সাবেক মন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকীর গ্রেফতার নিয়ে তৈরি হয়েছে ধূম্রজাল। গ্রেফতারি পরোয়ানা থাকা সত্ত্বেও রোববার রাতে এয়ারপোর্ট দিয়ে নির্বিঘ্নে তার দেশে ফেরা এবং সোমবার রাত ১০টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত আটক করতে না পারায় জন্ম দিয়েছে নানা প্রশ্নের। এমনকি তার গ্রেফতারের দাবিতে সোমবার উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চল। বাদ ছিল না সংসদ অধিবেশনও। কিন্তু এরপরও দিনভর নির্বিকার ছিল আইনশৃংখলা ব
াহিনী। সরকারের ওপর মহলের সবুজ সংকেত না পাওয়া পর্যন্ত আপাতত তিনি অধরাই থাকবেন বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন সরকারসংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র। লফিত সিদ্দিকীর গ্রেফতারের ব্যাপারে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নানা জটিলতার দাবি করলেও স্পিকার তা নাকচ করে দিয়েছেন। অবশ্য সোমবার সরকারের কয়েকজন নীতিনির্ধারকের সঙ্গে যুগান্তরের পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হলে তারা বলেন, বিষয়টি (লতিফ সিদ্দিকীর দেশে ফেরা) সম্পর্কে তারা কিছু জানেন না। সরাসরি কোনো মন্তব্য করতেও অস্বীকৃতি জানান সরকারি দলের নেতারা। এ ব্যাপারে সর্বোচ্চ মহলের সিদ্ধান্তের প্রতি ইঙ্গিত করেন তারা। স্পর্শকাতর এ ইস্যুটি বর্তমানে দেশের মানুষের কাছে প্রধান আলোচ্য বিষয়ে পরিণত হলেও সোমবার অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ নিয়ে কোনো কথাই হয়নি। লতিফ সিদ্দিকী নির্বিঘ্নে দেশে ফেরার পর সোমবার আগাম জামিনের জন্য গোপনে আদালতে যান বলে গুজব ছড়িয়ে পড়ে। তবে গণমাধ্যমকর্মীরা তার হদিস পাননি। ছিলেন ধরা-ছোঁয়ার বাইরে। তিনি এখন কোথায় আছেন? কি করছেন? তা জানা না গেলেও আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা নাম প্রকাশ না করে বলছেন, সাবেক এ মন্ত্রী তাদের নজরদারিতেই রয়েছেন। সরকারের উচ্চ পর্যায়ের নির্দেশ পেলে তারা তাকে গ্রেফতার করতে পারবেন। রাতে পতিত এ মন্ত্রীর গ্রেফতারের দাবিতে সংসদ উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। বিরোধী দল ও স্বতন্ত্র সংসদ সদস্যরা অবিলম্বে তার গ্রেফতার দাবি করেন। মন্ত্রিত্ব হারানো ও আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কৃত এ সংসদ সদস্য রোববার রাতে দেশে ফিরলেও পুরো নভেম্বর মাসজুড়েই তিনি চেষ্টা চালিয়ে আসছিলেন বলে একটি সূত্র দাবি করেছে। সাবেক এ মন্ত্রী দেশে ফেরার আগে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম দিল্লি যান। সেখানে ক্ষমতাসীন বিজেপি ছাড়াও কংগ্রেস নেতাদের সঙ্গে তার বৈঠক হয়। লতিফ সিদ্দিকীর ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র জানিয়েছে, কংগ্রেস নেতাদের সহযোগিতায় এতদিন তিনি কলকাতায় অবস্থান করেন। মুক্তিযুদ্ধচলাকালীন সময় থেকেই এই কংগ্রেস নেতাদের সঙ্গে সিদ্দিকী পরিবারের ঘনিষ্ঠতা। এ নেতাদের অনেকেই খুবই প্রভাবশালী। যারা কংগ্রেসের ওপর মহলকে প্রভাবিত করার ক্ষমতা রাখেন। আগাম জামিনের জন্য সোমবার হাইকোর্টে যাওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়লেও গণমাধ্যমকর্মীদের ধরা-ছোঁয়ার বাইরে ছিলেন লতিফ সিদ্দিকী। এক পর্যায়ে খবর ছড়িয়ে পড়ে বিকালে সংসদ অধিবেশনে যোগ দেবেন মন্ত্রিত্ব হারানো ও আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কৃত এই সংসদ সদস্য। তবে শেষ পর্যন্ত আবদুল লতিফ সিদ্দিকী সংসদে যাননি। লতিফ সিদ্দিকী সংসদ অধিবেশনে যোগ দেয়ার ব্যাপারে কিছু জানিয়েছেন কিনা জানতে চাইলে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী যুগান্তরকে বলেন, লতিফ সিদ্দিকী তার সঙ্গে যোগাযোগ করেননি। এ সময় সংসদ সদস্যদের গ্রেফতারের ব্যাপারে আইনি ব্যাখ্যা দেন স্পিকার। শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, সংসদ সদস্য পদ থাকায় আবদুল লতিফ সিদ্দিকীকে সংসদ চত্বরের বাইরে থেকে গ্রেফতারে স্পিকারের অনুমতির প্রয়োজন নেই। তবে ‘দ্যা ইস্ট পাকিস্তান অ্যাসেম্বলি মেম্বারস’ প্রিভিলেজেস অ্যাক্ট-১৯৬৫’ এ বলা হয়েছে, সংসদ অধিবেশন চলার সময় এবং অধিবেশন শুরুর ৭ দিন আগে ও শেষের ৭ দিন পরে কোনো সংসদ সদস্যের দেওয়ানি, ফৌজদারি এবং রাজস্ব আদালতে সশরীরে হাজির হওয়ার ক্ষেত্রে বাধ্যবাধকতা নেই। লতিফ সিদ্দিকীকে গ্রেফতারের ক্ষেত্রে ‘আইনি জটিলতা’র কথা বলেছেন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালও। গ্রেফতারি পরোয়ানার আসামি লতিফ সিদ্দিকীকে গ্রেফতারে পুলিশ ব্যর্থ হয়েছে কিনা? সোমবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এই প্রশ্নে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমাদের কোনো ব্যর্থতা নেই। গ্রেফতারে আদালতের নির্দেশনা রয়েছে সত্য, তেমনি তিনি এখনও সংসদ সদস্য, এটাও সত্য। তিনি আরও বলেন, ‘তাকে (লতিফ) গ্রেফতারের ক্ষেত্রে আইনি জটিলতা আছে। এর বেশি কিছু আমি জানি না। প্রতিমন্ত্রীর এমন বক্তব্যে সর্বত্রই প্রশ্ন উঠেছে সরকারের সবুজ সংকেত পেয়েই কি লতিফ সিদ্দিকী দেশে ফিরলেন? কারণ বিমানবন্দরে কড়া নিরাপত্তা ভেদ করে একজন গ্রেফতারি পরোয়ানার আসামি বেরিয়ে যাওয়াটা দুঃসাধ্য। আর লতিফ সিদ্দিকী বিমানবন্দরে আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার নজরদারিতেই ছিলেন বলে জানা গেছে। এদিকে সোমবার ঢাকায় এক অনুষ্ঠানে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত লতিফ সিদ্দিকীর দেশে ফেরার ব্যাপারে বলেন, তিনি কোনো অনাকাক্সিক্ষত ব্যক্তি নন। সেপ্টেম্বরে নিউইয়র্কে এক সভায় হজ নিয়ে বক্তব্যের জেরে মন্ত্রিত্ব ও আওয়ামী লীগের সদস্য পদ হারান লতিফ সিদ্দিকী। ধর্ম অবমাননার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন আদালতে কয়েক ডজন মামলা হয়। এর মধ্যে ২২টিতে গ্রেফতারি পরোয়ানাও রয়েছে। তার মধ্যেই রোববার রাতে দেশে ফেরেন তিনি। উচ্চ আদালতে লতিফ সিদ্দিকীর উপস্থিতি নিয়ে দিনভর গুঞ্জন : আবদুল লতিফ সিদ্দিকী আগাম জামিনের জন্য হাইকোর্টে হাজির হয়েছেন- সোমবার সকালে এমন সংবাদ ছড়িয়ে পড়ে। তার উপস্থিতি নিয়ে দিনভর গুঞ্জন চলে হাইকোর্ট চত্বরে। হাইকোর্টে উপস্থিতির সংবাদে আদালতের বিভিন্ন বেঞ্চ ও বারান্দায় তীক্ষ্ণ নজর রাখেন গণমাধ্যমকর্মী ও বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা। কিন্তু কেউ তার দেখা পাননি। সরকারদলীয় সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম সুজন লতিফ সিদ্দিকীর পক্ষে জামিনের আবেদন করছেন বলে সংবাদ ছড়িয়ে পড়ে। তার বরাত দিয়ে টেলিভিশন চ্যানেলগুলোতে এ বিষয়ে ব্রেকিং নিউজ প্রচার হতে থাকে। এরপর এ খবরের সত্যতা জানতে সাংবাদিকরা ছুটে যান সুজনের কাছে। কিন্তু তিনি লতিফ সিদ্দিকীর পক্ষে মামলা করছেন না বলে জানান। এমনকি সকালে তার বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যম যে সংবাদ প্রচার করেছে তাও অস্বীকার করেন সুজন। নুরুল ইসলাম সুজন বলেন, ‘লতিফ সিদ্দিকী নামে কোনো মক্কেল আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেননি। তিনি হাইকোর্টে এসেছেন এমন কথাও আমি কাউকে বলিনি।’ লতিফ সিদ্দিকী জামিন নিতে হাইকোর্টে এসেছেন কিনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে রাষ্ট্রপক্ষের প্রধান আইনজীবী অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম সোমবার বিকালে বলেন, এমন কোনো সংবাদ আমার কাছে নেই। তিনি জামিনের আবেদন করেছেন কিনা প্রশ্নের জবাবেও তিনি একই উত্তর দেন। এদিকে লতিফ সিদ্দিকীকে গ্রেফতারের দাবিতে বিএনপি সমর্থক আইনজীবীরা সোমবার দুপুরে সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতি ভবনে বিক্ষোভ মিছিল করেন। অ্যাডভোকেট গাজী কামরুল ইসলাম সজল, শরীফ ইউ আহমেদ, মির্জা আল মাহমুদ প্রমুখ আইনজীবী মিছিলে ছিলেন। এ সময় লতিফ সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে নানা ধরনের স্লোগান দেয়া হয়। গ্রেফতারের দাবিতে রিট : ১০ নভেম্বর লতিফ সিদ্দিকীকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেফতারের দাবিতে হাইকোর্টে একটি রিট করা হয়। বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি আশরাফুল কামালের বেঞ্চ তখন এ রিট আবেদনটির শুনানি মুলতবি রাখেন। সোমবার একই বেঞ্চে একটি সম্পূরক আবেদন দাখিল করেন রিটকারী আইনজীবী ইউনুস আলী আকন্দ। আকন্দ জানান, সোমবার দুপুরে আবেদনটি শুনানির জন্য একই বেঞ্চে নেয়া হয়। আদালত আবেদনটি রেকর্ডে রেখেছেন এবং ধৈর্য ধরতে বলেছেন। আদালত বলেছেন, আগে দেখেন সরকার কি করে। ময়মনসিংহে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ : ময়মনসিংহ ব্যুরো জানিয়েছে, হজ ও তাবলিগ জামাত নিয়ে কটূক্তি করায় আবদুল লতিফ সিদ্দিকীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে ইত্তেফাকুল ওলামা মোমেনশাহী শাখা। সোমবার বিকালে শহরের বড় মসজিদ থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। মিছিল-পূর্ব সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ইত্তেফাকুল ওলামা সভাপতি অধ্যাপক মুহিব উল্লাহ, সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম, মাওলানা আবু তাহের, এনামূল হক প্রমুখ। সিলেটে মিছিল-সমাবেশ : সিলেট ব্যুরো জানায়, লতিফ সিদ্দিকীর গ্রেফতার ও ফাঁসির দাবিতে সিলেট নগরীতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে বিভিন্ন ইসলামী সংগঠন। সোমবার বিকালে মহানগর জমিয়তের একটি মিছিল বন্দর বাজার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের সামনে থেকে শুরু হয়ে নগরীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে কোর্ট পয়েন্টে এসে সমাবেশে মিলিত হয়। মহানগর জমিয়তের সহ-সভাপতি প্রিন্সিপাল মাওলানা মাহমুদুল হাসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তৃতা করেন অধ্যক্ষ হাফিজ আবদুর রহমান সিদ্দিকী, শায়খুল হাদিস মাওলানা আতাউর রহমান, মাওলানা আসরারুল হক, মাওলানা জয়নুল আবেদীন, মুফতি মাওলানা মতিউর রহমান, আবু বকর সিদ্দিক সরকার, মাওলানা জাহিদ উদ্দিন, মাওলানা বদরুল আলম, মাওলানা মোখতার আহমদ, মাওলানা সদরুল আমিন, মাওলানা সালেহ আহমদ শাহবাগী, হাফিজ কবির আহমদ, মাওলানা আসাদ উদ্দিন, মাওলানা মইনুল ইসলাম, মুফতি আবদুল মোমিন, আফজাল হোসাইন, মাওলানা আবদুর রহমান, ছাত্রনেতা শাহিদ হাতিমী, বাহাউদ্দিন বাহার, হাফিজ জাহেদ আহমদ, মাওলানা আবদুর রহিম ও হাফিজ আবদুল গনি। সমাবেশ পরিচালনা করেন যুববিষয়ক সম্পাদক আলহাজ জুবায়ের আল মাহমুদ। অন্যদিকে লতিফ সিদ্দিকীর দেশে ফেরার সংবাদে গভীর রাতে তাৎক্ষণিক মিছিল-সমাবেশ করেছে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস। রাত ১২টার দিকে নগরীর কাজিরবাজার এলাকা থেকে খেলাফত মজলিসের সিলেট মহানগরীর আমীর মাওলানা সিরাজুল ইসলাম সিরাজীর নেতৃত্বে মিছিলটি বের হয়। এটি কোর্ট পয়েন্টে এসে সমাবেশে মিলিত হয়। এতে বক্তৃতা করেন সিলেট মহানগর আমীর মাওলানা সিরাজুল ইসলাম সিরাজী ও সহসভাপতি মাওলানা শাহ মমশাদ আহমদ। লতিফকে দেশে আসার সুযোগ করে দিয়েছে সরকার -অভিযোগ বরিশালের নেতাদের : বরিশাল ব্যুরো জানায়, ইসলাম নিয়ে কটূক্তি করায় সাবেক টেলিযোগাযোগমন্ত্রী লতিফ সিদ্দিকীর দৃৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে বরিশালে সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। সোমবার বিকালে নগরীর অশ্বিনী কুমার হল চত্বরে মহানগর শাখার উদ্যোগে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে প্রধান অতিথি ইসলামী আন্দোলনের সিনিয়র নায়েবে আমীর মাওলানা মুফতি সৈয়দ মো. ফয়জুল করীম বলেন, সরকার লতিফকে দেশে আসার সুযোগ করে দিয়েছে। লতিফ মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি। তাকে কেন সরকার গ্রেফতার করছে না? এই সরকারকে ধোঁকাবাজ সরকার বলে আখ্যায়িত করেন তিনি। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ইসলামী আন্দোলনের মহানগর সভাপতি মাওলানা সৈয়দ নাছির আহমেদ কাওছার। বিশেষ অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় ছাত্র ও যুববিষয়ক সম্পাদক মুফতি সৈয়দ এছাহাক মো. আবুল খায়ের। আরও বক্তৃতা করেন মাওলানা ফজলুর রহমান, নাসির উদ্দিন নাইম, মাওলানা আরিফুর রহমান, মাওলানা সোলায়মান মল্লিক প্রমুখ। সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল নগরীর প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। লতিফ সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে আন্দোলন- কলাপাড়ায় চরমোনাই পীর : কলাপাড়া প্রতিনিধি জানান, চরমোনাই পীর ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম বলেছেন, লতিফ সিদ্দিকী শান্ত বাংলাদেশকে অশান্ত করতে ফের বাংলাদেশে প্রবেশ করেছেন। প্রশ্ন উত্থাপন করে তিনি বলেন, কাদের মদদে লতিফ বাংলাদেশে প্রবেশ করেছেন? সরকারকে হুশিয়ার করে চরমোনাই পীর বলেন, লতিফ সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে বাংলাদেশের মুসলমান এর বিরুদ্ধে রাজপথে নামবে। ইসলামী আন্দোলন কলাপাড়া উপজেলা শাখার সভাপতি আলহাজ হযরত মাওলানা মুফতি হাবিবুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে আরও বক্তৃতা করেন মুফতি হেদায়েত উল্লাহ জিহাদি, মাওলানা আরআইএম ওয়াহিদুজ্জামান, তোফাজ্জেল হোসেন, মাওলানা আসাদুজ্জামান ইউসুফ, মাহবুবুর রহমান প্রমুখ।
No comments:
Post a Comment