Thursday, April 23, 2015

আ. লীগের ১৪৬ বিদ্রোহী:কালের কন্ঠ

উত্তরে ৩৩ ওয়ার্ডে অটল ৭২ উত্তর সিটিতে কাউন্সিলর পদে বিদ্রোহী প্রার্থীদের কোনোমতেই বাগে আনতে পারছে না আওয়ামী লীগ। ৩৬টির মধ্যে ৩৩টি ওয়ার্ডেই দল সমর্থিত প্রার্থীদের বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন বিদ্রোহী প্রার্থীরা। এর মধ্যে পাঁচজন করে বিদ্রোহী প্রার্থী আছেন তিনটি ওয়ার্ডে, দুটি ওয়ার্ডে আছেন চারজন করে, তিনজন করে আছেন চারটি ওয়ার্ডে, দুজন করে আছেন ১৩টি ওয়ার্ডে, আর একজন করে বিদ্রোহী প্রার্থী আছেন ১১টি
ওয়ার্ডে। আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা চেষ্টা করলেও মাঠ ছাড়তে নারাজ বিদ্রোহী প্রার্থীরা। তাঁদের মধ্যে কমপক্ষে ১৫ জন আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন যুবলীগের নেতা-কর্মী। আরেক সহযোগী সংগঠন স্বেচ্ছাসেবক লীগেরও বেশ কয়েকজন নেতা-কর্মী আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থীর বিপক্ষে লড়ছেন। বেশ কয়েকজন বিদ্রোহী প্রার্থী কালের কণ্ঠকে বলেন, 'সিটি করপোরেশন নির্বাচন দলীয় নির্বাচন নয়। ফলে দল থেকে সরে দাঁড়ানোর জন্য খুব বেশি চাপ নেই। দলের কেন্দ্রীয় নেতারাও প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারেননি। আমরা দীর্ঘদিন ধরে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়েছি, মাঠ গুছিয়েছি। এখন এলাকায় একটি অবস্থান তৈরি হয়েছে। সেটি ধরে রাখতে হলে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা না করে উপায় নেই।' বিদ্রোহী প্রার্থীদের বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম কালের কণ্ঠকে বলেন, 'যাঁরা বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন তাঁদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।' কোন ওয়ার্ডে কারা বিদ্রোহী : ১ নম্বর ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে দলীয় সমর্থন পেয়েছেন আফছার উদ্দিন খান। তাঁর বিরুদ্ধে লড়ছেন ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ারুল ইসলাম ও যুবলীগের মামুন সরকার। আওয়ামী লীগের আরো কয়েকজন প্রার্থী প্রতীক বরাদ্দ পেয়েছিলেন, পরে অবশ্য তাঁরা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। ২ নম্বর ওয়ার্ডে কদম আলী মাদবর দলীয় সমর্থন পেয়েছেন, বিদ্রোহী হিসেবে আছেন ইসমাইল হোসেন ও মো. মমিন। ৩ নম্বর ওয়ার্ডে দল সমর্থিত কাজী জহিরুল ইসলাম মানিকের বিরুদ্ধে লড়ছেন আওয়ামী লীগের পাঁচজন- ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি বাহাউদ্দিন বাহার, যুবলীগের ঢাকা মহানগর উত্তরের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক আয়নাল হক, তাঁতি লীগের নেতা রফিকুল ইসলাম জামিম, স্থানীয় আওয়ামী লীগকর্মী মামুন মজুমদার ও মুজিবুর রহমান। ৪ নম্বর ওয়ার্ডে দল সমর্থিত জামাল মোস্তফার বিরুদ্ধে প্রার্থী হয়েছেন কাফরুল থানা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মতিউর রহমান মাইকেল ও ঢাকা মহানগর যুবলীগের সদস্য সামসুদ্দিন শেখ। ৫ নম্বর ওয়ার্ডে দল সমর্থিত আবদুর রউফ নান্নুর বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন কাফরুল থানা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক জুয়েল রানা, আওয়ামী লীগের কর্মী হারুন অর রশীদ ও নূর ইসলাম খান খোকন। ৬ নম্বর ওয়ার্ডে আতিকুল