Thursday, January 22, 2015

বিএনপিকে নিঃশেষ করতে নির্দেশ চান শামীম ওসমান:প্রথম অালো

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, তাঁর দল ও দলের নেতা-কর্মীদের নিঃশেষ করার জন্য ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের কর্মীরা যথেষ্ট বলে মন্তব্য করেছেন সাংসদ শামীম ওসমান। এ জন্য তিনি দলের নেতাদের কাছে নির্দেশ চেয়েছেন।  গতকাল বুধবার সংসদের পয়েন্ট অব অর্ডারে দাঁড়িয়ে অনির্ধারিত আলোচনায় শামীম ওসমান এ নির্দেশ দাবি করেন। এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংসদে ছিলেন না। শামীম ওসমান বলেন, খালেদা জিয়ার উচিত পদত্যাগ
করে নির্বাসনে চলে যাওয়া। নিজেকে অবরুদ্ধ দাবি করে তিনি একাত্তরে মায়েদের অপমান করা রাজাকারদের বাঁচাতে চান। আওয়ামী লীগের নেতাদের উদ্দেশে শামীম ওসমান বলেন, ‘নেতাদের বলব, নির্দেশ দেন। পুলিশ-বিডিআর-সেনাবাহিনীর দরকার নেই। খালেদা জিয়া, তাঁর দল আর তাঁর পরাজিত শক্তিকে নিঃশেষ করতে আওয়ামী লীগের লাখ লাখ কর্মী রাজপথে থাকবে। স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীকে বলছি ব্যবস্থা নিন।’ বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বক্তব্যের সমালোচনা করে শামীম ওসমান বলেন, ‘যেই ছেলে এরশাদ সাহেবকে তার বাবার খুনি বলে, অথচ সেই এরশাদের কাছে ২০০৮-এর নির্বাচনের আগে গিয়েছিল জোট করার জন্য। যেই ছেলে তার বাবার হত্যাকারীর সঙ্গে আপস করতে পারে, এ রকম ছেলে যেন কোনো বাবা-মায়ের ঘরে না আসে।’ নাগরিক সমাজের সমালোচনা করে শামীম ওসমান বলেন, ‘বাংলাদেশে কিছু সুশীল আছেন তাঁরা কিছু করছেন না। একজন সুশীল আছেন, উনিও প্রস্তাব দেন। যাঁর মেয়ে ইহুদি বিয়ে করেছেন। যাঁর জামাই রাজাকারদের পক্ষে কাজ করছেন। আরও বড় সুশীল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ল-এর টিচার। একটা নয়, কয়েকটা বিয়ে করেছেন। আমার তাতে আপত্তি নেই। আপত্তি তখন, যখন দেখি বিয়ে করার তিন মাসের মধ্যে সন্তান হয়। এত শক্তিশালী।’ খালেদা জিয়াকে জামায়াত নেত্রী আখ্যায়িত করে শামীম ওসমান বলেন, ‘জামায়াত নেত্রীকে কেন আমরা বোঝানোর চেষ্টা করছি। এটা ব্যর্থ প্রচেষ্টা। এতে সংসদের পয়সা খরচ হচ্ছে। সংসদে কেন আমরা তাঁকে নিয়ে আলোচনা করব। তাঁর বয়স আমার মায়ের সমান, কিন্তু সাজেন ভাবির মতো। উনার পোশাক ম্যাডামের মতো। আমার দেশের মা-বোনদের মতো নয়। তাঁর চোখের ওপরে ভুরু নেই। একাত্তরে জেনারেল জানজুয়ার সঙ্গে নাকি কোনো এক হোটেলে সাঁতার কেটেছেন। নিশ্চয় শাড়ি পরে সাঁতার কাটেননি। উনি বাড়ির জন্য কাঁদেন। কিন্তু স্বামীর জন্য কাঁদেন না।’ বিএনএফের আবুল কালাম আজাদ গুলশানে খালেদা জিয়ার কার্যালয়ে কম্বিং অপারেশনের দাবি করেন। স্বতন্ত্র সাংসদ তাহজীব আলম সিদ্দিকী সরকারের উদ্দেশে বলেন, ‘বক্তৃতা-বিবৃতি চাই না। সংকটের আশু সমাধান চাই।’ এরপর রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আনা ধন্যবাদ প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা শেষে সংসদের অধিবেশন আজ বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে চারটা পর্যন্ত মুলতবি করা হয়।

No comments:

Post a Comment