Sunday, March 29, 2015

শত কোটি টাকার কমিশন বাণিজ্য:যুগান্তর

পছন্দের কোম্পানিকে প্রিপেইড মিটার ক্রয়ের কার্যাদেশ দিয়ে শত কোটি টাকার কমিশন বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি) ও ডিপিডিসির (ঢাকা বিদ্যুৎ বিতরণ কর্তৃপক্ষ) বিরুদ্ধে। অভিযোগ উঠেছে, এ বাণিজ্য করতে বারবার পরিবর্তন করা হয়েছে প্রি-পেইড মিটারের কারিগরি স্পেসিফিকেশন। অহেতুক সময়ক্ষেপণ করা হয়েছে দরপত্র নিয়ে। এমন শর্ত জুড়ে দেয়া হয়েছে যাতে পছন্দের কোম্পানি ছাড়া অন্য কেউ কাজ না পায়। শুধু তাই ন
য়, এ ধরনের শর্তের বেড়াজালে পড়ে দরপত্রেও অংশ নিতে পারেনি দেশী-বিদেশী অনেক খ্যাতিমান কোম্পানি। যে কারণে পিডিবিসহ বিদ্যুৎ বিতরণ কোম্পানিগুলোতে একের পর এক আসছে নিুমানের প্রি-পেইড মিটার, সফটওয়্যার সিস্টেম ও ট্রান্সফরমার। আর এর খেসারত হিসেবে একদিকে গ্রাহক পর্যায়ে সঠিক ও নির্ভুল বিল পাওয়া যাচ্ছে না। অন্যদিকে একটি কোম্পানির সঙ্গে একচেটিয়া ব্যবসা থাকায় বাজার মূল্যের চেয়ে ২-৩ গুণ বেশি দামে ক্রয় করতে হচ্ছে এসব সরঞ্জাম। এতে শত শত কোটি টাকা লোকসান হচ্ছে সরকারের। অভিযোগ রয়েছে- এ কাজে খোদ পিডিবিরই একাধিক শীর্ষ কর্মকর্তা সরাসরি জড়িত। তাদের নেতৃত্বে ডিপিডিসি, ডেসকোসহ একাধিক বিদ্যুৎ বিতরণ কোম্পানির শীর্ষ কর্মকর্তা ও একশ্রেণীর ঠিকাদার সিন্ডিকেট পুরো কার্যক্রমটি পরিচালনা করছে। দীর্ঘদিন ধরে এই প্রি-পেইড মিটার ক্রয়ে দুর্নীতির অভিযোগ থাকলেও ২০১০ সাল থেকে মূলত একটি কোম্পানির হাতেই চলে যায় পুরো প্রি-পেইড মিটারের বাণিজ্য। সম্প্রতি ডিপিডিসিতে এ ধরনের টেন্ডার বাণিজ্য করতে গিয়ে গোলাগুলির ঘটনাও ঘটেছে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত নীতিমালাও মানছে না সিন্ডিকেট। জানা গেছে, ২০১০ সালের ১১ অক্টোবর পিডিবি সিস্টেমসহ ৩৫ হাজার প্রি-পেইড মিটার ক্রয়ের দরপত্র (নং-১৫৩০) আহ্বান করে। মূলত এরপর থেকে প্রি-পেইড মিটারের কাজ চলে যায় একটি অখ্যাত কোম্পানির হাতে। অভিযোগ ওই দরপত্রের আওতায় দুই ধরনের প্রি-পেইড মিটার ক্রয়ের কথা ছিল। একটি কিপ্যাড মিটার অপরটি স্মার্টকার্ড মিটার। দরপত্র মূল্যায়ন শেষে পিডিবি মেসার্স আইডিয়াল এন্টারপ্রাইজ জেভি হেক্সিং নামের একটি কোম্পানিকে কার্যাদেশ দেয়। চুক্তি অনুযায়ী হেক্সিং থেকে কিপ্যাড মিটার ও মালয়েশিয়ার এমআইএম নামক একটি কোম্পানির কাছ থেকে স্মার্টকার্ড মিটার এবং মেসার্স বিআইপিএল নামক একটি কোম্পানির সফটওয়্যার সরবরাহ করার কথা। সব ধরনের প্রি-পেইড মিটার যাতে একটি সফটওয়্যার দিয়ে পরিচালনা করা যায় তার জন্য বিউবো একটি সর্বজনীন সফটওয়্যার ক্রয়ের পদক্ষেপ নিয়েছিল। কিন্তু বিপত্তি ঘটে বিপিএলের এ ধরনের সফটওয়্যার তৈরি করার মতো কারিগরি অভিজ্ঞতা না থাকার কারণে। পিডিবির প্রকৌশল বিভাগের একজন শীর্ষ কর্মকর্তা জানান, বিআইপিএল সংশ্লিষ্ট সফটওয়্যার তৈরিতে ব্যর্থ হওয়ার পর নিয়ম অনুযায়ী চুক্তি বাতিলের কথা। কিন্তু সিন্ডিকেট আইডিয়াল এন্টারপ্রাইজ জেভি হেক্সিংয়ের সঙ্গে চুক্তি বাতিল না করে শর্ত ভঙ্গ করে আইবিসিএক্স প্রাইমেক্স নামক একটি কোম্পানির সঙ্গে সফটওয়্যার তৈরির চুক্তি করে। অভিযোগ রয়েছে আইবিসিএক্স-প্রাইমেক্স চায়নাস্থ হেক্সিং কোম্পানির পরামর্শে এমনভাবে সফটওয়্যার তৈরি করে যা শুধু তাদের কোম্পানির প্রি-প্রেইড মিটারের সঙ্গে সমন্বয় করা সম্ভব। অর্থাৎ পিডিবি যদি অন্য ব্যান্ডের মিটার ক্রয় করে সেক্ষেত্রে পিডিবির ক্রয়কৃত মিটার বর্তমান সিস্টেমে চলবে না। অথচ দরপত্রের শর্ত অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট কোম্পানিকে এমন সফটওয়্যার সিস্টেম তৈরির কথা ছিল যা দিয়ে পিডিবির ক্রয়কৃত সব ধরনের কোম্পানির প্রি-পেইড মিটারের সঙ্গে সমন্বয় করা যায়। কারণ বর্তমানে পিডিবিতে বিশ্বের নামকরা একাধিক কোম্পানির প্রি-পেইড মিটার চালু আছে। কিন্তু গত দুই বছরেও সংশ্লিষ্ট কোম্পানি সে ধরনের সফটওয়্যার তৈরি করতে পারেনি। তবে নামমাত্র ২-৩টি অখ্যাত কোম্পানির মিটারের সঙ্গে ইন্টারফেস হয়েছে মর্মে পিডিবি ওই কোম্পানিকে একটি সনদপত্র দেয়। অভিযোগ রয়েছে- যে ২-৩টি কোম্পানির মিটারের সঙ্গে সমন্বয় হয় বলে বলা হচ্ছে সেগুলোর অধিকাংশেরই প্রি-পেইড মিটার সরবরাহের সর্বজনীন স্বীকৃতি নেই। এক্ষেত্রে সফটওয়্যার কোম্পানিটি সিন্ডিকেটের সহায়তায় খুবই চতুরতার সঙ্গে এপিআই (অ্যাপলিকেশন প্রোগ্রাম ইন্টারফেস) তৈরি করে যার জন্য এখন পর্যন্ত কোনো ভালো মানের কোম্পানির প্রি-পেইড মিটার ইন্টারফেস করা সম্ভব হচ্ছে না। সংশ্লিষ্টদের অভিযোগ, এক্ষেত্রে পিডিবি এসটিএস ডেমো সফটওয়্যার কিটের মত ডেমো কিট প্রকাশ করতে পারত যার দ্বারা সব মিটার প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান এপিআই অনুযায়ী মিটারে সমন্বয় করে বিউবোতে এসে সহজেই ইন্টারফেস (সমন্বয়) করতে পারত। তাদের বক্তব্য- এই পদ্ধতি পিডিবির কাছে নতুন নয়। বিউবো সিলেট, সিরাজগঞ্জ ও বগুড়া প্রকল্পে যে সিস্টেম এবং সফটওয়্যার আছে সেখানেও পিডিবি এই পদ্ধতি অনুসরণ করে মিটার সমন্বয় করে নতুন মিটার ক্রয় করেছিল। অথচ হেক্সিং কোম্পানির সিস্টেমের ক্ষেত্রে এই পদ্ধতি অনুসরণ না করে সফটওয়্যারটি যাতে একমাত্র একটি চাইনিজ কোম্পানির মিটারে চলতে পারে তার সুযোগ করে দেয়া হয়। অভিযোগ, এভাবে পিডিবি ২০১০ সাল থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত ক্রয় প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে যার সিস্টেম এখনও পরীক্ষিত নয়। বর্তমানে একই স্পেসিফিকেশন রেখে ইতিমধ্যে ৩টি দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে যাতেও চীনের হেক্সিং কোম্পানি ছাড়া আর কোনো কোম্পানি দরপত্রে রেসপন্সিভ হতে পারবে না। ইতিমধ্যে পিডিবি ২০১৪-১৫ অর্থবছরে মোট ১ লাখ ৮৬ হাজার ৪০০টি প্রি-পেইড মিটার ক্রয়ের জন্য ৫টি দরপত্র আহ্বান করেছে। এর মধ্যে ৩টি দরপত্র ছিল অঞ্চলভিত্তিক ট্রার্ন-কী টেন্ডার। একটি সাউদার্ন জোন চট্টগ্রাম যা গত বছর ২৭ ফেব্রুয়ারি আহ্বান করা হয়। অপরটি রাজশাহী এবং রংপুর ট্রার্ন-কী টেন্ডার। গত বছর ৭ এপ্রিলে এর কারিগরি দরপত্র খোলা হয়। সংশ্লিষ্টদের অভিযোগ পিডিবি ট্রার্ন-কী দরপত্রগুলো শুধু একটি কোম্পানিকে কাজ পাইয়ে দেয়ার উদ্দেশ্য নিয়ে তৈরি করেছিল। এ নিয়ে যুগান্তরে ৪টি কোম্পানিকে বাদ দিয়ে পছন্দের কোম্পানিকে প্রি-পেইড মিটার ক্রয়ের কাজ দিচ্ছে শিরোনামে একটি রিপোর্ট প্রকাশিত হয়। এরপর গত ২৯ সেপ্টেম্বর দরপত্রগুলো বাতিল করে পুনঃদরপত্র আহ্বান করার সিদ্ধান্ত নেয়। একই সঙ্গে রাজশাহী এবং রংপুর অঞ্চলের দরপত্রও বাতিল করা হয় একই অভিযোগে। একই প্রক্রিয়ায় ডেসকো এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের ঋণের সহায়তায় আন্তর্জাতিক দরপত্রের মাধ্যমে ৮২ হাজার ৫০০ প্রি-পেইড মিটার ক্রয়ের দরপত্র আহ্বান করে যার কারিগরি দরপত্র গত বছর ১৪ আগস্ট খোলা হয়। কিন্তু অভিযোগ উঠেছে ডেসকো কর্তৃপক্ষ পছন্দের কোম্পানিকে কাজ দিতে না পারায় কারিগরি মূল্যায়নে দীর্ঘ সময়ক্ষেপণ করতে থাকে। জানা গেছে কর্তৃপক্ষ এক পর্যায়ে পুনঃদরপত্রের সিদ্ধান্ত নেয়। ২০১৪-১৫ সালে পিডিবি তাদের চলমান প্রকল্প সিলেট এবং সিরাজগঞ্জ প্রকল্পের জন্য শুধু প্রি-পেইড মিটার ক্রয়ের জন্য গত বছর ১৬ জুন আন্তর্জাতিক দরপত্রের কারিগরি দরপত্র খোলা হয়। ওই দরপত্রে ৬ জন দরদাতা অংশগ্রহণ করে। কিন্তু ৮-৯ মাস ধরে বিভিন্ন মূল্যায়ন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে যখন ওয়াশিয়ন গ্র“প নামে একটি মাত্র চাইনিজ প্রতিষ্ঠানের আর্থিক দরপত্র খোলার জন্য টেকনিক্যাল মূল্যায়ন কমিটি থেকে সিদ্ধান্ত হয়। তখন রহস্যজনক কারণে ওই চাইনিজ কোম্পানির এজেন্ট দরপত্রটি খোলার প্রক্রিয়ায় বাধা প্রদান করে। অভিযোগ রয়েছে বিউবো (পিডিবি) কর্তৃপক্ষ এখন পর্যন্ত দরপত্রটি খোলার অনুমতি দেয়নি। খোদ পিডিবিরই একাধিক শীর্ষ কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, যদি দরপত্রটি খোলা হতো তাহলে ওয়াশিয়ন কোম্পানির মিটারের প্রকৃত আন্তর্জাতিক মূল্য জানা যেত। এই আর্থিক দরপত্র না খোলার রহস্য জানতে পিডিবি চেয়ারম্যানকে একাধিকবার টেলিফোন করেও তাকে পাওয়া যায়নি। অভিযোগ রয়েছে মূলত লুটপাট করতেই দরপত্রটি খোলা হয়নি। অভিযোগ আছে ডিপিডিসি গত বছর আন্তর্জাতিক বাজার মূল্যের ৩-৪ গুণ বেশি দাম দিয়ে সরাসরি ক্রয় প্রক্রিয়ায় ১১ হাজার প্রি-পেইড মিটার সিস্টেমসহ ক্রয় করে। যার প্রতিটির দাম ছিল ১১ হাজার টাকা। জানা গেছে, দেশীয় একটি প্রতিষ্ঠান সিগমা এই বাণিজ্যের সঙ্গে জড়িত। অথচ সম্প্রতি একই পদ্ধতির আওতায় আরও ১ লাখ ৩০ হাজার প্রি-পেইড মিটার (সিস্টেম ছাড়া) ক্রয় করার সিদ্ধান্ত হয় মাত্র ৭ হাজার ৮০০ টাকায়। আন্তর্জাতিক বাজারে ওয়াশিয়ন কোম্পানির একই মডেলের মিটারের মূল্য আরও অনেক কম। ইন্দোনেশিয়ায় ওয়াশিয়ন এবং হেক্সিং একই মডেলের মিটার বিক্রি করে থাকে ১৫-২০ মার্কিন ডলারে। বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য মূলত আসল খবরটি বেরিয়ে আসত যদি পিডিবি সিলেট ও সিরাজগঞ্জ প্রকল্পের ওয়াশিয়ন এবং হেক্সিং দুই কোম্পানিরই আর্থিক দরপত্রটি খুলত। সংশ্লিষ্টদের বক্তব্য আন্তর্জাতিক বাজারের মূল্য অনুযায়ী ডিপিডিসির ১ লাখ ৩০ হাজার মিটারে অতিরিক্ত ব্যয় হবে ৬১ থেকে ৮০ কোটি। যার অধিকাংশ সিন্ডিকেটের পকেটে যাবে। অভিযোগ ওয়াশিয়ন থেকে আমদানিকৃত ১০ হাজার মিটারের সিএফআর মূল্য চট্টগ্রাম কাস্টমস থেকে বের করা গেলে কেঁচো খুঁড়তে সাপ বেরিয়ে আসবে। জানা গেছে, ৪-৫ বছর আগেও দক্ষিণ আফ্রিকার লেইডস গার (LYDIS+GYR) থেকে বিউবো সিলেট প্রকল্পের প্রতিটি প্রি-পেইড মিটার ক্রয় করেছিল মাত্র ৩৫ মার্কিন ডলারে। পিডিবির একাধিক কর্মকর্তা জানান, মূলত ৭ হাজার ৮০০ টাকায় সিঙ্গেল ফেজ প্রি-পেইড মিটার ক্রয় করে সিগমাকে ৬১ কোটি টাকা পাইয়ে দেয়ার ব্যবস্থা করে সিন্ডিকেট পুরো টাকা আত্মসাৎ করার পাঁয়তারা করছে। জানা গেছে, বিষয়টি বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী এবং বিদ্যুৎ সচিবকে পর্যন্ত জানানো হয়নি। অভিযোগ তাদের অগোচরে ডিপিডিসি যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তা সরকারি ক্রয় নীতিমালা ২০০৮-এর পরিপন্থী। পিডিবি সূত্রে জানা গেছে, আন্তর্জাতিক দরপত্রের মাধ্যমে সিলেট, সিরাজগঞ্জ, চট্টগ্রাম এবং বগুড়া প্রকল্পের জন্য যেসব মিটার সিস্টেম এবং ভেন্ডিং স্টেশন ক্রয় করা হয়েছিল সেগুলো এখনও সচল। যেগুলোর দামও ছিল বর্তমান মূল্যের অর্ধেক। অথচ একটি মাত্র চাইনিজ কোম্পানিকে কাজ দেয়ার জন্য পিডিবি বারবার দরপত্রের স্পেসিফিকেশন পরিবর্তন করেছে। জানা গেছে, পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডও (আরইবি) একইভাবে ৫০ লাখ প্রি-পেইড মিটার সরাসরি ক্রয় করতে যাচ্ছে চাইনিজ প্রতিষ্ঠান টিবিএ ও ওয়াশিয়নের কাছ থেকে। অভিযোগ এক্ষেত্রেও সরকারি ক্রয় প্রক্রিয়ার নীতির পরিপন্থী অজুহাত দেখিয়ে জিটুজি প্রক্রিয়ায় সবকিছু চূড়ান্ত করে ফেলেছে। এক্ষেত্রেও উচ্চমূল্যে মিটার ক্রয় করে সরকারকে কোটি কোটি টাকা গচ্চা দিতে হবে। জানা গেছে, আরইবির এই ক্রয় প্রক্রিয়ার বিরুদ্ধে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের নিষেধাজ্ঞা থাকলেও তা মানা হচ্ছে না। অভিযোগ রয়েছে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে আরইবি মিটার ক্রয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ বিষয়ে জানতে আরইবির চেয়ারম্যানের সঙ্গে টেলিফোনে যোগাযোগ করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি। তবে সংস্থার মুখপাত্র (প্রেস কনসালটেন্ট) তালুকদার রুমী যুগান্তরকে জানান, আরইবির বর্তমান চেয়ারম্যান দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছেন। কোনো ধরনের অনিয়ম-দুর্নীতি হলেই তিনি সেটা করবেন না। রুমী বলেন, তার জানা মতে প্রি-পেইড মিটার ক্রয়ে এ ধরনের অভিযোগ সঠিক নয়।  

No comments:

Post a Comment