Friday, September 5, 2014

ব্যক্তি উদ্যোক্তাদের বিশেষ বরাদ্দ দেবে সরকার : আমু:নয়াদিগন্ত

শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু বলেছেন, ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত করতে সরকার ব্যক্তি উদ্যোক্তাদের জন্য বিশেষ বরাদ্দের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। গতকাল রাজধানীর ব্র্যাক সেন্টারে ‘গ্লোবাল কম্পিটেটিভ রিপোর্ট ২০১৪-১৫’ প্রকাশ উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনায় অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন তিনি। রিপোর্টে জানানো হয়, বিশ্ব অর্থনৈতিক সূচকে বাংলাদেশ একধাপ এগিয়েছে। ২০১৩ সালের ১১০তম স্থান থেকে এ বছর ১০৯ এ উন্নীত হয়ে
ছে। সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা মনজুর-ই এলাহী, সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ড. মোস্তাফিজুর রহমানসহ বিশিষ্টজনেরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন। সভায় মূল প্রতিবেদন তুলে ধরেন সিপিডির অতিরিক্ত গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম। অনুষ্ঠানে বলা হয়, সুযোগ ও সামর্থ্যরে তুলনায় বাংলাদেশের এ অবস্থা অনেক কম। বাংলাদেশের প্রধান অর্থনৈতিক প্রতিযোগী ভিয়েতনামসহ অন্য দেশগুলো এ সূচকে অনেক ভালো করেছে। দণি এশিয়ার দেশ ভুটান ৬ ধাপ এগিয়ে ১০৯ থেকে এসেছে ১০৩-এ। প্রতিবেদন উপস্থাপন করে গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, অর্থনীতির বাজার কিছুটা সম্প্রসারিত হলেও কিছু সমস্যার সমাধান না হওয়ায় বাংলাদেশ বিশ্ব অর্থনৈতিক সমতা সূচকে একই অবস্থানে ঘুরছে। অবকাঠামো উন্নয়ন, দুর্নীতি ও আস্থাহীন প্রশাসনের কারণে দেশের অর্থনৈতিক সূচকে অগ্রগতি নেই বলে মন্তব্য সিপিডির। এতে বলা হয়, প্রযুক্তির ব্যবহার কিছুটা বাড়লেও তা দেশের অর্থনৈতিক সূচক অগ্রগতিতে তেমন প্রভাব ফেলছে না। শিল্পমন্ত্রী বলেন, দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য বাংলাদেশ সরকার ২০১১ সালে ১০ বছরমেয়াদি বিশেষ ল্যমাত্রা হাতে নিয়েছিল। এর অনেক অংশই এখন বাস্তবায়নের পথে। দেশে জিডিপির প্রবৃদ্ধি বাড়ছে। রফতানি আয় প্রতিবেশী দেশের তুলনায় অনেক বেড়েছে দাবি করে তিনি বলেন, প্রবাসী আয়ের পরিমাণও ল্যমাত্রা ছাড়িয়ে গেছে। বিদ্যুৎ ও জ্বালানির েেত্র অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জিত হয়েছে। আমু বলেন, আমাদের ল্যমাত্রা হলোÑ ২০২১ সালের মধ্যে দেশকে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত করা। এ ল্েয সরকারি উদ্যোগের পাশাপাশি ব্যক্তি উদ্যোক্তাদের জন্য বিশেষ বরাদ্দের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এর মধ্যে এসএমই ঋণের হার বাড়ানো, পোশাক শিল্পসহ বেশ কিছু খাতে কর অবকাশ সুবিধা ও বিশেষ অঞ্চল গড়ে শিল্পকারখানার জন্য বিশেষ সুবিধা দেয়া, কারিগরি শিার বিস্তার লাভ, তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর শিল্প ও শিাব্যবস্থা গড়ে তোলার মতো পদপে নেয়া হয়েছে। বিশ্ব অর্থনৈতিক উন্নয়ন সূচকে বাংলাদেশের এক ধাপ আগানোর প্রসঙ্গে তিনি বলেন, শিল্প খাতে বিশেষ সুবিধা ও কারিগরি জ্ঞানের প্রসার ঘটানোর কারণে বাংলাদেশের অর্থনীতির রেটিং পয়েন্ট এগিয়েছে। তবে গত বছরের রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা না থাকলে বাংলাদেশ আরো ভালো করত। প্রতিবেদনে অবকাঠামো উন্নয়ন না হওয়া ও দুর্নীতির প্রতিরোধ না করার বিষয়ে তিনি বলেন, দুর্নীতি দমন কমিশন স্বাধীন প্রতিষ্ঠান। তারা বর্তমান সরকারের মন্ত্রী-এমপি সচিবদের বিরুদ্ধেও মামলা করছে। আর অবকাঠামো উন্নয়নের ওপর জোর দেয়া হয়েছে। শিগগিরই এ দুর্বলতা থেকে বেরিয়ে আসা হবে।

No comments:

Post a Comment