ঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেট (আইএস), উত্তর-পূর্ব ভারতের বিচ্ছিন্নতাবাদ ইত্যাদি প্রসঙ্গ তুলে ধরেন। তবে দৃশ্যত সবকিছু ছাপিয়ে আক্রমণের মূল লক্ষ্যবস্তু ছিল পাকিস্তান। রাজনাথ প্রশ্ন ছোড়েন, ‘আইএসআই কি পাকিস্তানের নয়? কে ওসামা বিন লাদেনকে সহায়তা করেছিল? হাফিজ সাইদকে এখন কারা সহায়তা করছে?’ আইএসআই (ইন্টার সার্ভিসেস ইনটেলিজেন্স) পাকিস্তানের প্রভাবশালী সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা। প্রতিষ্ঠানটি জঙ্গিবাদে প্রত্যক্ষ-পরোক্ষভাবে সহায়তা দেয় বলে ভারতসহ বিভিন্ন মহলের অভিযোগ রয়েছে। ভারতে ধারাবাহিক বোমা হামলায় অভিযুক্ত দাউদ ইব্রাহিম পাকিস্তানে আছেন, এমন দাবি করে রাজনাথ তাঁকে ফেরত না দেওয়ার জন্য পাকিস্তানকে অভিযুক্ত করেন। তিনি বলেন, ‘দাউদকে ফেরত দিতে আমরা পাকিস্তানকে বোঝানোর চেষ্টা করছি। আমরা এখন চাপ দেব। তাঁকে ফেরত পেতে আগের সরকারগুলোও চেষ্টা করেছে।’ ভারতের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা কেন কঠিন—আলোচ্য এ বিষয়ের ওপর রাজনাথ বলেন, ২০০৮ সালে মুম্বাই হামলার সঙ্গে জড়িত দুষ্কৃতকারীদের বিরুদ্ধেও পাকিস্তান ব্যবস্থা নিচ্ছে না। রাজনাথের আলোচনায় কাশ্মীর প্রসঙ্গও আসে। তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশে গণতন্ত্র আছে। আমরা জম্মু-কাশ্মীরের জনগণের কাছে ৩৭০ অনুচ্ছেদ নিয়ে বিতর্কের আহ্বান জানাই। এই অনুচ্ছেদের ফলে তারা কি বাড়তি সুবিধা পাচ্ছে না?’ কাশ্মীরি বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সঙ্গে আলোচনা প্রসঙ্গে রাজনাথ বলেন, ‘পাকিস্তানের অবস্থান যদি পরিষ্কার হয়, তবে আমাদের অবস্থানও পরিষ্কার।’ কাশ্মীর সীমান্তে নতুন করে উত্তেজনা এবং ভারতের সাম্প্রতিক এক বোমা বিস্ফোরণের তদন্তে পাকিস্তানের নাম আসার প্রেক্ষাপটে দেশটিকে এমন গরম কথা শোনালেন রাজনাথ সিং। পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমানের বিস্ফোরণ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পাকিস্তানের জঙ্গি সংগঠনের প্রশিক্ষিত বলে কথিত এক মিয়ানমারের নাগরিককে আটক করা হয়েছে। কাশ্মীর নিয়ে ‘রাজনীতি করার জন্য’ রাজনাথ দেশের বিরোধী দলগুলোর প্রতিও ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, বিরোধীরা ওই অঞ্চলের মানুষের মধ্যে ভীতি তৈরি করছে। আলোচনায় পাকিস্তানের প্রতি খড়্গহস্ত হলেও প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে তোলার ইচ্ছা প্রকাশ করেন রাজনাথ। পাকিস্তানের সঙ্গে আলোচনার প্রসঙ্গে ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আজ হোক, কাল হোক, পাকিস্তানের সঙ্গে আলোচনায় যে অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে তা কেটে যাবে।’ সীমান্তে অবকাঠামো নির্মাণ নিয়ে সম্প্রতি চীনের সঙ্গে বিরোধে জড়িয়ে পড়ে ভারত। রাজনাথের বক্তব্যে আসে সেই প্রসঙ্গও। তিনি বলেন, ‘যখনই আমরা সীমান্তে কোনো অবকাঠামো তৈরি করতে যাই, পাকিস্তান আর চীন তখনই বাগড়া দিয়ে বসে। তবে এসবের পরেও আমরা সীমান্তে রাস্তাঘাটসহ নানা অবকাঠামো তৈরি করছি।’
Headlines from most popular newspapers of Bangladesh. বাংলাদেশে প্রকাশিত প্রধান প্রধান দৈনিক পত্রিকার সংবাদ শিরোনামগুলো এক নজরে দেখে নিন।
Sunday, November 23, 2014
আইএসআই কি পাকিস্তানের নয়?:প্রথম অালো
ঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেট (আইএস), উত্তর-পূর্ব ভারতের বিচ্ছিন্নতাবাদ ইত্যাদি প্রসঙ্গ তুলে ধরেন। তবে দৃশ্যত সবকিছু ছাপিয়ে আক্রমণের মূল লক্ষ্যবস্তু ছিল পাকিস্তান। রাজনাথ প্রশ্ন ছোড়েন, ‘আইএসআই কি পাকিস্তানের নয়? কে ওসামা বিন লাদেনকে সহায়তা করেছিল? হাফিজ সাইদকে এখন কারা সহায়তা করছে?’ আইএসআই (ইন্টার সার্ভিসেস ইনটেলিজেন্স) পাকিস্তানের প্রভাবশালী সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা। প্রতিষ্ঠানটি জঙ্গিবাদে প্রত্যক্ষ-পরোক্ষভাবে সহায়তা দেয় বলে ভারতসহ বিভিন্ন মহলের অভিযোগ রয়েছে। ভারতে ধারাবাহিক বোমা হামলায় অভিযুক্ত দাউদ ইব্রাহিম পাকিস্তানে আছেন, এমন দাবি করে রাজনাথ তাঁকে ফেরত না দেওয়ার জন্য পাকিস্তানকে অভিযুক্ত করেন। তিনি বলেন, ‘দাউদকে ফেরত দিতে আমরা পাকিস্তানকে বোঝানোর চেষ্টা করছি। আমরা এখন চাপ দেব। তাঁকে ফেরত পেতে আগের সরকারগুলোও চেষ্টা করেছে।’ ভারতের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা কেন কঠিন—আলোচ্য এ বিষয়ের ওপর রাজনাথ বলেন, ২০০৮ সালে মুম্বাই হামলার সঙ্গে জড়িত দুষ্কৃতকারীদের বিরুদ্ধেও পাকিস্তান ব্যবস্থা নিচ্ছে না। রাজনাথের আলোচনায় কাশ্মীর প্রসঙ্গও আসে। তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশে গণতন্ত্র আছে। আমরা জম্মু-কাশ্মীরের জনগণের কাছে ৩৭০ অনুচ্ছেদ নিয়ে বিতর্কের আহ্বান জানাই। এই অনুচ্ছেদের ফলে তারা কি বাড়তি সুবিধা পাচ্ছে না?’ কাশ্মীরি বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সঙ্গে আলোচনা প্রসঙ্গে রাজনাথ বলেন, ‘পাকিস্তানের অবস্থান যদি পরিষ্কার হয়, তবে আমাদের অবস্থানও পরিষ্কার।’ কাশ্মীর সীমান্তে নতুন করে উত্তেজনা এবং ভারতের সাম্প্রতিক এক বোমা বিস্ফোরণের তদন্তে পাকিস্তানের নাম আসার প্রেক্ষাপটে দেশটিকে এমন গরম কথা শোনালেন রাজনাথ সিং। পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমানের বিস্ফোরণ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পাকিস্তানের জঙ্গি সংগঠনের প্রশিক্ষিত বলে কথিত এক মিয়ানমারের নাগরিককে আটক করা হয়েছে। কাশ্মীর নিয়ে ‘রাজনীতি করার জন্য’ রাজনাথ দেশের বিরোধী দলগুলোর প্রতিও ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, বিরোধীরা ওই অঞ্চলের মানুষের মধ্যে ভীতি তৈরি করছে। আলোচনায় পাকিস্তানের প্রতি খড়্গহস্ত হলেও প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে তোলার ইচ্ছা প্রকাশ করেন রাজনাথ। পাকিস্তানের সঙ্গে আলোচনার প্রসঙ্গে ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আজ হোক, কাল হোক, পাকিস্তানের সঙ্গে আলোচনায় যে অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে তা কেটে যাবে।’ সীমান্তে অবকাঠামো নির্মাণ নিয়ে সম্প্রতি চীনের সঙ্গে বিরোধে জড়িয়ে পড়ে ভারত। রাজনাথের বক্তব্যে আসে সেই প্রসঙ্গও। তিনি বলেন, ‘যখনই আমরা সীমান্তে কোনো অবকাঠামো তৈরি করতে যাই, পাকিস্তান আর চীন তখনই বাগড়া দিয়ে বসে। তবে এসবের পরেও আমরা সীমান্তে রাস্তাঘাটসহ নানা অবকাঠামো তৈরি করছি।’
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment