িষ্ঠ দ্বন্দ্বের জের ধরে এ ঘটনা ঘটেছে। রাজিউর ছিল কনিষ্ঠ পক্ষে। আর হামলাকারীরা ছিল জ্যেষ্ঠ পক্ষের। কনিষ্ঠ পক্ষের দলনেতা মিরাজ হোসেন এবং জ্যেষ্ঠ পক্ষের দলনেতা রাজন ও সাগর। তবে পুলিশ জানিয়েছে, ব্যাডমিন্টন খেলা নিয়ে বিরোধের জের ধরে হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। এর আগে একই দ্বন্দ্বের জের ধরে গত ১৫ সেপ্টেম্বর রাতে মিরপুর ৬ নম্বর সেকশনের এ ব্লকে নিজ বাসার কাছে ছুরিকাঘাতে খুন হয় স্কুলছাত্র মাহিদুল ইসলাম। প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্র জানায়, গতকাল সন্ধ্যায় রাজিউর তার বন্ধু সিরাজ, হাসিবসহ ছয়-সাতজনকে নিয়ে আরিফাবাদ ক্যাডেট মাদ্রাসা মাঠে ব্যাডমিন্টন খেলছিল। রাত সাড়ে সাতটার দিকে সাগর ও রাজনের সঙ্গে রাজিউরের কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে তারা রাজিউরের পেটে ও বুকের বাঁ পাশে ছুরিকাঘাত করে। এ সময় রাজিউরের বন্ধু সিরাজ ও হাসিব তাকে বাঁচাতে যায়। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে প্রতিপক্ষ তাদেরও ছুরিকাঘাত করে। একপর্যায়ে তিনজন মাঠে লুটিয়ে পড়ে। খবর পেয়ে স্বজনেরা রক্তাক্ত অবস্থায় রাত সাড়ে আটটার দিকে তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। এ সময় কর্তব্যরত চিকিৎসক রাজিউরকে মৃত ঘোষণা করেন। সিরাজ ও হাসিব ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। চিকিৎসকেরা বলেছেন, তাদের অবস্থা গুরুতর। সিরাজ রূপনগর পাইলট উচ্চবিদ্যালয় থেকে ও হাসিব রূপনগর আদর্শ উচ্চবিদ্যালয় থেকে সম্প্রতি জেএসসি পরীক্ষা দিয়েছে। রাজিউরের বড় ভাই হাসান খান প্রথম আলোকে বলেন, তিন-চার দিন আগে ব্যাডমিন্টন খেলা নিয়ে সাগর ও রাজনের পক্ষের সঙ্গে রাজিউরের কথা-কাটাকাটি হয়। এর জের ধরে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, আগে মিরাজ-সমর্থক হিসেবে পরিচিত রাজিউর ও তার সাত বন্ধু সাগর ও রাজনদের সঙ্গে চলাফেরা করত। মাস তিনেক আগে সাগর ও রাজন নিজেদের জ্যেষ্ঠ দাবি করে মিরাজ ও তার অনুসারীদের তাদের বড় ভাই বলে সম্বোধন করতে বলে। মিরাজ ও তার অনুসারীরা তা মেনে না নিলে জ্যেষ্ঠ ও কনিষ্ঠ দ্বন্দ্ব শুরু হয়। রাজিউর সপরিবারে রূপনগরের ৪ নম্বর সড়কের টিনশেড কলোনির ৬৯ নম্বর বাসায় থাকত। দুই ভাই, এক বোনের মধ্যে রাজিউর ছিল দ্বিতীয়। রূপনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সিকদার মো. শামীম প্রথম আলোকে বলেন, হতাহতের ঘটনায় দুজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।
Headlines from most popular newspapers of Bangladesh. বাংলাদেশে প্রকাশিত প্রধান প্রধান দৈনিক পত্রিকার সংবাদ শিরোনামগুলো এক নজরে দেখে নিন।
Friday, December 12, 2014
ঢাকায় স্কুলছাত্রকে ছুরিকাঘাতে হত্যা:প্রথম অালো
িষ্ঠ দ্বন্দ্বের জের ধরে এ ঘটনা ঘটেছে। রাজিউর ছিল কনিষ্ঠ পক্ষে। আর হামলাকারীরা ছিল জ্যেষ্ঠ পক্ষের। কনিষ্ঠ পক্ষের দলনেতা মিরাজ হোসেন এবং জ্যেষ্ঠ পক্ষের দলনেতা রাজন ও সাগর। তবে পুলিশ জানিয়েছে, ব্যাডমিন্টন খেলা নিয়ে বিরোধের জের ধরে হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। এর আগে একই দ্বন্দ্বের জের ধরে গত ১৫ সেপ্টেম্বর রাতে মিরপুর ৬ নম্বর সেকশনের এ ব্লকে নিজ বাসার কাছে ছুরিকাঘাতে খুন হয় স্কুলছাত্র মাহিদুল ইসলাম। প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্র জানায়, গতকাল সন্ধ্যায় রাজিউর তার বন্ধু সিরাজ, হাসিবসহ ছয়-সাতজনকে নিয়ে আরিফাবাদ ক্যাডেট মাদ্রাসা মাঠে ব্যাডমিন্টন খেলছিল। রাত সাড়ে সাতটার দিকে সাগর ও রাজনের সঙ্গে রাজিউরের কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে তারা রাজিউরের পেটে ও বুকের বাঁ পাশে ছুরিকাঘাত করে। এ সময় রাজিউরের বন্ধু সিরাজ ও হাসিব তাকে বাঁচাতে যায়। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে প্রতিপক্ষ তাদেরও ছুরিকাঘাত করে। একপর্যায়ে তিনজন মাঠে লুটিয়ে পড়ে। খবর পেয়ে স্বজনেরা রক্তাক্ত অবস্থায় রাত সাড়ে আটটার দিকে তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। এ সময় কর্তব্যরত চিকিৎসক রাজিউরকে মৃত ঘোষণা করেন। সিরাজ ও হাসিব ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। চিকিৎসকেরা বলেছেন, তাদের অবস্থা গুরুতর। সিরাজ রূপনগর পাইলট উচ্চবিদ্যালয় থেকে ও হাসিব রূপনগর আদর্শ উচ্চবিদ্যালয় থেকে সম্প্রতি জেএসসি পরীক্ষা দিয়েছে। রাজিউরের বড় ভাই হাসান খান প্রথম আলোকে বলেন, তিন-চার দিন আগে ব্যাডমিন্টন খেলা নিয়ে সাগর ও রাজনের পক্ষের সঙ্গে রাজিউরের কথা-কাটাকাটি হয়। এর জের ধরে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, আগে মিরাজ-সমর্থক হিসেবে পরিচিত রাজিউর ও তার সাত বন্ধু সাগর ও রাজনদের সঙ্গে চলাফেরা করত। মাস তিনেক আগে সাগর ও রাজন নিজেদের জ্যেষ্ঠ দাবি করে মিরাজ ও তার অনুসারীদের তাদের বড় ভাই বলে সম্বোধন করতে বলে। মিরাজ ও তার অনুসারীরা তা মেনে না নিলে জ্যেষ্ঠ ও কনিষ্ঠ দ্বন্দ্ব শুরু হয়। রাজিউর সপরিবারে রূপনগরের ৪ নম্বর সড়কের টিনশেড কলোনির ৬৯ নম্বর বাসায় থাকত। দুই ভাই, এক বোনের মধ্যে রাজিউর ছিল দ্বিতীয়। রূপনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সিকদার মো. শামীম প্রথম আলোকে বলেন, হতাহতের ঘটনায় দুজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment