মাধ্যম জানিয়েছে। আর ঘটনাটি ঘটেছে মিজৌরির বার্কলে শহরে। এটি ফার্গুসন শহরের কাছে অবস্থিত। এই ফার্গুসনেই গত আগস্টে এক শ্বেতাঙ্গ পুলিশের হাতে নিরস্ত্র কৃষ্ণাঙ্গ যুবক মাইকেল ব্রাউন নিহত হন, যা নিয়ে দেশজুড়ে বিক্ষোভ শুরু হয়। স্থানীয় সেন্ট লুইস পুলিশ জানায়, স্থানীয় সময় মঙ্গলবার রাত সোয়া ১১টার দিকে বার্কলে শহরের একটি গ্যাস স্টেশনে নিয়মিত টহলে ছিলেন একজন পুলিশ কর্মকর্তা। একপর্যায়ে তিনি গাড়ি থেকে বের হয়ে স্টেশনে থাকা দুই ব্যক্তির দিকে অগ্রসর হন। তখন তাঁদের একজন অস্ত্র বের করে ওই কর্মকর্তার দিকে তাক করেন। সেন্ট লুইস পুলিশের মুখপাত্র ব্রায়ান শেলম্যান বলেন, জীবনের ভয়ে বার্কলের ওই পুলিশ কর্মকর্তা কয়েকটি গুলি ছোড়েন। এতে গুরুতর আহত হন অস্ত্রধারী যুবক। পরে তিনি মারা যান। তবে স্থানীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, পুলিশের বক্তব্যের সঙ্গে ভিন্নমত পোষণ করেছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। নিহত যুবক অ্যান্টোনিও মার্টিনের মা টনি মার্টিন সাংবাদিকদের বলেন, ‘তার (অ্যান্টোনিও) প্রেমিকা আমাকে বলেছে, পুলিশ তাদের সঙ্গে বিবাদে জড়িয়ে পড়ে। অ্যান্টোনিও দৌড়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশ গুলি ছোড়া শুরু করে।’ গ্যাস স্টেশনে থাকা একটি নিরাপত্তা ক্যামেরায় ঘটনার ভিডিও ধরা পড়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় কর্মকর্তারা। এ বিষয়ে গতকালই তাঁদের একটি সংবাদ সম্মেলন করার কথা ছিল। ভিডিওটি প্রকাশিত হলেই প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে। মার্টিন নিহত হওয়ার খবর জানাজানি হলে ঘটনাস্থলে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন শতাধিক মানুষ। একপর্যায়ে পুলিশের সঙ্গে তাঁদের সংঘর্ষ বেধে যায়। স্থানীয় টেলিভিশন চ্যানেলের খবরে বলা হয়, বিক্ষোভকারীদের মধ্য থেকে কেউ আতশবাজি গ্যাস স্টেশনটির দিকে ছুড়ে মারলে পুলিশ চড়াও হয়। তারা পেপার স্প্রে ছিটিয়ে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করলে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এর আগে গত আগস্ট মাসে মিজৌরির ফার্গুসন শহরে শ্বেতাঙ্গ পুলিশ কর্মকর্তার গুলিতে নিহত হন নিরস্ত্র কৃষ্ণাঙ্গ যুবক মাইকেল ব্রাউন। সম্প্রতি সেই পুলিশ কর্মকর্তাকে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেয় জুরি বোর্ড। নিউইয়র্কে ঘটে একই ধরনের ঘটনা। ১৭ জুলাই নগরের স্টাটেন আইল্যান্ডে ৪৩ বছর বয়স্ক কৃষ্ণাঙ্গ এরিক গার্নার পুলিশের এক শ্বেতাঙ্গ কর্মকর্তার হাতে শ্বাসরোধের কারণে হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন। সেই কর্মকর্তাও অভিযোগ থেকে অব্যাহতি পেয়ে যান জুরি বোর্ডের সিদ্ধান্তে। এসব ঘটনার পর যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে প্রতিবাদ-বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। প্রশ্ন ওঠে পুলিশের বর্ণবাদী আচরণ নিয়ে। এরই মধ্যে চলতি সপ্তাহে দেশটিতে পুলিশ হত্যাকাণ্ডের দুটি ঘটনা ঘটে। ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যে গত রোববার গুলি করে ও গাড়িচাপা দিয়ে এক পুলিশ কর্মকর্তাকে হত্যা করেন এক যুবক। তার আগের দিন নিউইয়র্কে এক যুবকের গুলিতে দুই পুলিশ কর্মকর্তা নিহত হন।
Headlines from most popular newspapers of Bangladesh. বাংলাদেশে প্রকাশিত প্রধান প্রধান দৈনিক পত্রিকার সংবাদ শিরোনামগুলো এক নজরে দেখে নিন।
