ঢাকার বাসিন্দা কাজল আবদুল্লাহ একজন নতুন ভোটার। গত ২৬ মার্চ নিজের ফেসবুক পেজে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের একজন মেয়র পদপ্রার্থীর উদ্দেশে তিনি লিখেছেন, "আমি আপনার নির্বাচনী এলাকার একজন ভোটার। আপনি নতুন এক ঢাকার গল্প বলতে চাইছেন। সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে তরুণদের কাছাকাছি আসতে চাইছেন। বিডি সাইক্লিস্টের সঙ্গে সাইকেল চালাচ্ছেন। বলছেন, 'ঢাকার সমস্যা চিহ্নিত, এবার হোক সমাধানযাত্রা।' বলছেন, 'যে
ভাবে ঢাকাকে সাজানো প্রয়োজন, আমরা চাই সেভাবে ঢাকা শহরকে গড়তে।'" কাজল লিখেছেন, 'কিন্তু একজন নাগরিক হিসেবে আমি এতে সন্তুষ্ট নই। বছরের পর বছর এসব আশ্বাস দেখে-শুনে আমাদের কান পচে গেছে। আমি একদম স্পেসিফিকভাবে জানতে চাই, ঢাকার ঠিক কী কী সমস্যা আপনারা চিহ্নিত করেছেন এবং আরো স্পেসিফিকভাবে জানতে চাই, এই সমস্যাগুলো সমাধানে আপনি ঠিক কী কী করছেন বা করবেন?' আসন্ন সিটি নির্বাচনের প্রার্থীরা সাবধান! ভোটার তালিকায় নতুন নাম ওঠা কাজল আবদুল্লাহদের মতো 'কড়া' ভোটার এবার অনেক। বলা যায় না, তারাই হয়তো এবার ঠিক করবে আপনার নির্বাচনী ভাগ্য। তাদের মন জয়ের ওপরই নির্ভর করবে আপনার জয়-পরাজয়। ভোটার তালিকা বিশ্লেষণ করে এমন আলামতই মিলছে এবার। বিশ্লেষণ বলছে, ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সব কিছু ছাপিয়ে এবার বড় ফ্যাক্টর হয়ে উঠতে পারে নতুন ভোটাররা। গত ১৩ বছরে ঢাকায় ভোটার বেড়েছে সাড়ে ১৩ লাখ, যা মোট ভোটারের ৩২ শতাংশ। তারা এবার প্রথমবারের মতো সিটি নির্বাচনে ভোট দেবে। ফলে ভোটের নানা অঙ্কের মধ্যে জয়ের ক্ষেত্রে মূল নিয়ামক হতে পারে তারাই। বিশ্লেষকরাও মনে করছেন, যে প্রার্থীর দিকে নতুনরা ঝুঁকবে, তাঁর জয়ের সম্ভাবনাই বেশি। কাগজে-কলমে সিটি করপোরেশন নির্বাচন নির্দলীয়। তবে আদতে কোনো সিটির নির্বাচনই দলনিরপেক্ষ হয়নি। বড় রাজনৈতিক দলগুলো যে প্রার্থীকে সমর্থন দিয়েছে তিনিই নির্বাচনে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতায় থেকেছেন। জয়ীও হয়েছেন দলীয় সমর্থন পাওয়া প্রার্থীরা। নির্বাচনে তাই দলীয় সমর্থনের অঙ্কই বড়। কিন্তু দুটি বড় দলের সমর্থন যখন কাছাকাছি হয় তখন অন্য অঙ্কগুলো বড় হয়ে দেখা দেয়। এবারের নির্বাচনে বড় বিবেচনার বিষয় হচ্ছে নতুন ভোটারদের ভোট। সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার বলেন, 'এবারের নির্বাচনে যাঁরা নতুন ভোটার হয়েছেন তাঁদের কিছু অংশ ২০০৮ সালের নির্বাচনে ভোট দিয়েছিলেন। তবে সিটিতে এবারই প্রথম। এক-তৃতীয়াংশ ভোটার এবার নতুন। তাঁদের ভূমিকা অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ।' ৫ শতাংশ ভোট 'সুইং' হলে ১০ শতাংশের ব্যবধান তৈরি হয় মন্তব্য করে তিনি আরো বলেন, 'নতুন ভোটাররা অপেক্ষাকৃত সচেতন। তাঁরা শিক্ষিত ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সক্রিয়। তাঁদের প্রভাব ভালো প্রার্থীর পক্ষে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে।' ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক ড. আখতার হোসেন বলেন, '৩২ শতাংশ একটি বড় অঙ্ক। এবারের নির্বাচনে নতুন ভোটাররা 'ডিসাইডিং রোল প্লে' (ফল নির্ধারণী ভূমিকা) করবে।' ড. আখতার হোসেন মনে করেন, নতুন ভোটাররা বেশির ভাগ এ শহরে বড় হয়েছে। তাদের কাছে আঞ্চলিকতা বা এলাকাপ্রীতির চেয়ে প্রার্থীর যোগ্যতা ও তার সমর্থক দলের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে। এত বেশি নতুন ভোটার কখনো সাম্প্রতিক কোনো নির্বাচনে ছিল না। ২০০২ সালের সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ঢাকায় মোট ভোটার ছিল ২৮ লাখ ৬৯ হাজার ২৮ জন। ১৯৯৪ সালে ছিল ১৭ লাখ ৮৪৮ জন। এ হিসাবে ওই নির্বাচনে নতুন ভোটার ছিল প্রায় ১১ লাখ ৬৮ হাজার। এবার সে সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে সাড়ে ১৩ লাখে। মনে করা হয়, ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগের বিপুল বিজয়ের পেছনে নতুন ভোটারদের সমর্থন বেশি ছিল। ওই নির্বাচনে নতুন ভোটারের সংখ্যা ছিল ৬০ লাখ ৮৬ হাজার, যা মোট ভোটারের সাড়ে ৭ শতাংশ। এবার সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ২০০৮ সালের সংসদ নির্বাচনের তুলনায় নতুন ভোটারের অনুপাত আরো বেশি। ঢাকার দুই সিটির নির্বাচনে ৪৭ জন প্রার্থী মেয়র পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। আওয়ামী লীগের সমর্থন চূড়ান্ত- উত্তরে আনিসুল হক ও দক্ষিণে সাঈদ খোকন। বিএনপির সমর্থন এখনো চূড়ান্ত হয়নি, উত্তরে আবদুল আউয়াল মিন্টু, তাঁর ছেলে তাবিথ আউয়াল ও মাহী বি চৌধুরীর নাম আলোচনায় আছে। দক্ষিণে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে আলোচনায় আছেন মির্জা আব্বাস, আবদুস সালাম ও আসাদুজ্জামান রিপন। ভোটের ক্ষেত্রে নতুনদের গুরুত্ব বুঝতে পেরে অনেক প্রার্থীই নতুন ধরনের প্রচারণা শুরু করেছেন। এ ক্ষেত্রে অনেকটা এগিয়ে উত্তরের প্রার্থী আনিসুল হক। তবে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থীদের মধ্যে ফেসবুকে একমাত্র ভেরিফায়েড পেজের মালিক মাহী বি চৌধুরী। আনিসুল হকের পক্ষে প্রচারণায় আছে 'আমরা ঢাকা' নামের একটি ফেসবুকভিত্তিক পেজ। গত রাতে এ প্রতিবেদন লেখার সময় পেজটিতে লাইকের সংখ্যা ছিল প্রায় ৪২ হাজার। ওই পেজ থেকে ঢাকার সমস্যা সম্পর্কে মতামত চাওয়া হচ্ছে। ফেসবুকে নিজেও সক্রিয় আছেন আনিসুল হক। তাঁর পেজে লাইক সংখ্যা প্রায় সাড়ে ১৪ হাজার। নিয়মিত পোস্টও দেন তিনি। সাঈদ খোকনের একটি পেজ আছে ফেসবুকে, তবে সেটি ভেরিফায়েড নয়। কিন্তু ওই পেজে নিয়মিত পোস্ট আসছে। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়াসহ বিভিন্ন নির্বাচনসংক্রান্ত ছবি তিনি নিয়মিত পোস্ট দিচ্ছেন। তাঁর পেজে লাইকের সংখ্যা প্রায় সাড়ে তিন হাজার। তাঁর সমর্থকরা একাধিক গ্রুপ ও পেজ খুলে তাঁর পক্ষে প্রচারণা চালাচ্ছেন। ফেসবুকে মির্জা আব্বাসের নামে একাধিক পেজ আছে। কোনোটিই ভেরিফায়েড নয়। তবে এর মধ্যে একটি পেজ থেকে নিয়মিত পোস্ট দেওয়া হচ্ছে, সেটিতে লাইকের সংখ্যা প্রায় সাড়ে ১৫ হাজার। আব্বাসের নামে আরো দুটি ফেসবুক পেজ পাওয়া গেছে। তবে সেগুলো সক্রিয় নয়, পোস্ট দেওয়া হয় না। আবদুল আউয়াল মিন্টুর নামে একাধিক পেজ আছে ফেসবুকে। কোনোটিই ভেরিফায়েড নয়। একটিতে লাইকের সংখ্যা ৫৩৭, অন্যটিতে ২৮২। কোনো পেজেই নিয়মিত পোস্ট দেওয়া হয় না। তবে তাঁর পক্ষে একটি পেজ পাওয়া যায়, যার শিরোনাম 'মেয়র নির্বাচনে আবদুল আউয়াল মিন্টু ভাইকে ভোট দিন'। মাহী বি চৌধুরীর পক্ষে প্রচারণায় আছে ব্লু ব্যান্ড কল নামের একটি সংগঠন। ওই সংগঠনের ফেসবুক পেজে লাইকের সংখ্যা পাঁচ হাজারের কাছাকাছি। মাহী বি চৌধুরীর নিজেরও ফেসবুক পেজ আছে এবং সেটি ভেরিফাইড। এতে লাইকের সংখ্যা চার হাজারের কাছাকাছি। পেজে নিয়মিত পোস্ট দেন তিনি। তাঁর ওয়াল পিকচার হিসেবে 'রাজনীতিকে ঘৃণা কোরো না' স্লোগান হাতে তাঁর নিজের একটা ছবি দেওয়া আছে। নতুনরা যা ভাবছে : নতুনরা বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে রাজনীতি নিয়ে নিজেদের মত প্রকাশ করছে। সেখানে থাকছে সিটি নির্বাচন প্রসঙ্গও। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশোনা শেষ করে একটি বিদেশি সংস্থায় কর্মরত কাজল আবদুল্লাহ গত ২৬ মার্চ নিজের ফেসবুক পেজে উত্তরের একজন প্রার্থীর উদ্দেশে লেখেন, 'আমি আপনার নির্বাচনী এলাকার একজন ভোটার। আপনি নতুন এক ঢাকার গল্প বলতে চাইছেন। ... সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে তরুণদের কাছাকাছি আসতে চাইছেন। বিডি সাইক্লিস্টের সঙ্গে সাইকেল চালাচ্ছেন। বলছেন, ঢাকার সমস্যা চিহ্নিত, এবার হোক সমাধানযাত্রা। বলছেন, যেভাবে ঢাকাকে সাজানো প্রয়োজন, আমরা চাই সেভাবে ঢাকা শহরকে গড়তে।' কাজল লিখেছেন, 'কিন্তু, একজন নাগরিক হিসেবে আমি এতে সন্তুষ্ট নই। এখন দিন পাল্টাচ্ছে। বছরের পর বছর এসব আশ্বাস দেখে-শুনে আমাদের কান পচে গেছে। আমি একদম স্পেসিফিকভাবে জানতে চাই, ঢাকার ঠিক কী কী সমস্যা আপনারা চিহ্নিত করেছেন এবং আরো স্পেসিফিকভাবে জানতে চাই, এই সমস্যাগুলো সমাধানে আপনি ঠিক কী কী করছেন বা করবেন?' কাজল আবদুল্লাহর পোস্টটি ৭৩ জন পছন্দ করে 'লাইক' দিয়েছেন। বেশ কিছু মন্তব্যও পড়েছে ওই পোস্টে। তাতে জুয়েল রানা নামের একজন লিখেছেন, 'আমি আমার এলাকা মশামুক্ত দেখতে চাই; জলাবদ্ধতা চাই না; মাঠগুলোতে ধুলো নয়, ঘাস দেখতে চাই; নিরাপত্তা চাই আর চাই বাড়িওয়ালার বাসাভাড়াসহ রাতে ঢোকা-বের হওয়া নিয়ে অহেতুক হয়রানির হাত থেকে বাঁচতে!' জহিরুল ইসলাম নামের আরেক ফেসবুক ব্যবহারকারী কাউন্সিলর প্রার্থী হলে কী করতেন তা লিখেছেন ফেসবুকে। তিনি বলেছেন, তিনি নির্বাচনে দাঁড়ালে কিছু উদ্যোগ নিতেন। এগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- ১. সব বাসামালিকদের নিয়ে একটি বাসামালিক সমিতি করা, যাতে এলাকার উন্নয়ন ও সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে সমন্বিত উদ্যোগ নেওয়া যায়। ২. এলাকার সব ভাড়াটিয়া নিয়ে একটি ভাড়াটিয়া সমিতি করা, যাতে বাড়িওয়ালাদের অনৈতিক চাপ, ভাড়াটিয়াদের সমস্যা সমাধান করা যায়। ৩. এলাকায় পরিষদ কর্তৃক নিয়ন্ত্রিত সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা বাহিনী থাকবে। যাতে এলাকায় চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই, চাঁদাবাজি বন্ধ হয়। (এদের মাসিক বেতন দেওয়া হবে উপরোক্ত সমিতির নির্ধারিত মাসিক অর্থে) ৪. এলাকাভিত্তিক ফুটবল টুর্নামেন্ট, ক্রিকেট টুর্নামেন্ট চালু, যাতে তরুণ প্রজন্মকে খেলাধুলায় আগ্রহী করে তোলা যায়। ৫. এলাকার পরিচ্ছন্নতা কর্মসূচি নিয়মিত করা। কোথাও ময়লা-আবর্জনা পড়ে থাকলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া। জহিরুল ইসলামের মতে, এসব কাজ করতে সরকারের এক টাকাও খরচ হবে না। কাউন্সিলরের ইচ্ছাই যথেষ্ট। তিনি লেখেন, 'আহারে আমাদের জনপ্রতিনিধিরা! কত কম খরচে মানুষের মন পাওয়া যায়। কত কম খরচে জনসেবা করা যায়।' জহিরুল ইসলামের পোস্টে 'লাইক' দিয়েছেন ৩৮ জন। কয়েকটি মন্তব্যও পড়েছে। সেখানে একজন হতাশার কথাও লিখেছেন। মামুনুর রশিদ নামের একজন বলেছেন, 'দোস্ত, এটা বাংলাদেশ, চান্দের দেশ না। আকাশ-কুসুম কল্পনা কইরো না।' ফেসবুকভিত্তিক সংগঠন বিডি সাইক্লিস্টের সদস্য নূরে নাজিয়ার চাওয়া পরিচ্ছন্ন ও যানজটমুক্ত ঢাকা। তিনি মনে করেন, পরিচ্ছন্ন ঢাকা গড়তে সামাজিক প্রচারাভিযান প্রয়োজন। এ ক্ষেত্রে সিটি করপোরেশন বিডি সাইক্লিস্টের মতো সংগঠনগুলোকে সঙ্গে নিয়ে প্রচারণা চালাতে পারে। তিনি কালের কণ্ঠকে বলেন, 'আমরা শহরকে নোংরা করছি সচেতনতার অভাবে। বাসচালক ও সহকারীরা যানজট তৈরি করছে ট্রাফিক নিয়মগুলো না জেনে। এসব দূর করতে বড় ধরনের সচেতনতা কার্যক্রম চালানো দরকার।' প্রার্থীদের ইশতেহারে থাকছে নতুনরা : নতুনদের পক্ষে টানতে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীরা কোনো চিন্তা বা পরিকল্পনা করছেন কি না তা জানা যায়নি। তাঁরা এখনো আত্মগোপনে আছেন। ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও তাঁদের পাওয়া যায়নি। তবে তরুণদের সঙ্গে ইতিমধ্যেই কাজ করা শুরু করে দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী আনিসুল হক। তিনি ফেসবুকভিত্তিক সংগঠন বিডি সাইক্লিস্ট সদস্যদের সঙ্গে সাইকেল চালিয়েছেন। তরুণদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করার ঘোষণা দিয়েছেন। ইতিমধ্যে তাঁর পক্ষ থেকে ঢাকার সংকট বা সমস্যা সম্পর্কে লিখে, ছবি তুলে কিংবা ভিডিও করে পাঠিয়ে দিতে বলা হয়েছে 'আমরা ঢাকা' ফেসবুক পেজে। এ সমস্যা সমাধানে কোনো প্রস্তাব থাকলে, তাও পাঠিয়ে দিতে বলা হয়েছে। পাঠানোর শেষ তারিখ ৬ এপ্রিল। সেরা ১০০ জন লেখক/প্রস্তাবক/ফটোগ্রাফার একজন স্বজন/বন্ধুসহ আগামী ১০ এপ্রিল শুক্রবার দুপুরে এক মতবিনিময় সভায় সরাসরি কথা বলবেন আনিসুল হকের সঙ্গে। আওয়ামী লীগ সমর্থিত দক্ষিণের প্রার্থী সাঈদ খোকন তাঁর নির্বাচনী ইশতেহারে নতুনদের পক্ষে টানার জন্য কিছু অঙ্গীকার রাখবেন। তিনি কালের কণ্ঠকে বলেন, 'আমি নিজেই তরুণদের প্রতিনিধি। মেয়র নির্বাচিত হলে আমি পরিচ্ছন্ন, সন্ত্রাস ও মাদকমুক্ত ঢাকা গড়তে তরুণদের কাজে লাগাব।'
No comments:
Post a Comment