দিনাজপুরের পার্বতীপুর উপজেলার বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি থেকে ৩০০ মেট্রিক টন কয়লা পাচারের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে জড়িত সন্দেহে তিন কর্মকর্তাসহ পাঁচজনকে গত বৃহস্পতিবার প্রত্যাহার করে নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির প্রশাসনিক কার্যালয় জানায়, ঢাকার সাভারের জিরানীবাজারে অবস্থিত রবিন ট্রেডার্সের মালিক মাসুম আলীর নামে একটি ব্যাংক ড্রাফট দেওয়া হয় খনির হিসাব বিভাগকে। ওই ব্যাংক ড্রাফটে টাকার পরি
মাণ উল্লেখ ছিল ২৭ লাখ ৬০ হাজার টাকা। ড্রাফটি দেওয়া হয় গত মে মাসে। এরপর ওই টাকার বিনিময়ে খনি থেকে ওই সময় সরকারি ছুটির দিনে ১৭টি ট্রাকে ৩০০ টন কয়লা নিয়ে যাওয়া হয়। তবে পরে ব্যাংক ড্রাফটি অগ্রণী ব্যাংকের ফুলবাড়ী শাখায় ভাঙাতে গেলে জানা যায় সেটা ভুয়া। এ ঘটনায় খনি কর্তৃপক্ষ ফুলবাড়ী থানায় একটি মামলা করে। এ ছাড়া ঘটনা তদন্তে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপসচিব সিদ্দিকা আক্তারের নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করা হয়। কমিটি গত সেপ্টেম্বর থেকে কয়লা পাচারের বিষয়টি তদন্ত করে দেখছে। এখনো প্রতিবেদন দেয়নি। তবে জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা (এনএসআই) ইতিমধ্যেই বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি কর্তৃপক্ষকে এ-সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন দাখিল করেছে। কয়লাখনির ব্যবস্থাপক (প্রশাসন) সালাহউদ্দিন জানান, এনএসআইয়ের প্রতিবেদনটি কর্তৃপক্ষ পর্যালোচনা করে দেখছে। সেই সূত্র ধরে কয়লা পাচারকাজে সহায়তাকারী হিসেবে তিন কর্মকর্তার নাম উঠে এসেছে। এঁরা হলেন, খনির মহাব্যবস্থাপক (অর্থ ও হিসাব) আবদুল মান্নান পাটোয়ারী, মহাব্যবস্থাপক (বিক্রয়) মো. কামরুল ইসলাম ও উপমহাব্যবস্থাপক (এডিজি) গোপাল চন্দ্র সাহা। এ ছাড়া খনির নিরাপত্তাকারী প্রতিষ্ঠান ব্লু স্টার সার্ভিসেসের দুই কর্মচারী মো. শাকিল আহমেদ ও রবিউল ইসলামও ওই ঘটনায় জড়িত থাকতে পারেন বলে এনএসআইয়ের প্রতিবেদনে উল্লেখ আছে। তিন কর্মকর্তাকে ব্যবস্থাপনা পরিচালকের (এমডি) দপ্তরে প্রত্যাহার (ক্লোজড) করা হয়েছে। নিরাপত্তাপ্রতিষ্ঠানও তাদের দুই কর্মচারীকে সরিয়ে নিয়েছে। কয়লাখনির মহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন) সিরাজুল ইসলাম গতকাল শুক্রবার প্রথম আলোকে জানান, অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত প্রমাণ পেলে বিভাগীয় ও আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
No comments:
Post a Comment