আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সঙ্গে বৈঠকে এ প্রস্তাব দেওয়া হয়। এ সময় খোলামেলা আলোচনায় মাঠপর্যায়ের পুলিশ কর্মকর্তারা নানা ধরনের দাবির কথা জানান। বৈঠকে আরেকজন পুলিশ কর্মকর্তা দাবি করেন, ঢাকার বাইরে বৈধভাবে মোবাইলে আড়িপাতার ব্যবস্থা থাকতে হবে। বৃহত্তর জেলাগুলোতে পুলিশের জন্য সাঁজোয়া যানও চান কয়েকজন কর্মকর্তা। বৈঠকে পৃথক পুলিশ বিভাগ করারও দাবি ওঠে। জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভাপতি জেলা প্রশাসকদের না করে পুলিশ সুপারদের করারও প্রস্তাব আসে। স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এসব প্রস্তাবের সঙ্গে একমত পোষণ করে বলেন, পুলিশের সমস্যার ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী খুবই আন্তরিক। যৌক্তিক সব দাবি পূরণ করা হবে। পুলিশ সপ্তাহ উপলক্ষে প্রতিবছরই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বা প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে পুলিশ কর্মকর্তাদের এ ধরনের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে সারা দেশের পুলিশ সুপার থেকে শুরু করে পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) পর্যন্ত সব পদের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। পুলিশ কর্মকর্তারা স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর সামনে তাঁদের অভাব-অভিযোগও তুলে ধরেন। মন্ত্রীও সরকারের অবস্থান ব্যাখ্যা করেন। বৈঠকে স্বরাষ্ট্রসচিব মোজাম্মেল হক খান উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানের শুরুতে পুলিশের আইজি এ কে এম শহীদুল হক স্বাগত বক্তব্য দেন। তিনি বলেন, পুলিশের জনবল বৃদ্ধি করা এখন গুরুত্বপূর্ণ দাবি। বাংলাদেশে প্রতি ১ হাজার ৬৬ জনের জন্য মাত্র একজন পুলিশ আছে। ভারতে ৭২৮ জনের জন্য একজন আর পাকিস্তানে ৬২৫ জনের জন্য একজন পুলিশ। জাতিসংঘের মানদণ্ড হলো প্রতি ৪০০ জনের জন্য একজন পুলিশ থাকতে হবে। আইজিপি বলেন, পৃথক পুলিশ বিভাগ করার প্রস্তাবে নীতিগতভাবে সম্মতি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এটি হলে অনেক সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। তিনি পুলিশের কেনাকাটার উদাহরণ দিয়ে বলেন, গত বছর পুলিশের কেনাকাটার জন্য ১০০ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু নানা ধরনের জটিলতার কারণে কেনাকাটা না করে ৬২ কোটি টাকা ফেরত পাঠাতে হয়েছে। আইজিপির বক্তব্যের পর শুরু হয় উন্মুক্ত আলোচনা। পুলিশ কর্মকর্তারা বিভিন্ন বিষয়ে তাঁদের অভিমত তুলে ধরেন। একে একে ১৭ কর্মকর্তা বক্তব্য দেন। বৈঠকে উপস্থিত একজন কর্মকর্তা প্রথম আলোকে বলেন, খুলনা রেঞ্জের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) এস এম মনিরুজ্জামান বৈঠকে বলেন, প্রযুক্তি ব্যবহার করে অপরাধ বাড়ছে। কিন্তু পুলিশের প্রযুক্তিগত সুযোগ-সুবিধা কম থাকায় এসব অপরাধ নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না। এ কারণে বৈধভাবে মোবাইলে আড়িপাতা ও মোবাইল ব্যবহারকারীর অবস্থান জানার যে ব্যবস্থা আছে, তা বিভাগীয় পর্যায়েও স্থাপন করতে হবে। তা হলে তাৎক্ষণিক সুবিধা পাওয়া যাবে। বর্তমানে ঢাকা ছাড়া এ ধরনের সুবিধা পাওয়া যায় না। দাঙ্গা দমনে বৃহত্তর জেলাগুলোতে সাঁজোয়া যান দেওয়ার প্রস্তাব করে তিনি বলেন, দাঙ্গার সময় একটি সাঁজোয়া যান পাঁচ হাজার জনবলের কাজ করে। এটা বাহিনীর সদস্যদের মনোবল বাড়িয়ে দেয়। বৈঠকে সাতক্ষীরার পুলিশ সুপার চৌধুরী মঞ্জুরুল কবীর বলেন, হরতাল-অবরোধে ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগের সময় যারা হাতেনাতে ধরা পড়ে, তাদের ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে সাজা দেওয়া যেতে পারে। এ জন্য প্রতি জেলায় পুলিশ সুপারের অধীনে দুজন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দেওয়া হোক। এ বিষয়ে জানতে চাইলে পুলিশের সাবেক আইজি এএসএম শাহজাহান প্রথম আলোকে বলেন, রাজউকের ম্যাজিস্ট্রেট আছে, পরিবেশ অধিদপ্তরের ম্যাজিস্ট্রেট আছে, র্যাবের আছে। তাহলে এসপিদের কাছে থাকলে ক্ষতি কী? তিনি বলেন, আদালত তো আদালতের মতোই কাজ করবেন, এসপি শুধু কার্যক্রম তদারক করবেন। জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভাপতি জেলা প্রশাসকদের (ডিসি) না করে পুলিশ সুপারদের করার প্রস্তাব করে সাতক্ষীরার পুলিশ সুপার বলেন, আইনশৃঙ্খলার অবনতি হলে পুলিশ সুপারকেই জবাবদিহি করতে হয়। বর্তমানে ডিসির নেতৃত্বে থাকা এই কমিটির সভায় এসপিরা উপস্থিত থাকতে চান না বলে ডিসিদের পক্ষে অসংখ্য অভিযোগ আছে। এ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই সরকারের এই দুটি অঙ্গের মধ্যে অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগ আছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব আলী ইমাম মজুমদার প্রথম আলোকে, পুলিশ রেগুলেশন অনুসারে এ দাবি অন্যায্য। কারণ, জেলা আইনশৃঙ্খলা রক্ষার জন্য ডিসিদের তত্ত্বাবধানে পুলিশ কাজ করবে। নরসিংদীর পুলিশ সুপার আমেনা বেগম বলেন, প্রতি থানায় একটি করে নারী সহায়তা কেন্দ্র স্থাপন করা গেলে নির্যাতনের শিকার নারীরা বেশি সহায়তা পেতেন। পুলিশের এলিট ব্যাটালিয়ন র্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক কর্নেল জিয়াউল আহসান বলেন, র্যাবকে ঢেলে সাজাতে হবে। প্রতিষ্ঠার ১০ বছর শেষ হয়েছে, এখন সবকিছু নতুন করে ঢেলে সাজানো দরকার। কীভাবে করতে হবে সেটা সরকার সিদ্ধান্ত নেবে। তিনি বলেন, বিভিন্ন বাহিনী থেকে র্যাবে সব সময় নতুন কর্মকর্তা পাঠানো হয়। মাঠপর্যায়ের কাজের অভিজ্ঞতা না থাকার পাশাপাশি এঁরা আইনও জানেন না। এ কারণে নানা জটিলতার সৃষ্টি হয়। তিনি র্যাবের মহাপরিচালকের পদটি গ্রেড-১ পদমর্যাদার দাবি করে বলেন, আমলাতান্ত্রিক জটিলতার কারণে র্যাবের ১০টি সাঁজোয়া যানের ফাইল ফেরত এসেছে। তেজগাঁও বিভাগের উপকমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার রাজারবাগে পুলিশের জন্য একটি পৃথক মেডিকেল কলেজ করার প্রস্তাব করেন। চট্টগ্রামের পুলিশ সুপার হাফিজ আক্তার বৈঠকে বলেন, টহল দেওয়ার মতো হাইওয়ের পুলিশের পর্যাপ্ত গাড়ি নেই। তাদের নির্ভর করতে হয় সাধারণ মানুষের গাড়ি রিক্যুজিশনের ওপর। গাজীপুরের পুলিশ সুপার হারুন অর রশীদ বলেন, ১৯৯৪ সালে পুলিশ অধিদপ্তরকে সদর দপ্তরে রূপান্তর করা হয়েছে। কিন্তু এখনো মন্ত্রণালয়ের চিঠিতে পুলিশ অধিদপ্তর উল্লেখ করা হয়। এর সমাধান করা উচিত। এই বক্তব্যের পরপরই স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, এখন থেকে আর অধিদপ্তর লেখা হবে না। বিশেষ শাখার সুপার এজাজ আহমেদ বলেন, বিভিন্ন মামলায় সাজাপ্রাপ্তদের তথ্য বিশেষ শাখায় নেই। ফলে পাসপোর্ট করার সময় জটিলতা হয়। এ জন্য তিনি এসব তথ্য রাখার প্রস্তাব করেন। জামালপুরের পুলিশ সুপার নজরুল ইসলাম বলেন, পুলিশের তদন্ত এখনো প্রযুক্তিনির্ভর নয়। কিন্তু বর্তমান সময়ে এ ধরনের তদন্ত খুবই দরকার। এ জন্য একটি প্রযুক্তি শাখা খোলা যেতে পারে।
Headlines from most popular newspapers of Bangladesh. বাংলাদেশে প্রকাশিত প্রধান প্রধান দৈনিক পত্রিকার সংবাদ শিরোনামগুলো এক নজরে দেখে নিন।
Wednesday, January 28, 2015
এসপির অধীনে ভ্রাম্যমাণ আদালত চায় পুলিশ:প্রথম অালো
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সঙ্গে বৈঠকে এ প্রস্তাব দেওয়া হয়। এ সময় খোলামেলা আলোচনায় মাঠপর্যায়ের পুলিশ কর্মকর্তারা নানা ধরনের দাবির কথা জানান। বৈঠকে আরেকজন পুলিশ কর্মকর্তা দাবি করেন, ঢাকার বাইরে বৈধভাবে মোবাইলে আড়িপাতার ব্যবস্থা থাকতে হবে। বৃহত্তর জেলাগুলোতে পুলিশের জন্য সাঁজোয়া যানও চান কয়েকজন কর্মকর্তা। বৈঠকে পৃথক পুলিশ বিভাগ করারও দাবি ওঠে। জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভাপতি জেলা প্রশাসকদের না করে পুলিশ সুপারদের করারও প্রস্তাব আসে। স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এসব প্রস্তাবের সঙ্গে একমত পোষণ করে বলেন, পুলিশের সমস্যার ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী খুবই আন্তরিক। যৌক্তিক সব দাবি পূরণ করা হবে। পুলিশ সপ্তাহ উপলক্ষে প্রতিবছরই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বা প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে পুলিশ কর্মকর্তাদের এ ধরনের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে সারা দেশের পুলিশ সুপার থেকে শুরু করে পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) পর্যন্ত সব পদের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। পুলিশ কর্মকর্তারা স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর সামনে তাঁদের অভাব-অভিযোগও তুলে ধরেন। মন্ত্রীও সরকারের অবস্থান ব্যাখ্যা করেন। বৈঠকে স্বরাষ্ট্রসচিব মোজাম্মেল হক খান উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানের শুরুতে পুলিশের আইজি এ কে এম শহীদুল হক স্বাগত বক্তব্য দেন। তিনি বলেন, পুলিশের জনবল বৃদ্ধি করা এখন গুরুত্বপূর্ণ দাবি। বাংলাদেশে প্রতি ১ হাজার ৬৬ জনের জন্য মাত্র একজন পুলিশ আছে। ভারতে ৭২৮ জনের জন্য একজন আর পাকিস্তানে ৬২৫ জনের জন্য একজন পুলিশ। জাতিসংঘের মানদণ্ড হলো প্রতি ৪০০ জনের জন্য একজন পুলিশ থাকতে হবে। আইজিপি বলেন, পৃথক পুলিশ বিভাগ করার প্রস্তাবে নীতিগতভাবে সম্মতি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এটি হলে অনেক সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। তিনি পুলিশের কেনাকাটার উদাহরণ দিয়ে বলেন, গত বছর পুলিশের কেনাকাটার জন্য ১০০ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু নানা ধরনের জটিলতার কারণে কেনাকাটা না করে ৬২ কোটি টাকা ফেরত পাঠাতে হয়েছে। আইজিপির বক্তব্যের পর শুরু হয় উন্মুক্ত আলোচনা। পুলিশ কর্মকর্তারা বিভিন্ন বিষয়ে তাঁদের অভিমত তুলে ধরেন। একে একে ১৭ কর্মকর্তা বক্তব্য দেন। বৈঠকে উপস্থিত একজন কর্মকর্তা প্রথম আলোকে বলেন, খুলনা রেঞ্জের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) এস এম মনিরুজ্জামান বৈঠকে বলেন, প্রযুক্তি ব্যবহার করে অপরাধ বাড়ছে। কিন্তু পুলিশের প্রযুক্তিগত সুযোগ-সুবিধা কম থাকায় এসব অপরাধ নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না। এ কারণে বৈধভাবে মোবাইলে আড়িপাতা ও মোবাইল ব্যবহারকারীর অবস্থান জানার যে ব্যবস্থা আছে, তা বিভাগীয় পর্যায়েও স্থাপন করতে হবে। তা হলে তাৎক্ষণিক সুবিধা পাওয়া যাবে। বর্তমানে ঢাকা ছাড়া এ ধরনের সুবিধা পাওয়া যায় না। দাঙ্গা দমনে বৃহত্তর জেলাগুলোতে সাঁজোয়া যান দেওয়ার প্রস্তাব করে তিনি বলেন, দাঙ্গার সময় একটি সাঁজোয়া যান পাঁচ হাজার জনবলের কাজ করে। এটা বাহিনীর সদস্যদের মনোবল বাড়িয়ে দেয়। বৈঠকে সাতক্ষীরার পুলিশ সুপার চৌধুরী মঞ্জুরুল কবীর বলেন, হরতাল-অবরোধে ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগের সময় যারা হাতেনাতে ধরা পড়ে, তাদের ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে সাজা দেওয়া যেতে পারে। এ জন্য প্রতি জেলায় পুলিশ সুপারের অধীনে দুজন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দেওয়া হোক। এ বিষয়ে জানতে চাইলে পুলিশের সাবেক আইজি এএসএম শাহজাহান প্রথম আলোকে বলেন, রাজউকের ম্যাজিস্ট্রেট আছে, পরিবেশ অধিদপ্তরের ম্যাজিস্ট্রেট আছে, র্যাবের আছে। তাহলে এসপিদের কাছে থাকলে ক্ষতি কী? তিনি বলেন, আদালত তো আদালতের মতোই কাজ করবেন, এসপি শুধু কার্যক্রম তদারক করবেন। জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভাপতি জেলা প্রশাসকদের (ডিসি) না করে পুলিশ সুপারদের করার প্রস্তাব করে সাতক্ষীরার পুলিশ সুপার বলেন, আইনশৃঙ্খলার অবনতি হলে পুলিশ সুপারকেই জবাবদিহি করতে হয়। বর্তমানে ডিসির নেতৃত্বে থাকা এই কমিটির সভায় এসপিরা উপস্থিত থাকতে চান না বলে ডিসিদের পক্ষে অসংখ্য অভিযোগ আছে। এ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই সরকারের এই দুটি অঙ্গের মধ্যে অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগ আছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব আলী ইমাম মজুমদার প্রথম আলোকে, পুলিশ রেগুলেশন অনুসারে এ দাবি অন্যায্য। কারণ, জেলা আইনশৃঙ্খলা রক্ষার জন্য ডিসিদের তত্ত্বাবধানে পুলিশ কাজ করবে। নরসিংদীর পুলিশ সুপার আমেনা বেগম বলেন, প্রতি থানায় একটি করে নারী সহায়তা কেন্দ্র স্থাপন করা গেলে নির্যাতনের শিকার নারীরা বেশি সহায়তা পেতেন। পুলিশের এলিট ব্যাটালিয়ন র্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক কর্নেল জিয়াউল আহসান বলেন, র্যাবকে ঢেলে সাজাতে হবে। প্রতিষ্ঠার ১০ বছর শেষ হয়েছে, এখন সবকিছু নতুন করে ঢেলে সাজানো দরকার। কীভাবে করতে হবে সেটা সরকার সিদ্ধান্ত নেবে। তিনি বলেন, বিভিন্ন বাহিনী থেকে র্যাবে সব সময় নতুন কর্মকর্তা পাঠানো হয়। মাঠপর্যায়ের কাজের অভিজ্ঞতা না থাকার পাশাপাশি এঁরা আইনও জানেন না। এ কারণে নানা জটিলতার সৃষ্টি হয়। তিনি র্যাবের মহাপরিচালকের পদটি গ্রেড-১ পদমর্যাদার দাবি করে বলেন, আমলাতান্ত্রিক জটিলতার কারণে র্যাবের ১০টি সাঁজোয়া যানের ফাইল ফেরত এসেছে। তেজগাঁও বিভাগের উপকমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার রাজারবাগে পুলিশের জন্য একটি পৃথক মেডিকেল কলেজ করার প্রস্তাব করেন। চট্টগ্রামের পুলিশ সুপার হাফিজ আক্তার বৈঠকে বলেন, টহল দেওয়ার মতো হাইওয়ের পুলিশের পর্যাপ্ত গাড়ি নেই। তাদের নির্ভর করতে হয় সাধারণ মানুষের গাড়ি রিক্যুজিশনের ওপর। গাজীপুরের পুলিশ সুপার হারুন অর রশীদ বলেন, ১৯৯৪ সালে পুলিশ অধিদপ্তরকে সদর দপ্তরে রূপান্তর করা হয়েছে। কিন্তু এখনো মন্ত্রণালয়ের চিঠিতে পুলিশ অধিদপ্তর উল্লেখ করা হয়। এর সমাধান করা উচিত। এই বক্তব্যের পরপরই স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, এখন থেকে আর অধিদপ্তর লেখা হবে না। বিশেষ শাখার সুপার এজাজ আহমেদ বলেন, বিভিন্ন মামলায় সাজাপ্রাপ্তদের তথ্য বিশেষ শাখায় নেই। ফলে পাসপোর্ট করার সময় জটিলতা হয়। এ জন্য তিনি এসব তথ্য রাখার প্রস্তাব করেন। জামালপুরের পুলিশ সুপার নজরুল ইসলাম বলেন, পুলিশের তদন্ত এখনো প্রযুক্তিনির্ভর নয়। কিন্তু বর্তমান সময়ে এ ধরনের তদন্ত খুবই দরকার। এ জন্য একটি প্রযুক্তি শাখা খোলা যেতে পারে।
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment