আর কোনো মাল্টি লেভেল মার্কেটিং (এমএলএম) কোম্পানিকে নতুন করে লাইসেন্স দেয়া হবে না বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে বলে জানান তিনি। গতকাল সংসদ ভবনে কমিটির বৈঠক শেষে প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এ তথ্য জানান। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন কমিটির সভাপতি মো: তাজুল ইসলাম চৌধুরী। বৈঠকে কমিটির সদস্য তোফায়েল আহমেদ, মো: মোতাহার হোসেন
, নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন, ওয়ারেসাত হোসেন বেলাল, আ ক ম বাহাউদ্দীন, মো: ছানোয়ার হোসেন, মন্জুরুল ইসলাম লিটন ও লায়লা আরজুমান বানু এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠক শেষে সংসদের মিডিয়া সেন্টারে প্রেস ব্রিফিংয়ে এ মন্ত্রী বলেন, আইন অনুযায়ী পাঁচটি এমএলএম কোম্পানির লাইসেন্স দেয়া হলেও এই মুহূর্তে আর কোনো লাইসেন্স দেয়া হবে না। যে পাঁচটি কোম্পানির লাইসেন্স দেয়া হয়েছে, তাদেরও মনিটরিংয়ের মধ্যে রাখা হবে। তারা কোথায় কী করছে, কিভাবে করছে তা খতিয়ে দেখা হবে। তিনি আরো বলেন, লাইসেন্স নেই এমন অনেক কোম্পানি আছে যারা ব্যবসায় পরিচালনা করছে। তাদের দ্বারা গ্রাহকেরা বেশি প্রতারিত হচ্ছেন। ওই প্রতারকদের বিরুদ্ধে অভিযান চালানো হবে। বাংলাদেশ দ্রুতই জিএসপি সুবিধা পাবে বলে আশা প্রকাশ করে তোফায়েল আহমেদ বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশী পণ্যের অগ্রাধিকারমূলক বাজারসুবিধা (জিএসপি) পাওয়ার েেত্র দেশটির দেয়া ১৬টি শর্ত পূরণ করা হয়েছে। তারা সর্বশেষ একটি চিঠি পাঠিয়েছে। তার উত্তরও তৈরি করা হয়েছে। তবে যুক্তরাষ্ট্রে এখন কোনো দেশের জিএসপি সুবিধা নেই। সেখানকার কংগ্রেস জিএসপি সুবিধা দেয়ার সিদ্ধান্ত নিলে বাংলাদেশ আগে পাবে। তৈরী পোশাক খাতে (আরএমজি) রফতানি কমলেও তা সাময়িক বলে মন্তব্য করে মন্ত্রী বলেন, রানা প্লøাজা ধসের পর বাংলাদেশে কারখানা পরিদর্শন করে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও যুক্তরাষ্ট্র যে প্রতিবেদন দিয়েছে, তার মাধ্যমে মালিকেরা নতুন করে অর্ডার পাচ্ছেন, যার কারণে এই খাতে রফতানি দ্রুত বাড়বে। তিনি বলেন, তাদের পরিদর্শনের কারণে অনেক ক্রেতাই অর্ডার বন্ধ রেখে ছিলেন। এখন সেই সঙ্কট কেটে গেছে। এই খাতে এখন কোনো অসন্তোষ নেই। আরএমজি ছাড়া সব খাতে রফতানি বেড়েছে বলে তিনি দাবি করেন। এ দিকে কমিটি সূত্র জানায়, নতুন যে পাঁচটি এমএলএম কোম্পানিকে লাইসেন্স দেয়া হয়েছে তাদের সব কার্যক্রমের বিষয়ে কমিটির আগামী বৈঠকে প্রতিবেদন উপস্থাপনের জন্য বলা হয়েছে। ভুয়া লাইসেন্স বা লাইসেন্সবিহীন যেসব কোম্পানি বিভিন্ন লাভের কথা বলে জনগণকে প্রতারণা করে আসছে তাদের ব্যাপারে জনগণকে সচেতন করার বিষয়ে যথাযথ পদক্ষেপ নেয়ার সুপারিশ করেছে কমিটি। এ ছাড়া বৈঠকে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে বর্ডার হাট স্থাপনের মতো উদ্যোগকে এগিয়ে নেয়ার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে। এই হাটের সুেিযাগ-সুবিধা নিশ্চিত করতে স্থানীয় প্রশাসনের মনিটরিং জোরদার করার তাগিদ দেয়া হয়েছে।
No comments:
Post a Comment