Saturday, March 28, 2015

বিধ্বস্ত বিমানের ‘আত্মঘাতী’ পাইলটের বাড়িতে তল্লাশি:প্রথম অালো

জার্মানির উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হওয়ার পেছনে দ্বিতীয় পাইলট অ্যান্ড্রিয়াস লুবিৎসের সম্ভাব্য উদ্দেশ্য জানতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। তাঁর দুটি বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে কম্পিউটারসহ বিভিন্ন জিনিসপত্র জব্দ করা হয়েছে। পুলিশ তল্লাশি করে ‘গুরুত্বপূর্ণ সূত্র’ পাওয়া গেছে বলে দাবি করলেও বিস্তারিত কিছু জানায়নি। তবে বেশ কিছুদিন আগে তিনি ‘মারাত্মক মানসিক বিষণ্নতা’য় ভুগেছিলেন বলে জানা গেছে। খবর এএফপি, রয়টার্স
ও বিবিসির।   জার্মানির জাতীয় বিমান সংস্থা লুফথানসার সহযোগী প্রতিষ্ঠান জার্মানউইংসের উড়োজাহাজটি গত মঙ্গলবার স্পেন থেকে জার্মানি যাওয়ার পথে আল্পস পর্বতমালায় বিধ্বস্ত হয়। এর ১৫০ আরোহীর সবার মৃত্যু হয়েছে। উড়োজাহাজটির ‘ব্ল্যাক বক্সের’ তথ্য বিশ্লেষণ করে তদন্তকারীরা বলেছেন, দ্বিতীয় পাইলট অ্যান্ড্রিয়াস লুবিৎস (২৭) ইচ্ছা করেই এটিকে পাহাড়চূড়ায় আছড়ে ফেলেছেন। ক্যাপ্টেন ককপিটের বাইরে যাওয়ার পর তিনি দরজা বন্ধ করে দেন। ক্যাপ্টেন বারবার দরজায় আঘাত করলেও তা খোলেননি দ্বিতীয় পাইলট।   পুলিশ যে দুটি বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছে, তার একটি হচ্ছে জার্মানির ডুসেলডর্ফ শহরে পাইলট লুবিৎসের নিজস্ব ফ্ল্যাট। পুলিশ গতকাল শুক্রবার জানায়, গত বৃহস্পতিবার রাতে ওই ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালিয়ে ‘বেশ কিছু জিনিসপত্র ও কাগজপত্র’ জব্দ করা হয়েছে। সবকিছুই পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে। ‘আত্মঘাতী’ পাইলটের সম্ভাব্য উদ্দেশ্য সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যেতে পারে, এমন কিছুই এখনো পাওয়া যায়নি বলে জানান পুলিশের এক মুখপাত্র। মন্টাবুর শহরে লুবিৎসের বাবা-মায়ের বাড়িতেও তল্লাশি চালিয়ে পুলিশ ব্রিফকেস, ব্যাগ ও একটি কম্পিউটার জব্দ করেছে। অভিযানের সঙ্গে যুক্ত পুলিশের মুখপাত্র বলেন, ‘উড়োজাহাজটিতে কী ঘটেছে, তা জানতে এ জিনিসগুলো হতে পারে গুরুত্বপূর্ণ ক্লু (সূত্র)।’   নীতি পুনর্বিবেচনার চিন্তাভাবনা: দুর্ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্বের বিমান সংস্থাগুলো উড়োজাহাজের ককপিট নীতিতে পরিবর্তন আনছে। জার্মানি ও অস্ট্রিয়ার কয়েকটি বিমান সংস্থা গতকাল বিমানের ককপিটে সব সময় দুই পাইলট রাখার নীতির কথা ঘোষণা করেছে। বৃহস্পতিবার কানাডা অনুরূপ ঘোষণা দেয়। একই দিন যুক্তরাজ্যের ইজিজেট, নরওয়ের এয়ারশাটল ও আইসল্যান্ডএয়ারও নীতি পরিবর্তনের কথা ঘোষণা করে। যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশের অনেক বিমান সংস্থায়ই দুই পাইলটের একজন টয়লেটে যাওয়া বা অন্য কোন প্রয়োজনে ককপিটের বাইরে গেলে দ্বিতীয় একজন ক্রু সদস্য থাকার বিধান চালু রয়েছে।   প্রযুক্তির ব্যবহার নিয়ে প্রশ্ন: পাইলট উড়োজাহাজকে বিপথে পরিচালনার চেষ্টা করলে ভূমিতে অবস্থিত নিয়ন্ত্রণকক্ষ থেকে তা ঠেকানোর প্রযুক্তি রয়েছে। তা ব্যবহার না করা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। ব্রিটিশ পত্রিকা ডেইলি মেইল-এর এক খবরে বলা হয়, ২০০১ সালের ৯/১১ সন্ত্রাসী হামলার পর ‘ছিনতাইবিরোধী ব্যবস্থা’ তৈরি করে উড়োজাহাজ নির্মাতা বোয়িং। তবে তা ব্যবহারের উদ্যোগ থমকে আছে। দৃশ্যত হ্যাকাররা উড়োজাহাজের নিয়ন্ত্রণ নিতে পারে, এমন আশঙ্কাই এর কারণ। 

No comments:

Post a Comment