Thursday, December 25, 2014
মিজৌরিতে আবার পুলিশের গুলিতে কৃষ্ণাঙ্গ যুবক নিহত:প্রথম অালো
মাধ্যম জানিয়েছে। আর ঘটনাটি ঘটেছে মিজৌরির বার্কলে শহরে। এটি ফার্গুসন শহরের কাছে অবস্থিত। এই ফার্গুসনেই গত আগস্টে এক শ্বেতাঙ্গ পুলিশের হাতে নিরস্ত্র কৃষ্ণাঙ্গ যুবক মাইকেল ব্রাউন নিহত হন, যা নিয়ে দেশজুড়ে বিক্ষোভ শুরু হয়। স্থানীয় সেন্ট লুইস পুলিশ জানায়, স্থানীয় সময় মঙ্গলবার রাত সোয়া ১১টার দিকে বার্কলে শহরের একটি গ্যাস স্টেশনে নিয়মিত টহলে ছিলেন একজন পুলিশ কর্মকর্তা। একপর্যায়ে তিনি গাড়ি থেকে বের হয়ে স্টেশনে থাকা দুই ব্যক্তির দিকে অগ্রসর হন। তখন তাঁদের একজন অস্ত্র বের করে ওই কর্মকর্তার দিকে তাক করেন। সেন্ট লুইস পুলিশের মুখপাত্র ব্রায়ান শেলম্যান বলেন, জীবনের ভয়ে বার্কলের ওই পুলিশ কর্মকর্তা কয়েকটি গুলি ছোড়েন। এতে গুরুতর আহত হন অস্ত্রধারী যুবক। পরে তিনি মারা যান। তবে স্থানীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, পুলিশের বক্তব্যের সঙ্গে ভিন্নমত পোষণ করেছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। নিহত যুবক অ্যান্টোনিও মার্টিনের মা টনি মার্টিন সাংবাদিকদের বলেন, ‘তার (অ্যান্টোনিও) প্রেমিকা আমাকে বলেছে, পুলিশ তাদের সঙ্গে বিবাদে জড়িয়ে পড়ে। অ্যান্টোনিও দৌড়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশ গুলি ছোড়া শুরু করে।’ গ্যাস স্টেশনে থাকা একটি নিরাপত্তা ক্যামেরায় ঘটনার ভিডিও ধরা পড়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় কর্মকর্তারা। এ বিষয়ে গতকালই তাঁদের একটি সংবাদ সম্মেলন করার কথা ছিল। ভিডিওটি প্রকাশিত হলেই প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে। মার্টিন নিহত হওয়ার খবর জানাজানি হলে ঘটনাস্থলে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন শতাধিক মানুষ। একপর্যায়ে পুলিশের সঙ্গে তাঁদের সংঘর্ষ বেধে যায়। স্থানীয় টেলিভিশন চ্যানেলের খবরে বলা হয়, বিক্ষোভকারীদের মধ্য থেকে কেউ আতশবাজি গ্যাস স্টেশনটির দিকে ছুড়ে মারলে পুলিশ চড়াও হয়। তারা পেপার স্প্রে ছিটিয়ে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করলে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এর আগে গত আগস্ট মাসে মিজৌরির ফার্গুসন শহরে শ্বেতাঙ্গ পুলিশ কর্মকর্তার গুলিতে নিহত হন নিরস্ত্র কৃষ্ণাঙ্গ যুবক মাইকেল ব্রাউন। সম্প্রতি সেই পুলিশ কর্মকর্তাকে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেয় জুরি বোর্ড। নিউইয়র্কে ঘটে একই ধরনের ঘটনা। ১৭ জুলাই নগরের স্টাটেন আইল্যান্ডে ৪৩ বছর বয়স্ক কৃষ্ণাঙ্গ এরিক গার্নার পুলিশের এক শ্বেতাঙ্গ কর্মকর্তার হাতে শ্বাসরোধের কারণে হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন। সেই কর্মকর্তাও অভিযোগ থেকে অব্যাহতি পেয়ে যান জুরি বোর্ডের সিদ্ধান্তে। এসব ঘটনার পর যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে প্রতিবাদ-বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। প্রশ্ন ওঠে পুলিশের বর্ণবাদী আচরণ নিয়ে। এরই মধ্যে চলতি সপ্তাহে দেশটিতে পুলিশ হত্যাকাণ্ডের দুটি ঘটনা ঘটে। ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যে গত রোববার গুলি করে ও গাড়িচাপা দিয়ে এক পুলিশ কর্মকর্তাকে হত্যা করেন এক যুবক। তার আগের দিন নিউইয়র্কে এক যুবকের গুলিতে দুই পুলিশ কর্মকর্তা নিহত হন।
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment