নের ঘোষণা দেন। এ ছাড়া যেসব সেনানিবাসের সঙ্গে ৫০০ শয্যার হাসপাতাল আছে, সেখানে মেডিকেল কলেজ স্থাপনের নির্দেশ দিয়েছেন বলে তিনি উল্লেখ করেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, নতুন ধরনের রোগব্যাধি প্রতিরোধে ও জনগণকে কম খরচে স্বাস্থ্যসেবা দিতে গবেষকদের অবশ্যই উপায় খুঁজে বের করতে হবে। শেখ হাসিনা বলেন, জনগণের দোরগোড়ায় সেবা পৌঁছে দিতে কমিউনিটি ক্লিনিক তৈরি করা হয়েছে। বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে কমিউনিটি ক্লিনিক বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি, আমরা জনগণের সেবক। মানুষ যে দলকে পছন্দ করে সে দলকেই ভোট দেবে।...কমিউনিটি ক্লিনিক করেছিলাম জনগণের দোরগোড়ায় সেবা পৌঁছে দিতে। সেটা বন্ধ করে দেওয়া আমি মনে করি খুবই “ক্রুয়েল” কাজ।’ প্রধানমন্ত্রী তাঁর বক্তৃতায় রোগীদের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করতে চিকিৎসকদের প্রতি বারবার অনুরোধ জানান। তিনি বলেন, চিকিৎসকেরা একটু আলাপ করলে, কথা বললে, বুঝিয়ে দিলে রোগীরা ভরসা পান। শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে স্বাস্থ্যসেবার উন্নয়নে নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘মৌলিক চাহিদা পূরণ রাষ্ট্রের সাংবিধানিক দায়িত্ব। প্রথমেই আমরা খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিত করার চেষ্টা করেছি। আল্লাহর রহমতে সফল হয়েছি। এখন আমরা পুষ্টির দিকে নজর দিচ্ছি। গর্ভবতী নারী ও ল্যাকটেটিং মাদারদের (স্তন্যদানকারী মা) ভাতা দেওয়া হচ্ছে।’ শেখ হাসিনা বলেন, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওপর চাপ কমাতে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজে শয্যার সংখ্যা বাড়ানোসহ কুর্মিটোলা ও মুগদায় জেনারেল হাসপাতাল চালু করা হয়েছে। রেলওয়ে হাসপাতালটিতেও যেন সাধারণ মানুষ সেবা পায়, সে ব্যবস্থা নিতে গতকাল তিনি সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রাণ গোপাল দত্ত শাহবাগে বেতারের কার্যালয়ের যে জমি, সেটি বুঝে পেতে প্রধানমন্ত্রীর সহযোগিতা চান। তিনি বলেন, ওই জায়গাটা পেলে একটা ‘মিনি ক্যাম্পাস’-এর চেহারা দেওয়া যায়। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ক্যাম্পাস মিনি না ম্যাক্সি, সেটা বিষয় না। কতটা সেবা দিতে পারেন, সেটাই মুখ্য।’ তবে শেখ হাসিনা বিএসএমএমইউয়ে মানুষের সেবা বৃদ্ধি পেয়েছে বলে উল্লেখ করেন। প্রায় ২৫ মিনিট বক্তৃতার শেষ দিকে এসে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি আর বক্তৃতা বাড়াব না। শরীরটা ভালো না। এতগুলো ডাক্তার দেখলে এমনিই নানান রোগের কথা মনে হয়...গলাটায় একটু সমস্যা। সারাক্ষণ গলাবাজি করে বেড়াতে হয় তো, তাই রেস্ট হয় না।’
Headlines from most popular newspapers of Bangladesh. বাংলাদেশে প্রকাশিত প্রধান প্রধান দৈনিক পত্রিকার সংবাদ শিরোনামগুলো এক নজরে দেখে নিন।
Sunday, November 23, 2014
চিকিৎসাসেবা নিয়ে গবেষণা করতে আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর:প্রথম অালো
নের ঘোষণা দেন। এ ছাড়া যেসব সেনানিবাসের সঙ্গে ৫০০ শয্যার হাসপাতাল আছে, সেখানে মেডিকেল কলেজ স্থাপনের নির্দেশ দিয়েছেন বলে তিনি উল্লেখ করেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, নতুন ধরনের রোগব্যাধি প্রতিরোধে ও জনগণকে কম খরচে স্বাস্থ্যসেবা দিতে গবেষকদের অবশ্যই উপায় খুঁজে বের করতে হবে। শেখ হাসিনা বলেন, জনগণের দোরগোড়ায় সেবা পৌঁছে দিতে কমিউনিটি ক্লিনিক তৈরি করা হয়েছে। বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে কমিউনিটি ক্লিনিক বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি, আমরা জনগণের সেবক। মানুষ যে দলকে পছন্দ করে সে দলকেই ভোট দেবে।...কমিউনিটি ক্লিনিক করেছিলাম জনগণের দোরগোড়ায় সেবা পৌঁছে দিতে। সেটা বন্ধ করে দেওয়া আমি মনে করি খুবই “ক্রুয়েল” কাজ।’ প্রধানমন্ত্রী তাঁর বক্তৃতায় রোগীদের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করতে চিকিৎসকদের প্রতি বারবার অনুরোধ জানান। তিনি বলেন, চিকিৎসকেরা একটু আলাপ করলে, কথা বললে, বুঝিয়ে দিলে রোগীরা ভরসা পান। শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে স্বাস্থ্যসেবার উন্নয়নে নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘মৌলিক চাহিদা পূরণ রাষ্ট্রের সাংবিধানিক দায়িত্ব। প্রথমেই আমরা খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিত করার চেষ্টা করেছি। আল্লাহর রহমতে সফল হয়েছি। এখন আমরা পুষ্টির দিকে নজর দিচ্ছি। গর্ভবতী নারী ও ল্যাকটেটিং মাদারদের (স্তন্যদানকারী মা) ভাতা দেওয়া হচ্ছে।’ শেখ হাসিনা বলেন, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওপর চাপ কমাতে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজে শয্যার সংখ্যা বাড়ানোসহ কুর্মিটোলা ও মুগদায় জেনারেল হাসপাতাল চালু করা হয়েছে। রেলওয়ে হাসপাতালটিতেও যেন সাধারণ মানুষ সেবা পায়, সে ব্যবস্থা নিতে গতকাল তিনি সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রাণ গোপাল দত্ত শাহবাগে বেতারের কার্যালয়ের যে জমি, সেটি বুঝে পেতে প্রধানমন্ত্রীর সহযোগিতা চান। তিনি বলেন, ওই জায়গাটা পেলে একটা ‘মিনি ক্যাম্পাস’-এর চেহারা দেওয়া যায়। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ক্যাম্পাস মিনি না ম্যাক্সি, সেটা বিষয় না। কতটা সেবা দিতে পারেন, সেটাই মুখ্য।’ তবে শেখ হাসিনা বিএসএমএমইউয়ে মানুষের সেবা বৃদ্ধি পেয়েছে বলে উল্লেখ করেন। প্রায় ২৫ মিনিট বক্তৃতার শেষ দিকে এসে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি আর বক্তৃতা বাড়াব না। শরীরটা ভালো না। এতগুলো ডাক্তার দেখলে এমনিই নানান রোগের কথা মনে হয়...গলাটায় একটু সমস্যা। সারাক্ষণ গলাবাজি করে বেড়াতে হয় তো, তাই রেস্ট হয় না।’
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment