রিয়া সম্পন্ন করতে আরো সময়ের প্রয়োজন। অবশ্য কয়েক মাস আগে জেলকোডে সংশোধনী এনে সরকারি প্রথম শ্রেণীর কর্মকর্তাদের কারাগারে প্রথম শ্রেণী দেয়ার বিধান করে প্রজ্ঞাপন আকারে জারি করা হয়েছে। ১৮৬৪ সালের আইনের আওতায় বর্তমানে জেলকোড ব্যবহার হচ্ছে। আইনটি প্রয়োগ করতে গিয়ে কারা কর্তৃপক্ষকে অনেক সময় নানা ধরনের সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। কারাবন্দীদের সুযোগ-সুবিধার কথা বিবেচনা করে সরকার যুগোপযোগী নতুন জেলকোড প্রণয়নের উদ্যোগ নেয়। এ দিকে দেশের কারাগারগুলোতে বন্দী ধারণ ক্ষমতার দ্বিগুণ প্রায় ৮০ হাজার কয়েদি কারাগারগুলোতে অবস্থান করছেন। দুর্নীতি, সন্ত্রাস ও বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতাদের আটকাদেশের ফলে এ সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। জানা যায়, জেলকোডের প্রথম সংস্করণ হয় ১৮৬৪ সালে। স্বাধীনতার পর ৪ নভেম্বর ১৯৭৮ সালে সরকার সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি এফ কে এম এ মুনিমকে চেয়ারম্যান করে ১০ সদস্যের কারা সংস্কার কমিশন গঠন করে। এই কমিশনের সুপারিশের মধ্যে জেলকোড সংশোধন করার কথা বলা হয়। ১৯৭৮ সালে গঠিত কারা সংস্কার কমিশন মোট ১৮০টি সুপারিশসহ একটি প্রতিবেদন তৎকালীন সরকারের কাছে দাখিল করলেও দীর্ঘ দিন ওই কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়ন হয়নি। এরপর দীর্ঘ বিরতি দিয়ে ২০০২ সালে চারদলীয় জোট সরকারের সময়ে তৎকালীন আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদকে আহ্বায়ক করে সাত সদস্যের একটি কারাসংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি গঠন করা হয়েছিল। জেলকোড সংশোধনে এই কমিটি ৬০ সভার মাধ্যমে খসড়া প্রস্তাব চূড়ান্ত করে, যা ২০০৬ সালের ৯ অক্টোবর মন্ত্রিসভায় অনুমোদন দেয়া হয়। কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সাজাপ্রাপ্ত আসামির সাজার মেয়াদ থেকে হাজতকালীন সময়কে বাদ দেয়া বা গণনা করার সংশোধন এনে ফৌজদারি কার্যবিধি আইনের ৩৫-এ সংশোধন আনা হয়েছিল। এ ছাড়া কাশিমপুর, চট্টগ্রাম, নারায়ণগঞ্জ, সাতক্ষীরা, নওগাঁ, মুন্সীগঞ্জসহ ১২টি জেলায় কারাগার সম্প্রসারণের কাজ করেছে তৎকালীন বিএনপি জোট সরকার। কারা সংস্কার কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বিভিন্ন জেলায় আটক বন্দী, যারা অপরাধের বিপরীতে সাজার মেয়াদের চেয়ে বেশি সময় কারাগারে অবস্থান করছে, তাদের মধ্যে ২৫ জনকে ২০০২ সালে সাধারণ ক্ষমার মাধ্যমে মুক্ত করা হয়। এসব কার্যক্রমের পরও শেষমুহূর্তে জোট সরকার জেলকোডের সংশোধনী এনে তা আর বাস্তবায়নের জন্য এসআরো বা গেজেট বিজ্ঞপ্তি জারি করে যেতে পারেনি। বিষয়টি দীর্ঘ দিন ঝুলে থাকার পর এই সংশোধনীকে আরো যুুগোপযোগী করতে বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে ১১ সদস্যের পৃথক একটি কমিটি গঠন করার মাধ্যমে কাজ শুরু করে।
Headlines from most popular newspapers of Bangladesh. বাংলাদেশে প্রকাশিত প্রধান প্রধান দৈনিক পত্রিকার সংবাদ শিরোনামগুলো এক নজরে দেখে নিন।
Friday, December 19, 2014
দেড় শ’ বছরের জেলকোডে ব্যাপক পরিবর্তন আসছে:নয়াদিগন্ত
রিয়া সম্পন্ন করতে আরো সময়ের প্রয়োজন। অবশ্য কয়েক মাস আগে জেলকোডে সংশোধনী এনে সরকারি প্রথম শ্রেণীর কর্মকর্তাদের কারাগারে প্রথম শ্রেণী দেয়ার বিধান করে প্রজ্ঞাপন আকারে জারি করা হয়েছে। ১৮৬৪ সালের আইনের আওতায় বর্তমানে জেলকোড ব্যবহার হচ্ছে। আইনটি প্রয়োগ করতে গিয়ে কারা কর্তৃপক্ষকে অনেক সময় নানা ধরনের সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। কারাবন্দীদের সুযোগ-সুবিধার কথা বিবেচনা করে সরকার যুগোপযোগী নতুন জেলকোড প্রণয়নের উদ্যোগ নেয়। এ দিকে দেশের কারাগারগুলোতে বন্দী ধারণ ক্ষমতার দ্বিগুণ প্রায় ৮০ হাজার কয়েদি কারাগারগুলোতে অবস্থান করছেন। দুর্নীতি, সন্ত্রাস ও বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতাদের আটকাদেশের ফলে এ সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। জানা যায়, জেলকোডের প্রথম সংস্করণ হয় ১৮৬৪ সালে। স্বাধীনতার পর ৪ নভেম্বর ১৯৭৮ সালে সরকার সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি এফ কে এম এ মুনিমকে চেয়ারম্যান করে ১০ সদস্যের কারা সংস্কার কমিশন গঠন করে। এই কমিশনের সুপারিশের মধ্যে জেলকোড সংশোধন করার কথা বলা হয়। ১৯৭৮ সালে গঠিত কারা সংস্কার কমিশন মোট ১৮০টি সুপারিশসহ একটি প্রতিবেদন তৎকালীন সরকারের কাছে দাখিল করলেও দীর্ঘ দিন ওই কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়ন হয়নি। এরপর দীর্ঘ বিরতি দিয়ে ২০০২ সালে চারদলীয় জোট সরকারের সময়ে তৎকালীন আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদকে আহ্বায়ক করে সাত সদস্যের একটি কারাসংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি গঠন করা হয়েছিল। জেলকোড সংশোধনে এই কমিটি ৬০ সভার মাধ্যমে খসড়া প্রস্তাব চূড়ান্ত করে, যা ২০০৬ সালের ৯ অক্টোবর মন্ত্রিসভায় অনুমোদন দেয়া হয়। কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সাজাপ্রাপ্ত আসামির সাজার মেয়াদ থেকে হাজতকালীন সময়কে বাদ দেয়া বা গণনা করার সংশোধন এনে ফৌজদারি কার্যবিধি আইনের ৩৫-এ সংশোধন আনা হয়েছিল। এ ছাড়া কাশিমপুর, চট্টগ্রাম, নারায়ণগঞ্জ, সাতক্ষীরা, নওগাঁ, মুন্সীগঞ্জসহ ১২টি জেলায় কারাগার সম্প্রসারণের কাজ করেছে তৎকালীন বিএনপি জোট সরকার। কারা সংস্কার কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বিভিন্ন জেলায় আটক বন্দী, যারা অপরাধের বিপরীতে সাজার মেয়াদের চেয়ে বেশি সময় কারাগারে অবস্থান করছে, তাদের মধ্যে ২৫ জনকে ২০০২ সালে সাধারণ ক্ষমার মাধ্যমে মুক্ত করা হয়। এসব কার্যক্রমের পরও শেষমুহূর্তে জোট সরকার জেলকোডের সংশোধনী এনে তা আর বাস্তবায়নের জন্য এসআরো বা গেজেট বিজ্ঞপ্তি জারি করে যেতে পারেনি। বিষয়টি দীর্ঘ দিন ঝুলে থাকার পর এই সংশোধনীকে আরো যুুগোপযোগী করতে বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে ১১ সদস্যের পৃথক একটি কমিটি গঠন করার মাধ্যমে কাজ শুরু করে।
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment