প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গতকাল বলেছেন, দেশে শান্তিপূর্ণ পরিস্থিতি বিরাজ করায় সব ধর্ম বিশ্বাসের লোকজন তাদের নিজেদের উৎসবগুলো উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে উদযাপন করছে। তিনি বলেন, ‘৫ জানুয়ারির নির্বাচনের পর আমরা সব ক্ষেত্রে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড শক্ত হাতে দমন করায় এ শান্তিপূর্ণ পরিস্থিতি বিরাজ করছে।’ প্রধানমন্ত্রী গতকাল সন্ধ্যায় তার সরকারি বাসভবন গণভবনে বড়দিন উপলক্ষে খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের সদস্যদের সাথ
ে শুভেচ্ছা বিনিময়কালে এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেনÑ ধর্মমন্ত্রী অধ্যক্ষ মতিউর রহমান, বাংলাদেশ খ্রিষ্টান অ্যাসোসিয়েশনের (বিসিএ) সভাপতি ও সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট প্রমোদ মানকিন, খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের শীর্ষ ধর্মীয় নেতা আর্চ বিশপ প্যাট্রিক ডি রোজারিও, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা তপন চৌধুরী এবং বিসিএর মহাসচিব নির্মল রোজারিও। ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের আগে বিএনপি-জামায়াত জোটের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের বিষয়টি উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি-জামায়াত জোটের সন্ত্রাসী কার্যকলাপের কারণে ওই সময় সারা দেশে আতঙ্কের পরিবেশ বিরাজ করছিল। তিনি বলেন, ‘আন্দোলনে জনগণের সাড়া না পেয়ে তারা ৫ জানুয়ারির নির্বাচন বানচালের জন্য পুড়িয়ে মানুষ হত্যা, যানবাহন ও মসজিদে আগুন দেয়া এবং পবিত্র কুরআন শরীফ পোড়ানোসহ সব ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়েছিল।’ প্রধানমন্ত্রী স্মরণ করেন, এ কারণে সে সময় দেশের খ্রিষ্টান সম্প্রদায়কে আতঙ্কের মধ্যে বড়দিন উদযাপন করতে হয়েছিল। শেখ হাসিনা বক্তৃতাকালে বড়দিন উপলক্ষে সারা দেশের খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের সদস্যদের অভিনন্দন জানান এবং তাদের সুখী ও সমৃদ্ধ জীবন কামনা করেন। পরে প্রধানমন্ত্রী খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের সদস্যদের উপস্থিতিতে একটি বড়দিনের কেক কাটেন। অনুষ্ঠানের শুরুতে দেশের শান্তি অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি কামনা করে যিশু খ্রিষ্টের আশীর্বাদ কামনা করে একটি বিশেষ প্রার্থনা করা হয়। বিসিএ সভাপতি অ্যাডভোকেট প্রমোদ মানকিন ও মহাসচিব নির্মল রোজারিও এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বড়দিনের কার্ড ও ফুলের তোড়া উপহার দেন। এ উপলক্ষে গণভবনে একটি ক্রিসমাস ট্রি সাজানো হয়। এ ছাড়া বড়দিনের তাৎপর্য, যিশুর প্রশংসা এবং দেশপ্রেমমূলক গান পরিবেশন করা হয়।
No comments:
Post a Comment