Friday, January 2, 2015

৯ কর্মকর্তা-কর্মচারীর তথ্য দুদকে দিয়েছে মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়:নয়াদিগন্ত

অবশেষে মুক্তিযোদ্ধা সনদ জালিয়াতিতে অভিযুক্ত কমিশনের ৯ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীর তথ্য দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) দিয়েছে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়। রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদক কার্যালয়ে গতকাল এসব তথ্য মন্ত্রণালয় থেকে কমিশনে পৌঁছে বলে দুদক সূত্র জানায়।   অভিযুক্ত কর্মকর্তারা হলেন, দুদকের মহাপরিচালক (ডিজি) কামরুল হাসান মোল্লা, পরিচালক আবদুল আজিজ ভূঁইয়া, সদ্য অবসরপ্রাপ্ত পরিচালক গোলাম ইয়াহিয়া, উপপরিচাল
ক ঢালী আবদুস সামাদ, উপপরিচালক এস এম গোলাম মাওলা সিদ্দিকী ও সাবেক উপপরিচালক রঞ্জন কুমার মজুমদার। কর্মচারীরা হলেন, সহকারী পরিদর্শক আবদুস সোবহান, কোর্ট সহকারী (এএসআই) নুরুল ইসলাম ও ইসহাক ফকির।   দুদক সূত্র জানায়, এর আগে দুদকের ডিজিসহ ৯ জনের মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে প্রকাশিত প্রজ্ঞাপন, নামের সনদ, মুক্তিবার্তায় প্রকাশিত নাম ও সংশ্লিষ্ট যাবতীয় নথিপত্র একাধিকবার তলব করলেও তা সরবরাহ করেনি মন্ত্রণালয়।   এ ছাড়া গত ২৪ নভেম্বর ও ৫ ডিসেম্বর সশরীরে দুদকের অনুসন্ধানকারী দল মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়ে গিয়ে তথ্য চাইলেও তেমন সুফল আসেনি।   সূত্র আরো জানায়, ইতোমধ্যে মিথ্যা তথ্য দিয়ে মুক্তিযোদ্ধা সনদ গ্রহণে কমিশন থেকে অভিযুক্তদের সার্ভিস বুকের যাবতীয় তথ্য সংগ্রহ করেছে দুদকের অনুসন্ধান দল। ওই ৯ জনের বিরুদ্ধে জালিয়াতির মাধ্যমে মুক্তিযোদ্ধা সনদ নিয়ে চাকরির মেয়াদ বৃদ্ধিসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা ভোগের অভিযোগ রয়েছে। তাদের মধ্যে আইন বিভাগের মহাপরিচালক কামরুল হোসেন মোল্লা ও সাবেক পরিচালক গোলাম ইয়াহিয়া অসত্য তথ্য দিয়ে মুক্তিযোদ্ধা সনদ গ্রহণ করেছেন বলে প্রাথমিকভাবে প্রমাণ পাওয়া গেছে। এর মধ্যে গোলাম ইয়াহিয়া চাকরির প্রচলিত বয়সসীমা শেষে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে সরকারের দেয়া সুবিধা অনুযায়ী এক বছর অতিরিক্ত সময় চাকরি করেছেন।   নিজ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মুক্তিযোদ্ধা সনদ জালিয়াতির এ অভিযোগ ২০১৪ সালের ২১ অক্টোবর কমিশনের মাসিক সভায় উত্থাপিত হয়। অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা যাচাই করে কমিশন এতে অনুমোদন করলে ২২ অক্টোবর দুই সদস্যের একটি অনুসন্ধানকারী টিম গঠন করে অনুসন্ধান শুরু করা হয়।

No comments:

Post a Comment