Friday, January 30, 2015

দুই জোটের আজ পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি:প্রথম অালো

এবার সহিংসতায় ও পেট্রলবোমা হামলায় হতাহতদের স্মরণে আজ শুক্রবার পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দল এবং বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০-দলীয় জোট। বাদ জুমা জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে গায়েবানা জানাজা কর্মসূচি রয়েছে ১৪ দলের। একই সময়ে ২০-দলীয় জোট সারা দেশে বিশেষ মোনাজাত ও দোয়া মাহফিলের ঘোষণা দিয়েছে। এ ছাড়া গায়েবানা জানাজার পর বিএনপি-জামায়াতের হরতাল-অবরোধ ও সহ
িংসতার বিরুদ্ধে আজ বেলা আড়াইটায় রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করবে সরকার-সমর্থক শ্রমিক-কর্মচারী-পেশাজীবী-মুক্তিযোদ্ধা সমন্বয় পরিষদ। সংগঠনের আহ্বায়ক নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে ওই সমাবেশে সব শ্রেণি-পেশার মানুষকে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক সংবাদ সম্মেলনে নৌপরিবহনমন্ত্রী এ আহ্বান জানান। সমাবেশে তিনি প্রধান অতিথি থাকবেন। এর আগে ৫ জানুয়ারি ‘একতরফা’ সংসদ নির্বাচনের বর্ষপূর্তির দিনে রাজধানীতে প্রধান দুই রাজনৈতিক দলের পাল্টাপাল্টি সমাবেশের কর্মসূচিকে ঘিরে বিভিন্ন স্থানে সহিংসতা শুরু হয়। এতে গতকাল পর্যন্ত নিহত হয়েছেন ৪১ জন। রিপোর্টার্স ইউনিটিতে সংবাদ সম্মেলনে শাজাহান খান বলেন, ‘সরকারের কোনো ব্যর্থতা নেই। সরকার এখনো সর্বশক্তি প্রয়োগ করেনি। ৬৪ জেলার মধ্যে ১০-১২টি জেলায় সহিংসতা হচ্ছে। কোথাও ঝড় বা টর্নেডো এলে কিছু হতেই পারে। তবে তা দীর্ঘস্থায়ী না। সরকার ও জনগণ মিলে শিগগিরই এর নিরসন হবে।’ তিনি জানান, বিএনপি-জামায়াতের প্রতি ঘৃণা জানাতেই আজকের সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে সমন্বয় পরিষদের সদস্যসচিব আবদুল মালেক, মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান ইসমত কাদির, নারীনেত্রী শিরীন আখতার, গার্মেন্টস ঐক্য পরিষদের সদস্যসচিব নূরুল হক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। এদিকে বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০-দলীয় জোট চলমান আন্দোলনে নিহত ব্যক্তিদের জন্য জুমার নামাজ শেষে সারা দেশে বিশেষ মোনাজাত ও দোয়া মাহফিলের কর্মসূচি দিয়েছে। জোটের পক্ষে বিএনপির কেন্দ্রীয় দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী গত বুধবার এক বিবৃতিতে এ কর্মসূচির ঘোষণা দেন। বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, ‘পুলিশ-র্যাব ও যৌথ বাহিনীর হাতে নিহত এবং নাশকতার উদ্দেশ্যে সরকারি এজেন্ট দ্বারা নিক্ষিপ্ত পেট্রলবোমায় যেসব সাধারণ মানুষ মৃত্যুবরণ করেছেন, তাঁদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত এবং আহত ব্যক্তিদের সুস্থতা কামনায়’ এই কর্মসূচি। বিবৃতিতে জোটের নেতা-কর্মীকে মসজিদে মসজিদে বিশেষ মোনাজাত ও দোয়া মাহফিলের কর্মসূচি সফলভাবে পালনের জন্য অনুরোধ করা হয়। বিএনপির দায়িত্বশীল নেতারা বলছেন, সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর জানাজায় লাখো মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ সরকারকে মানসিকভাবে বেশ চাপে ফেলেছে। এই চাপ কাটাতে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪-দলীয় জোট আগুনে পুড়ে নিহত ব্যক্তিদের স্মরণে বায়তুল মোকাররম মসজিদে গায়েবানা জানাজা কর্মসূচি ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ দিয়েছে। দলটির নেতারা মনে করছেন, আগুনে দগ্ধ হয়ে নিহত ব্যক্তিদের জন্য গায়েবানা জানাজার আয়োজন করে সরকার বিএনপিকে সাধারণ মানুষের প্রতিপক্ষ বানানোর কৌশল নিয়েছে। তাই সরকারের এ কৌশলের বিপরীতে একই দিন এই দোয়ার কর্মসূচি দেওয়া হয়েছে।

No comments:

Post a Comment