
গুন ধরিয়ে দেয়। এতে মানুষজন অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারাত্মকভাবে আহত হন। হামলাকারী হিন্দুরা যখন মুসলিমদের ঘরবাড়ি ও সম্পদ ধ্বংস করছিল, তখন প্রায় এক ঘণ্টা পর্যন্ত সেখানে পুলিশ ঢুকতে পারেনি। বেশির ভাগ মুসলিম বাসিন্দা জীবন বাঁচাতে তাদের পুড়ে যাওয়া ঘরবাড়ি ও জিনিসপত্র রেখে পালিয়ে যান। কিছু দিন আগে পাশের একটি গ্রামের একজন দলিত যুবক মুসলিম সম্প্রদায়ের একটি মেয়েকে নিয়ে পালিয়ে যায়। রোববার গ্রামের পাশে ওই যুবকের লাশ পাওয়া গেলে ব্যাপক উত্তেজনা শুরু হয়। এতে উন্মত্ত হিন্দুরা ওই মেয়েটির গ্রামে আক্রমণ চালিয়ে বাড়িঘরে আগুন ধরিয়ে দেয়। পুলিশের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, হিন্দু জেলেরা ওই যুবকের মৃত্যুর জন্য স্থানীয় মুসলমানদের দায়ী করেন। স্থানীয় এক মুসলিম কিশোরীর সঙ্গে ওই যুবকের বন্ধুত্ব ছিল বলে জানান তারা। বিহার পুলিশের অতিরিক্ত মহানির্দেশক (এডিজি) গুপ্তেশ্বর পাণ্ডে জানান, এখানকার পরিস্থিতি উত্তেজনাপূর্ণ হলেও নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এখানে কোনো রকম কারফিউ জারি করা হয়নি। জেলা পুলিশের সব কর্মকর্তা ঘটনাস্থলে উপস্থিত রয়েছেন। পুলিশ গ্রামে হামলা চালানোর দায়ে অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে। এই ঘটনায় ১৪ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সরকার নিহতদের পরিবারকে পাঁচ লাখ টাকা এবং আহতদের ৫০ হাজার টাকা করে আর্থিক সহায়তা দেয়ার কথা ঘোষণা করেছে। ১২০ কোটি মানুষের দেশ ভারতের ৮০ শতাংশ হিন্দু ও ১৩ শতাংশ মুসলিম। দেশটির বিভিন্ন অঞ্চলে হিন্দু-মুসলমানের মধ্যে সম্প্রীতি থাকলেও মাঝে মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটে। ২০১৩ সালের সেপ্টেম্বরে উত্তর প্রদেশের মোজাফফরনগরে হিন্দু মুসলিম সংঘর্ষে প্রায় ৫০ জনের প্রাণহানি ঘটে।
No comments:
Post a Comment