বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া বলেছেন, বর্তমান সরকার জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত হয়নি। এজন্য তাদের ক্ষমতায় থাকারও কোনো অধিকার নেই। কিন্তু সরকার জোর করে ক্ষমতা দখল করে রেখেছে। গতকাল শনিবার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনিস্টিটিউশন মিলনায়তনে স্বাধীনতা ফোরাম কেন্দ্রীয় কমিটি আয়োজিত ‘বিচার বিভাগ এবং গণমাধ্যম সরকারের টার্গেট কেন?’ শীর্ষক এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথ
া বলেন। এতে সভাপতিত্ব করেন, স্বাধীনতা ফোরাম সভাপতি আবু নাসের মুহাম্মদ রহমতুল্লাহ। ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া আরো বলেন, কিছু দুর্বৃত্ত দেশ চালাচ্ছে। তারা গুম, খুন ও লুণ্ঠন করছে। এদের বিরুদ্ধে বৃহত্তর গণ-আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। ঈদের পর যে আন্দোলন শুরু হবে তাতে সবাইকে যোগ দেয়ার আহ্বান জানান তিনি। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি অধ্যাপক এমাজউদ্দীন আহমদ বলেন, চাতুর্য ও ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে একটি গোষ্ঠী শাসন ক্ষমতায় রয়েছে। এদের ক্ষমতায় থাকার কোনো অধিকার নেই। তাদের সরাতে হবে। কিন্তু প্রস্তুতি ছাড়া আন্দোলন করে তাদের সরানো যাবে না। তাদের পরাস্ত করতে হলে পুরোপুরি প্রস্তুতি নিয়ে মাঠে নামতে হবে। ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. পিয়াস করিম বলেন, অবৈধ সরকার পুলিশ, র্যাব দিয়ে ক্ষমতা টিকিয়ে রেখেছে। এ জন্য তারা বিচার বিভাগ ও গণমাধ্যম নিয়ন্ত্রণ করছে। গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে হলে এদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক ও সাংবাদিক নেতা রুহুল আমিন গাজী বলেন, ক্ষমতা পাকাপোক্ত করতে সরকার বিচার বিভাগ ও গণমাধ্যম নিয়ন্ত্রণ করছে। তিনি বলেন, যেখানে দেশের বেশির ভাগ গণমাধ্যম সরকারের তল্পিবাহক সেখানে নতুন আইনের প্রয়োজন কেন? বিএনপির যুগ্মমহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে জনগণ ভোট দেননি। এজন্য আগামী ফেব্রুয়ারিতে আরেকটি নির্বাচন দিতে হবে। এ নির্বাচন আদায় করতে তিনি নেতাকর্মীদের রাজপথে নামার আহ্বান জানান। আবু নাসের মুহাম্মদ রহমতুল্লাহ বলেন, সরকার তার অবৈধ কর্মকাণ্ড চিরস্থায়ী করতেই বিচার বিভাগ ও গণমাধ্যম নিয়ন্ত্রণ করতে চায়। তাদের এ ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করতে না পারলে দেশের স্বাধীনতা ও জাতীয়তাবাদী শক্তির অস্তিত্ব থাকবে না। স্বাধীনতা ফোরামের নেতা ইসতিয়াক হোসেন বাবুলের সঞ্চালনায় সভায় আরো বক্তব্য দেন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. আব্দুল লতিফ মাসুম, বাংলাদেশ ন্যাপের মহাসচিব এম গোলাম মোস্তফা ভূঁইয়া, স্বাধীনতা ফোরামের সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আজিজুল ইসলাম, বাংলাদেশ কল্যাণপার্টির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব এস এম আমিনুর রহমান, মুক্তিযোদ্ধা সানোয়ার হোসেন, মিয়া মোহাম্মদ আনোয়ার, ইলিয়াস হোসেন, এ বি এম খালিদ হাসান, ফারুকুল ইসলাম প্রমুখ।
No comments:
Post a Comment