হাসিনা নিয়েছেন। তিনি গতকাল সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কলা ভবনের সামনে বটতলায় ছাত্রলীগের ৬৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচি উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আমাদের সরকার পরিচালনা নিয়ে সমালোচনা হতে পারে। কিন্তু পৃথিবীর কোনো দেশ নেই যে দেশের জাতির জনককে নিয়ে কটাক্ষ করা হয়। বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কটূক্তি করা হচ্ছে। বাংলার জনগণ তা কেন সহ্য করবে? ছাত্রলীগকে ধন্যবাদ জানাই, কারণ তারা সিদ্ধান্ত নিয়েছে ক্ষমা প্রার্থনা না করা পর্যন্ত সমাবেশ করতে দিবে না। তা এক শত ভাগ সঠিক হয়েছে। কিসের গণতন্ত্র, এটা কোনো গণতন্ত্র নয়। এটা বাকস্বাধীনতা নয়। পতাকা নিয়ে, বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কথা বলবে আর আমরা তা সহ্য করব এটা হতে পারে না। এই গণতন্ত্রে আমরা বিশ্বাস করি না। খালেদা জিয়াকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, আপনি কিসের নেত্রী? আপনি কিসের নেতৃত্ব দেন একটা দলকে? একটা বেয়াদব কথা বলল আর আপনি প্রকাশ্যে সে বক্তব্য সমর্থন করেছেন। সে অন্যায় করেছে, যদি এ কথা বলতেন তাহলে মানুষ আপনাকে সম্মান করত। আপনি কিভাবে আশা করেন, আপনি মিটিং করতে পারবেন, কথা বলতে পারবেন? আগে ক্ষমা চান। তারপর অবশ্যই আপনাকে কথা বলার অধিকার দেয়া হবে। খালেদা জিয়া রাগ করলে আরো বেশি সুন্দর লাগে উল্লেখ করে নাসিম বলেন, আপনি ধৈর্য ধরেন। চার বছর অপেক্ষা করুন। দেখবেন ২০১৯ সালে ইলেকশন হবেই। কেউ ঠেকাতে পারবে না। শেখ হাসিনার অধীনেই নির্বাচন হবে বলে তিনি মন্তব্য করেন। মন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনা আপনাকে ২০১৪ সালের আগে সংলাপের আহ্বান জানিয়েছিলেন। আপনি আসেননি। হরতাল ডেকেছেন, নৈরাজ্য করেছেন। আপনি ভুল করেছেন। ক্ষমতা দেয়ার মালিক আল্লাহ আর বাংলার জনগণ। আপনি সুযোগ নিতেন। নির্বাচনে কী হতো কেউ জানে না। একমাত্র জনগণই জানে। তিনি বলেন, পানি ছাড়া যেমন মাছ বাঁচে না তেমনি নির্বাচন ছাড়া দল বাঁচে না। বেগম জিয়া আপনি বারবার শেখ হাসিনার কাছে পরাজিত হয়েছেন। আপনি আমাদের কাছে হেরে গেছেন। এখন আপনি যা বলছেন এটা পরাজিত সৈনিকের আর্তনাদ। যুদ্ধে সেনাপতি নিজে অস্ত্র হাতে নামার অর্থ সব সৈনিক মারা গেছে বলে তিনি তার বক্তব্যে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, আমরা যখন মার খেতাম তখন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা আমাদের রক্ষা করত। আমরা মাঠে থাকতাম। পালিয়ে যেতাম না। সারা পৃথিবীতে একই নিয়ম। ব্যারিকেড ভেঙেই আন্দোলন করতে হয়। পুলিশের কাজই হলো বাধা দেয়া। তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশে দুইজন ইসলাম আছেন। একজন আমাদের কামরুল ইসলাম আরেকজন বিএনপির মির্জা ফখরুল ইসলাম। তাদের সবসময় টেলিভিশনে সরব দেখা যায়। ছাত্রলীগের সভাপতি এইচ এম বদিউজ্জামান সোহাগের সভাপতিত্ব ও সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকী নাজমুল আলমের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক ক্যাপ্টেন (অব:) এ বি তাজুল ইসলাম এমপি, ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, এ কে এম এনামুল হক শামীম, বিএমএ মহাসচিব অধ্যাপক ডা: ইকবাল আর্সনাল, প্রধানমন্ত্রীর সহকারী একান্ত সচিব সাইফুজ্জামান শেখর, ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মাহমুদ হাসান রিপন প্রমুখ।
Headlines from most popular newspapers of Bangladesh. বাংলাদেশে প্রকাশিত প্রধান প্রধান দৈনিক পত্রিকার সংবাদ শিরোনামগুলো এক নজরে দেখে নিন।
Wednesday, January 7, 2015
খালেদা জিয়ার নিরাপত্তার দায়িত্ব শেখ হাসিনার : নাসিম:নয়াদিগন্ত
হাসিনা নিয়েছেন। তিনি গতকাল সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কলা ভবনের সামনে বটতলায় ছাত্রলীগের ৬৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচি উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আমাদের সরকার পরিচালনা নিয়ে সমালোচনা হতে পারে। কিন্তু পৃথিবীর কোনো দেশ নেই যে দেশের জাতির জনককে নিয়ে কটাক্ষ করা হয়। বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কটূক্তি করা হচ্ছে। বাংলার জনগণ তা কেন সহ্য করবে? ছাত্রলীগকে ধন্যবাদ জানাই, কারণ তারা সিদ্ধান্ত নিয়েছে ক্ষমা প্রার্থনা না করা পর্যন্ত সমাবেশ করতে দিবে না। তা এক শত ভাগ সঠিক হয়েছে। কিসের গণতন্ত্র, এটা কোনো গণতন্ত্র নয়। এটা বাকস্বাধীনতা নয়। পতাকা নিয়ে, বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কথা বলবে আর আমরা তা সহ্য করব এটা হতে পারে না। এই গণতন্ত্রে আমরা বিশ্বাস করি না। খালেদা জিয়াকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, আপনি কিসের নেত্রী? আপনি কিসের নেতৃত্ব দেন একটা দলকে? একটা বেয়াদব কথা বলল আর আপনি প্রকাশ্যে সে বক্তব্য সমর্থন করেছেন। সে অন্যায় করেছে, যদি এ কথা বলতেন তাহলে মানুষ আপনাকে সম্মান করত। আপনি কিভাবে আশা করেন, আপনি মিটিং করতে পারবেন, কথা বলতে পারবেন? আগে ক্ষমা চান। তারপর অবশ্যই আপনাকে কথা বলার অধিকার দেয়া হবে। খালেদা জিয়া রাগ করলে আরো বেশি সুন্দর লাগে উল্লেখ করে নাসিম বলেন, আপনি ধৈর্য ধরেন। চার বছর অপেক্ষা করুন। দেখবেন ২০১৯ সালে ইলেকশন হবেই। কেউ ঠেকাতে পারবে না। শেখ হাসিনার অধীনেই নির্বাচন হবে বলে তিনি মন্তব্য করেন। মন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনা আপনাকে ২০১৪ সালের আগে সংলাপের আহ্বান জানিয়েছিলেন। আপনি আসেননি। হরতাল ডেকেছেন, নৈরাজ্য করেছেন। আপনি ভুল করেছেন। ক্ষমতা দেয়ার মালিক আল্লাহ আর বাংলার জনগণ। আপনি সুযোগ নিতেন। নির্বাচনে কী হতো কেউ জানে না। একমাত্র জনগণই জানে। তিনি বলেন, পানি ছাড়া যেমন মাছ বাঁচে না তেমনি নির্বাচন ছাড়া দল বাঁচে না। বেগম জিয়া আপনি বারবার শেখ হাসিনার কাছে পরাজিত হয়েছেন। আপনি আমাদের কাছে হেরে গেছেন। এখন আপনি যা বলছেন এটা পরাজিত সৈনিকের আর্তনাদ। যুদ্ধে সেনাপতি নিজে অস্ত্র হাতে নামার অর্থ সব সৈনিক মারা গেছে বলে তিনি তার বক্তব্যে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, আমরা যখন মার খেতাম তখন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা আমাদের রক্ষা করত। আমরা মাঠে থাকতাম। পালিয়ে যেতাম না। সারা পৃথিবীতে একই নিয়ম। ব্যারিকেড ভেঙেই আন্দোলন করতে হয়। পুলিশের কাজই হলো বাধা দেয়া। তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশে দুইজন ইসলাম আছেন। একজন আমাদের কামরুল ইসলাম আরেকজন বিএনপির মির্জা ফখরুল ইসলাম। তাদের সবসময় টেলিভিশনে সরব দেখা যায়। ছাত্রলীগের সভাপতি এইচ এম বদিউজ্জামান সোহাগের সভাপতিত্ব ও সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকী নাজমুল আলমের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক ক্যাপ্টেন (অব:) এ বি তাজুল ইসলাম এমপি, ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, এ কে এম এনামুল হক শামীম, বিএমএ মহাসচিব অধ্যাপক ডা: ইকবাল আর্সনাল, প্রধানমন্ত্রীর সহকারী একান্ত সচিব সাইফুজ্জামান শেখর, ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মাহমুদ হাসান রিপন প্রমুখ।
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment