চট্টগ্রামবাসীর সহযোগিতা কামনা করেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় এসে চট্টগ্রাম বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর করেছিলাম। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ককে চার লেনে উন্নীত করার কাজ চলছে। ভবিষ্যতে এটিকে ছয় লেনে উন্নীত করা হবে। চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেললাইন করার জন্য জমি অধিগ্রহণের কাজ চলছে।’ প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ চাই না। আমরা চাই উন্নয়ন, শান্তি ও গণতন্ত্র। বাংলাদেশ ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে দক্ষিণ এশিয়ার উন্নত দেশে পরিণত হবে।’ তিনি বলেন, ‘আমরা বিশাল সমুদ্রসীমা অর্জন করেছি। এই সমুদ্রসম্পদ জনগণের কাজে লাগাতে চাই।’ প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি আমলে মোবাইল ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ ছিল একজনের হাতে। তিনি আপনাদের চট্টগ্রামের মানুষ। তিনি একসময় মন্ত্রী ছিলেন। তখন কল করলেও ১০ টাকা, ধরলেও ১০ টাকা। আমরা ক্ষমতায় এসে তা সহজলভ্য করে দিয়েছি।’ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী মোশাররফ হোসেন, আখতারুজ্জামান চৌধুরীর ছেলে ও ভূমি প্রতিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী, সাংসদ আফছারুল আমীন, সাংসদ হাছান মাহমুদ, সিডিএ চেয়ারম্যান আবদুচ ছালাম, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নুরুল আলম চৌধুরী, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার সভাপতি মোসলেম উদ্দিন আহমেদ, নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দিন প্রমুখ। এই উড়ালসড়কের দৈর্ঘ্য ৫ দশমিক ২ কিলোমিটার। ‘জাতীয় পতাকা’ প্রদান: প্রধানমন্ত্রী গতকাল ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের (ইবিআর) তিনটি ইউনিটকে কর্মদক্ষতা, কঠোর অনুশীলন ও কর্তব্যনিষ্ঠা এবং দেশসেবার স্বীকৃতি হিসেবে জাতীয় পতাকা দিয়েছেন। এ উপলক্ষে চট্টগ্রাম সেনানিবাসে বাংলাদেশ ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টাল সেন্টারে কুচকাওয়াজে ভাষণদানকালে প্রধানমন্ত্রী আশাবাদ ব্যক্ত করেন, রেজিমেন্টের সদস্যরা অতীতের মতো ভবিষ্যতেও দেশের নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষাসহ অর্পিত দায়িত্ব সফলতার সঙ্গে পালনে সক্ষম হবেন। ইবিআরের তিনটি ইউনিট হলো রংপুর সেনানিবাসের ৩৪ ই বেঙ্গল, শহীদ সালাউদ্দীন সেনানিবাসের ৩৬ ই বেঙ্গল ও জালালাবাদ সেনানিবাসের ৩৮ ই বেঙ্গল। প্রধানমন্ত্রী প্যারেড গ্রাউন্ডে এসে পৌঁছলে সেনাবাহিনীপ্রধান জেনারেল ইকবাল করিম ভূইয়া তাঁকে অভ্যর্থনা জানান।
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment