বাংলাদেশ নামে একটি সংগঠন ‘পূজা পুনর্মিলনী, বিশ্বজুড়ে বিশ্বময়ী’ শীর্ষক এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিজেপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য তথাগত রায় বলেন, ‘আমি বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা হিসেবে এটা বলতে পারি না। আমরা একটি দেশের সঙ্গে দেশের মানুষের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করি। তবে বাংলাদেশের বিষয়টা ভিন্ন। আপনাদের (উপস্থিতদের উদ্দেশে) বোঝার জন্য বলছি। ভারত সরকার আওয়ামী লীগ সরকারকে পূর্ণ সমর্থন দিয়েছে। ভারত সরকার উপলব্ধি করেছে, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার চেয়ে ভালো কোনো সরকার হতে পারে না। এখানকার হিন্দুদের জন্যও এর চেয়ে ভালো সরকার কি হতে পারে?’ তথাগত রায় বলেন, ‘আমরা এটা মনে করি। আপনারা কি মনে করেন এ দেশের হিন্দুদের নিরাপত্তার জন্য আওয়ামী লীগ ছাড়া অন্য কোনো সরকারের ওপর ভরসা করা যায়? ভাবুন, যদি অন্যদের ওপর ভরসা করা না যায়, তাহলে পুরো সমর্থন আওয়ামী লীগকে দিন। প্রকাশ্যে সমর্থন না দিলে আওয়ামী লীগ আপনাদের ব্যাপারে পুরোপুরি বুঝতে পারবে না।’ পশ্চিমবঙ্গ বিজেপির সাবেক এই সভাপতি বলেন, ‘বাংলাদেশের পাওনা ভারত বুঝিয়ে দেবে। তিস্তা ও স্থলসীমান্ত চুক্তি হবে, এটা নিশ্চিত করেই বলতে পারি। তবে বাংলাদেশ কী পরিমাণ পানি পাবে, সেটা আলোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত হবে।’ বিজেপির এই কেন্দ্রীয় নেতা একটি পরিসংখ্যান উল্লেখ করে বলেন, ২০১১ সালে পশ্চিমবঙ্গে ১০০ জনের মধ্যে ৮০ জন হিন্দু ও ২০ জন মুসলমান ছিল। কিন্তু এখন হিন্দু ৭২ জন আর মুসলমান ২৮ জন। বাংলাদেশে হিন্দু কমার কারণ আছে কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে কেন? এর কারণ, অনুপ্রবেশ ও হিন্দুদের কম প্রজনন। তাঁর আশঙ্কা, একদিন বাঙালি হিন্দু নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে আওয়ামী লীগের সাংসদ সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেন, ‘বিজেপিকে সাম্প্রদায়িক দল মনে করি না। হিন্দুত্ববাদী তাদের রাজনৈতিক কৌশল মনে করি।’ বেদান্ত সংস্কৃতি মঞ্চের সভাপতি বিশ্বজিৎ দত্তের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন পশ্চিমবঙ্গ বিজেপির সহসভাপতি সুভাষ সরকার, বিজেপির কেন্দ্রীয় গবেষণা শাখার সদস্য ধনঞ্জয় কুমার সিং, সাক্ষী গোপাল ঘোষ, বাংলাদেশের সাংসদ সুকুমার রঞ্জন, পঙ্কজ দেবনাথ প্রমুখ।
Headlines from most popular newspapers of Bangladesh. বাংলাদেশে প্রকাশিত প্রধান প্রধান দৈনিক পত্রিকার সংবাদ শিরোনামগুলো এক নজরে দেখে নিন।
Saturday, January 3, 2015
আ.লীগ সরকারের ওপর ভারতের পূর্ণ সমর্থন রয়েছে:প্রথম অালো
বাংলাদেশ নামে একটি সংগঠন ‘পূজা পুনর্মিলনী, বিশ্বজুড়ে বিশ্বময়ী’ শীর্ষক এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিজেপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য তথাগত রায় বলেন, ‘আমি বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা হিসেবে এটা বলতে পারি না। আমরা একটি দেশের সঙ্গে দেশের মানুষের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করি। তবে বাংলাদেশের বিষয়টা ভিন্ন। আপনাদের (উপস্থিতদের উদ্দেশে) বোঝার জন্য বলছি। ভারত সরকার আওয়ামী লীগ সরকারকে পূর্ণ সমর্থন দিয়েছে। ভারত সরকার উপলব্ধি করেছে, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার চেয়ে ভালো কোনো সরকার হতে পারে না। এখানকার হিন্দুদের জন্যও এর চেয়ে ভালো সরকার কি হতে পারে?’ তথাগত রায় বলেন, ‘আমরা এটা মনে করি। আপনারা কি মনে করেন এ দেশের হিন্দুদের নিরাপত্তার জন্য আওয়ামী লীগ ছাড়া অন্য কোনো সরকারের ওপর ভরসা করা যায়? ভাবুন, যদি অন্যদের ওপর ভরসা করা না যায়, তাহলে পুরো সমর্থন আওয়ামী লীগকে দিন। প্রকাশ্যে সমর্থন না দিলে আওয়ামী লীগ আপনাদের ব্যাপারে পুরোপুরি বুঝতে পারবে না।’ পশ্চিমবঙ্গ বিজেপির সাবেক এই সভাপতি বলেন, ‘বাংলাদেশের পাওনা ভারত বুঝিয়ে দেবে। তিস্তা ও স্থলসীমান্ত চুক্তি হবে, এটা নিশ্চিত করেই বলতে পারি। তবে বাংলাদেশ কী পরিমাণ পানি পাবে, সেটা আলোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত হবে।’ বিজেপির এই কেন্দ্রীয় নেতা একটি পরিসংখ্যান উল্লেখ করে বলেন, ২০১১ সালে পশ্চিমবঙ্গে ১০০ জনের মধ্যে ৮০ জন হিন্দু ও ২০ জন মুসলমান ছিল। কিন্তু এখন হিন্দু ৭২ জন আর মুসলমান ২৮ জন। বাংলাদেশে হিন্দু কমার কারণ আছে কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে কেন? এর কারণ, অনুপ্রবেশ ও হিন্দুদের কম প্রজনন। তাঁর আশঙ্কা, একদিন বাঙালি হিন্দু নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে আওয়ামী লীগের সাংসদ সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেন, ‘বিজেপিকে সাম্প্রদায়িক দল মনে করি না। হিন্দুত্ববাদী তাদের রাজনৈতিক কৌশল মনে করি।’ বেদান্ত সংস্কৃতি মঞ্চের সভাপতি বিশ্বজিৎ দত্তের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন পশ্চিমবঙ্গ বিজেপির সহসভাপতি সুভাষ সরকার, বিজেপির কেন্দ্রীয় গবেষণা শাখার সদস্য ধনঞ্জয় কুমার সিং, সাক্ষী গোপাল ঘোষ, বাংলাদেশের সাংসদ সুকুমার রঞ্জন, পঙ্কজ দেবনাথ প্রমুখ।
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment