তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির উন্নতির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে সাইবার অপরাধও বাড়ছে। এর অনৈতিক ব্যবহার সামাজিক অবক্ষয়ের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রশিক্ষিত সাইবার অপরাধীরা প্রক্সি ব্য
বহার করে নিজের আইপি গোপন রেখে অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে। ফেসবুক ও টুইটারের মতো জনপ্রিয় যোগাযোগ মাধ্যমগুলো সামাজিকভাবে সহযোগিতা করলেও কিছু অসাধু লোকের কারণে এসব অনেকের জন্যই বুমেরাং হয়ে দাঁড়াচ্ছে। এসব মাধ্যমের অপব্যবহার অনেকের ব্যক্তিজীবনে বিপর্যয় ঘটাচ্ছে। ভুক্তভোগীরা অনেক ক্ষেত্রে আত্মহত্যার পথ বেছে নিচ্ছে। অনেকের দাম্পত্য জীবনে অশান্তি নেমে আসছে; সংসার ভাঙছে। এ ছাড়া বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে যারা মৌলবাদী ও জঙ্গিবাদী কার্যক্রমে জড়িত, তারা প্রচারমাধ্যম হিসেবে সামাজিক যোগাযোগের এসব সাইট ব্যবহার করছে। এ উদ্বেগের কথা ব্যক্ত করা হয়েছে সম্প্রতি অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) ১৭৪তম সভায় উপস্থাপিত সাইবার অপরাধ রোধ সম্পর্কিত একটি কার্যপত্রে। বিটিআরসির ভাইস চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আহসান হাবিব খান (অব.) এটি উপস্থাপন করেন। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, সাইবার অপরাধ সম্পর্কে গণমাধ্যমে যেসব তথ্য আসছে তার চেয়েও অনেক ব্যাপক অপরাধীদের তৎপরতা। এ অপরাধ দমনে যাঁরা কাজ করছেন, তাঁদের কাছে সাধারণ ভুক্তভোগীদের অভিযোগ তেমন গুরুত্ব পায় না। রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি কিংবা প্রতিষ্ঠান নিয়েই তাঁদের ব্যস্ততা বেশি। এ অপরাধ দমনের জন্য তোড়জোড়ও তেমন নেই। এ বিষয়ে সরকারের এক সংস্থার সঙ্গে আরেক সংস্থার সমন্বয়ও নেই। সম্প্রতি তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ থেকে ন্যাশনাল কম্পিউটার ইনসিডেন্ট রেসপন্স টিম গঠন করা হয়েছে। এ বিষয়ে তাদের অভ্যন্তরীণ প্রশিক্ষণ চলছে। আইন প্রয়োগকারী সংস্থাও একই বিষয়ে কাজ করছে। বিটিআরসির কর্মকর্তাদের ধারণা, তাঁরাই এ বিষয়ে ক্ষমতাপ্রাপ্ত। দুই বছর আগে বিটিআরসি বিশেষ সভা ডেকে বাংলাদেশ সাইবার সিকিউরিটি ইনসিডেন্ট রেসপন্স টিম বা 'বিডি সার্ট' নামের একটি টিম গঠন করে। সাইবার ক্রাইম নিয়ন্ত্রণের জন্য বাংলাদেশ ফেসবুক ও গুগলের অ্যাডমিন প্যানেল করা জরুরি হয়ে পড়েছে। কাজটি বিটিআরসি করতে চায়। বেসরকারি পর্র্যায়ে বাংলাদেশ কম্পিউটার ইমার্জেন্সি রেসপন্স টিম নামের একটি সংগঠন এ ব্যাপারে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। সংগঠনের চেয়ারম্যান আইপি (ইন্টারনেট প্রোটোকল) বিশেষজ্ঞ ও বিডিকম অনলাইন লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সুমন আহমেদ সাবির গতকাল বুধবার কালের কণ্ঠকে বলেন, 'ক্রেডিট কার্ড জালিয়াতি, ই-মেইলের মাধ্যমে প্রতারণা, ওয়েবসাইট হ্যাকিং- এসব অপরাধও ঘটছে। আমরা এসব ঘটনা প্রতিরোধে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে চলি।' তাঁর ধারণা, সাইবার অপরাধ দমনে সরকারের বিভিন্ন সংস্থা কাজ করলেও তাদের প্রশিক্ষিত জনবলের অভাব রয়েছে। প্রসঙ্গত, সম্প্রতি প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফেসবুকের মাধ্যমে ফাঁস করা হয় বলে অভিযোগ ওঠে। ২০১২ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর ফেসবুকে বিতর্কিত ছবি ট্যাগের (যুক্ত) ঘটনাকে কেন্দ্র করে কক্সবাজারের রামুর বিভিন্ন বৌদ্ধবিহার ও বসতিতে ব্যাপক হামলা চালানো হয়, অগ্নিসংযোগ করা হয়। হামলাকারীরা প্রাচীন বিহারগুলোতে ধ্বংসযজ্ঞ চালায়। এর জের ধরে চট্টগ্রামের পটিয়া এবং পরে কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের বৌদ্ধ ও হিন্দু মন্দির, বসতিতে হামলার ঘটনা ঘটে। শাহবাগে গণজাগরণ মঞ্চের কর্মী রাজীব হত্যাকাণ্ডের পর ফেসবুক পেজ 'বাঁশের কেল্লা' ও 'নূরানী চাপা' ব্লগ তাঁকে 'নাস্তিক' আখ্যা দিয়ে অপপ্রচার চালায়। ওই সব পেজের পোস্ট/মন্তব্য কয়েকটি পত্রিকায় ছাপিয়ে ধর্মীয় উন্মাদনা ছড়ানো হয় বলেও অভিযোগ রয়েছে। গত ২৪ সেপ্টেম্বর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ব্যঙ্গ করে গান তৈরি করে প্রচার করার দায়ে খুলনার দাকোপ উপজেলার গুরকাঠি গ্রামের তন্ময় মল্লিক নামের এক যুবককে সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন সাইবার অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিচারক এ কে এম সামসুল ইসলাম। রায়ে একই সঙ্গে তাঁকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরো ছয় মাসের কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়। সাইবার অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গঠনের আট মাসের মাথায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনে করা মামলায় এটাই ছিল প্রথম কোনো আসামির দণ্ডাদেশ। গত জানুয়ারিতে রাজধানী ঢাকায় 'সাইবার ক্রাইম এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের প্রয়োগ' শীর্ষক এক কর্মশালায় পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়, দেশে সাইবার অপরাধীদের তৎপরতা গত এক বছরে দ্বিগুণ হয়েছে। অনেক ক্ষেত্রেই তাদের দক্ষতার সঙ্গে কুলিয়ে উঠতে পুলিশকে গলদঘর্ম হতে হয়েছে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে সাইবার অপরাধের শিকার ব্যক্তিরা অভিযোগ করেন না বলে পুলিশ প্রতিকারমূলক ব্যবস্থা নিতে পারে না। কর্মশালায় ঢাকা মহানগর পুলিশের কমিশনার বেনজীর আহমেদ বলেন, অপরাধ ও সন্ত্রাস দমনে গতানুগতিক পদ্ধতি ব্যবহারের দিন শেষ। অপরাধীরা নতুন নতুন প্রযুক্তি ব্যবহার করছে। তাই বাড়ছে সাইবার অপরাধ। বাঁশের কেল্লা বা নিউ বাঁশের কেল্লা ওয়েবসাইটের মাধ্যমে পুলিশের ওপর কিভাবে হামলা করতে হবে, বোমা কিভাবে তৈরি করতে হবে- এসব বিষয়ে তথ্য ছড়ানো হচ্ছে। শুধু পুলিশ নয়, প্রধানমন্ত্রীও সাইবার অপরাধের শিকার হয়েছেন। কর্মশালায় ঢাকা মহানগর পুলিশের যুগ্ম কমিশনার মনিরুল ইসলাম বলেন, 'আমরা স্বয়ংসম্পূর্ণ নই। আমাদের প্রশাসনিক ও কাঠামোগত কিছু সমস্যা রয়েছে। বিটিআরসি, ফেসবুক ও গুগল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আমাদের সহযোগিতাবিষয়ক চুক্তি থাকা দরকার। এর বাইরে আমাদের প্রযুক্তিগত সরঞ্জামাদি ও প্রশিক্ষিত জনবল বাড়ানোর বিষয়টি আমরা সরকারকে জানিয়েছি।' গত ২৩ সেপ্টেম্বর জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ অনলাইন মিডিয়া অ্যাসোসিয়েশনের দ্বিতীয় বর্ষপূর্তি ও ওয়েবসাইট উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, সরকার ইন্টারনেটকে মাঠ পর্যায়ে সাধারণ মানুষের নাগালের মধ্যে নিয়ে এসেছে। এ পরিপ্রেক্ষিতে সাইবার ক্রাইম বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা অমূলক নয়। তিনি জানান, পুলিশের সাইবার ক্রাইম ডিপার্টমেন্ট খোলার জন্য সদস্যদের প্রশিক্ষণ চলছে। নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসির সাম্প্রতিক উপলব্ধি, এ অপরাধ নিয়ন্ত্রণের জন্য দেশে ফেসবুক ও গুগলের অ্যাডমিন প্যানেল চালু করতে হবে। এ বিষয়ে ফেসবুক ও গুগল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সমঝোতায় আসতে হবে। তাদের সঙ্গে চুক্তি করতে হবে। তা না হলে ফেসবুক, গুগল, টুইটারের আপত্তিকর বা ক্ষতিকর কনটেন্ট সরাতে সংশ্লিষ্ট অ্যাকাউন্ট, লিঙ্ক বা পেইজ বন্ধ করা যাবে না। এর আগে ফেসবুক, ইউটিউব পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়ার পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, কিন্তু সুফল পাওয়া যায়নি। বরং এসব জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সুবিধা গ্রহণ থেকে জনসাধারণকে সাময়িকভাবে বঞ্চিত করা হয়েছে। ফেসবুক ও গুগলের অ্যাডমিন প্যানেল করার দায়িত্ব কার? এতে কর্তৃত্ব কার থাকবে- এসব প্রশ্নের উত্তর এখনো পাওয়া যাচ্ছে না। তবে বিটিআরসির সিদ্ধান্ত টেলিযোগাযোগ আইন-২০০১ অনুসারে এ উদ্যোগ তাদেরই নিতে হবে। এ বিষয়ে তারা যে ক্ষমতাপ্রাপ্ত তা সরকারকে জানানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংস্থাটি। বিটিআরসির ১৭৪তম সভায় ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আহসান হাবিব খান (অব.) সাইবার অপরাধ নিয়ন্ত্রণে বিটিআরসির কার্যক্রম সম্পর্কে জানান, বাংলাদেশে ইন্টারন্যাশনাল ইন্টারনেট গেটওয়ে (আইআইজি) প্রতিষ্ঠানগুলোয় পর্যাপ্ত দক্ষ জনবল নেই। ফলে সাইবার অপরাধ পর্যবেক্ষণ করা সম্ভব হচ্ছে না। বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ আইন-২০০১-এর ৬৬ থেকে ৭৪ ধারা পর্যন্ত কম্পিউটার-কেন্দ্রিক অপরাধসমূহের বর্ণনা এবং শাস্তির বিধান উল্লেখ করা হয়েছে। এ-সংক্রান্ত কাজ সম্পন্ন করার জন্য ওই আইনের ১৬ ধারায় কমিটি গঠনের ক্ষমতা বিটিআরসিকে দেওয়া হয়েছে। সূত্র জানায়, সাইবার অপরাধের মাধ্যমে তথ্য-উপাত্ত পাচার, পরিচয় চুরি, মানুষকে উত্ত্যক্ত করা, নিরাপত্তা বিঘ্নিত করা প্রভৃতি রোধ করার জন্য বিটিআরসি ২০১২ সালের ১৩ জানুয়ারি বিশেষ সভা ডেকে বাংলাদেশ সাইবার সিকিউরিটি ইনসিডেন্ট রেসপন্স টিম বা 'বিডি সার্ট' নামে একটি টিম গঠন করে। বিটিআরসির সিস্টেমস অ্যান্ড সার্ভিসেস বিভাগের তত্ত্বাবধানে টিমের কার্যক্রম পরিচালিত হয়। বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এবং ব্যক্তি পর্যায় থেকে পাওয়া অভিযোগমূলক তথ্য-উপাত্ত যাচাই-বাছাই করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া বিডি সার্টের অন্যতম কাজ। ওই টিমের মাধ্যমে সরকারের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে আসা অভিযোগের ভিত্তিতে বিভিন্ন ওয়েবসাইট ফিল্টারিং করা হয়ে থাকে। ইতিমধ্যে ডিজিএফআই, এনটিএমসি এবং সরকারের অন্যান্য প্রতিষ্ঠান থেকে জানানো অসংখ্য সরকারবিরোধী ও ধর্মবিরোধী কনটেন্ট আইআইজির মাধ্যমে বন্ধ বা অপসারণ করা হয়েছে। ব্যক্তি পর্যায় থেকে পাওয়া অভিযোগের ভিত্তিতেও অনেক কনটেন্ট আইআইজির মাধ্যমে অপসারণ করা হয়েছে। তবে ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমের কনটেন্ট বন্ধ বা অপসারণ করা সম্ভব হয় না। বিডি সার্টকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে ইন্টারনেট সেফটি বিষয়ে বিশেষ হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যার কেনার কার্যক্রম চলমান। ক্রয়-প্রক্রিয়া শেষে বিশেষায়িত যন্ত্র স্থাপন সম্ভব হলে ক্ষতিকর কনটেন্ট আইআইজি পর্যায়ে বন্ধ করা সম্ভব হবে। এতে গুগলসংশ্লিষ্ট কনটেন্টও বন্ধ করা যাবে। বিটিআরসির ওই সভায় এ-সংক্রান্ত প্রতিবেদনে বিডি সার্ট কিভাবে কাজ করে তা জানানো হয়। বলা হয়, বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এবং ব্যক্তি পর্যায় থেকে লোকাল কোনো লিঙ্ক, ইউআরএল ও ব্লগের লিঙ্ক বন্ধ করার বিষয়ে বিটিআরসির কাছে অনুরোধ করলে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে তা সব আইআইজি অপারেটরের কাছে পাঠানো হয়। সে অনুসারে আইআইজি অপারেটররা ব্যবস্থা নেয়। এ ক্ষেত্রে বিতর্কিত পেজ বা লিঙ্ক বন্ধ করার জন্য বিটিআরসিকে অবশ্যই লিখিতভাবে অনুরোধ করতে হয়। মৌখিক অনুরোধ বা মতামত গ্রহণ করা হয় না। যেসব ব্লগের সি-প্যানেল অথরিটি বাংলাদেশে ন্যস্ত রয়েছে সেসব ব্লগের লিঙ্ক, ইউআরএল (যেমন- সামহোয়্যারইনবাংলাদেশ) বন্ধ করার জন্য সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানকে জানাতে হয়। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রমের ওপর নির্ভরশীল এবং সময়সাপেক্ষ। সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগ করতে না পারলে আইআইজি অপারেটরদের মাধ্যমে ব্যবস্থা নেওয়া হয়। এ ছাড়া সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় বা প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইট ফিল্টারিংয়ের জন্য বিটিআরসি থেকে ভালনারেবিলিটি স্ক্যানিং করা হয়। এর মাধ্যমে ওয়েবসাইটগুলোয় ক্ষতিকারক কী কী কনটেন্ট রয়েছে সেসব জেনে ব্যবহারকারী মন্ত্রণালয় বা প্রতিষ্ঠানকে জানিয়ে দেওয়া হয়।
No comments:
Post a Comment