ইসলাম আতিক দলীয় সমর্থন পেয়েছেন, বিদ্রোহী হিসেবে আছেন পল্লবী থানা যুবলীগের সাবেক সভাপতি হাজি রজ্জব হোসেন, মিরপুর কলেজের সাবেক ভিপি সালাউদ্দিন রবিন ও স্থানীয় আওয়ামী লীগের কর্মী আবু বকর সিদ্দিক। ৭ নম্বর ওয়ার্ডে দল সমর্থিত মোবাশ্বের চৌধুরীর বিরুদ্ধে লড়ছেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা আবদুস সোবহান। ৮ নম্বর ওয়ার্ডে দল সমর্থিত কাজী টিপু সুলতানের বিরুদ্ধে প্রার্থী হয়েছেন শাহ আলী থানা আওয়ামী লীগের প্রস্তাবিত সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান তালুকদার মিয়া ও মিরপুর থানা যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম মোল্লা আকাশ। ৯ নম্বর ওয়ার্ডে দল সমর্থিত মুজিব সরোয়ার মাসুমের বিরুদ্ধে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল হোসেন ও স্থানীয় আওয়ামী লীগকর্মী এম এ সেলিম খান। এ ওয়ার্ডের আরেক বিদ্রোহী প্রার্থী লুৎফর রহমান নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। ১১ নম্বর ওয়ার্ডে দল সমর্থিত গাজী অলিয়ার রহমান বাবুলের বিরুদ্ধে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন দেওয়ান আবদুল মান্নান, মির জসীম উদ্দিন ও মামুন মিয়া শাহজাহান। ১২ নম্বর ওয়ার্ডে দল সমর্থিত শিরিন রুখসানার বিরুদ্ধে লড়ছেন খোরশেদ আলম ও মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন তিতু। ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে দল সমর্থিত নাজমুল আলম ভূঁইয়া জুয়েলের বিরুদ্ধে লড়ছেন ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশিদ মিঠু। ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে দল সমর্থিত রেজাউল হক ভূঁঁইয়া বাহারের বিরুদ্ধে মাঠে আছেন পাঁচজন- মহানগর উত্তর যুবলীগের সহসভাপতি হুমায়ূন রশিদ জনি, জাতীয় শ্রমিক লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম শিকদার, কাফরুল থানা সৈনিক লীগের সাধারণ সম্পাদক রুবেল মিয়া, আওয়ামী লীগ নেতা জহিরুল ইসলাম ও জাকির হোসেন। ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে দল সমর্থিত হাজি আজমত দেওয়ানের বিরুদ্ধে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন সালেক মোল্লা ও আবদুর রব মাইজভাণ্ডারী। ১৬ নম্বর ওয়ার্ডে মাহমুদা বেগম কৃকের বিরুদ্ধে বিদ্রোহী প্রার্থী আছে চারজন- স্থানীয় যুবলীগ নেতা আবুল হাসেম হাসু, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মতিউর রহমান মোল্লা ও আওয়ামী লীগের কর্মী মোহাম্মদ আজিজুর রহমান স্বপন। ১৭ নম্বর ওয়ার্ডে দল সমর্থিত ডা. জিন্নাত আলীর বিরুদ্ধে লড়ছেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা ইসহাক মিয়া। ১৮ নম্বর ওয়ার্ডে জাকির হোসেন বাবুলের বিরুদ্ধে মাঠে আছেন দুজন- কফিল উদ্দিন ও মোহাম্মদ আফরোজ-এ-হাবিব। ১৯ নম্বর ওয়ার্ডে দল সমর্থিত মফিজুর রহমানের বিরুদ্ধে নির্বাচন করছেন কড়াইল ইউনিট আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ফারুক রাজা। ২০ নম্বর ওয়ার্ডে দল সমর্থিত হাজি মোহাম্মদ আসলামের বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা মো. নাছির। ২১ নম্বর ওয়ার্ডে দল সমর্থিত ওসমান গনির বিরুদ্ধে আছেন গোলাম মোস্তফা। ২২ নম্বর ওয়ার্ডে হাজি লিয়াকত আলীর বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন মহানগর দক্ষিণ স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এ বি এম আহম্মদ উল্যা ও আওয়ামী লীগ নেতা নূরুল ইসলাম। ২৩ নম্বর ওয়ার্ডে দল সমর্থিত সরদার ফায়সাল বাশার ফুয়াদের বিরুদ্ধে আছেন মোস্তাক আহমেদ। ২৪ নম্বর ওয়ার্ডে দল সমর্থিত সফিউল্লাহ শফির বিরুদ্ধে লড়ছেন তালুকদার সারওয়ার হোসেন। ২৭ নম্বর ওয়ার্ডে ফরিদুর রহমান খান ইরানের বিরুদ্ধে লড়ছেন আমির হোসেন। ২৮ নম্বর ওয়ার্ডে ফোরকান হোসেন দলীয় সমর্থন পেলেও তাঁর বিরুদ্ধে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন চারজন- নজরুল ইসলাম সিকদার, অ্যাডভোকেট নাজিম উদ্দিন জামশেদ, যুবলীগ নেতা মোহাম্মদ শিবলী সাদেক ও সান্টু রহমান দুলাল। ২৯ নম্বর ওয়ার্ডে দল সমর্থিত সলিমুল্লাহ সলুর বিরুদ্ধে লড়ছেন নূরুল ইসলাম রতন। ৩০ নম্বর ওয়ার্ডে দলের সমর্থন পেয়েছেন মোহাম্মদ আরিফুর রহমান তুহিন, বিদ্রোহী হয়েছেন হাজি আবুল হাসেম হাসু ও সালাহ উদ্দিন। ৩১ নম্বর ওয়ার্ডে দল সমর্থিত এস এম ইমতিয়াজ খান বাবুলের বিরুদ্ধে লড়ছেন গোলাম কিবরিয়া ভূঁইয়া অপু ও জসিম উদ্দিন। ৩২ নম্বর ওয়ার্ডে দল সমর্থিত হাবিবুর রহমান মিজানের বিরুদ্ধে প্রার্থী হয়েছেন সৈয়দ সিরাজ উদ্দীন। ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডে দল সমর্থিত শেখ বজলুর রহমানের বিরুদ্ধে বিদ্রোহী প্রার্থী পাঁচজন- আবু সাঈদ বেপারী, এ কে এম অহিদুর রহমান, এম এ হালিম বাদশাহ, তারেকুজ্জামান রাজিব ও শাহজালাল লুলু। ৩৪ নম্বর ওয়ার্ডে দল সমর্থিত আবু তাহের খানের বিরুদ্ধে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহসভাপতি কামাল উদ্দিন ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক মোহাম্মদ হোসেন খোকন প্রার্থী হয়েছেন। ৩৫ নম্বর ওয়ার্ডে মোক্তার সরদারের বিরুদ্ধে লড়ছেন রমনা থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ফয়জুল মুনির চৌধুরী ও স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা মোহাম্মদ মোখলেসুর রহমান। ৩৬ নম্বর ওয়ার্ডে দল সমর্থিত তৈমুর রেজা খোকনের বিরুদ্ধে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন তিনজন- সালাহ উদ্দিন, বড়ুয়া মনোজিত ধীমন ও ইসলাম চৌধুরী আজাদ।   দক্ষিণে ৪০ ওয়ার্ডে নাছোড়বান্দা ৭৪ ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ৫৭টি ওয়ার্ডের মধ্যে কেবল ১৫ ওয়ার্ডে একক প্রার্থী নিশ্চিত করতে পেরেছে আওয়ামী লীগ। ৪০ ওয়ার্ডে ৭৪ জন বিদ্রোহী প্রার্থী এখনো নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াননি। বাকি দুটি ওয়ার্ডেও আওয়ামী লীগের একাধিক প্রার্থী আছেন, তবে কাউকেই সমর্থন দেয়নি আওয়ামী লীগ। ওয়ার্ড দুটি উন্মুক্ত রাখা হয়েছে। বিদ্রোহী প্রার্থীরা বলছেন, দল থেকে যোগ্য ও ত্যাগী নেতাদের মূল্যায়ন করা হয়নি। দীর্ঘদিন ধরে তাঁরা আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে যুক্ত আছেন। অথচ নির্বাচনে দলের সমর্থন পেয়েছেন অল্প সময় ধরে আওয়ামী লীগের সঙ্গে যুক্ত ধনী নেতারা। একাধিক বিদ্রোহী প্রার্থী কালের কণ্ঠকে বলেন, 'দলের দুর্দিনে মাঠে থাকি আমরা, পুলিশের লাঠির বাড়ি, জেল-জুলুম, মামলা-হামলা সহ্য করি আমরা; কিন্তু সুসময়ে ফল ভোগ করবেন সুবিধাবাদীরা, এটা মেনে নেওয়া যায় না। আমরা তৃণমূলে সংগঠন করি, আমাদের জনপ্রিয়তা আছে। বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে বিজয়ী হয়ে দলের হাইকমান্ডকে বুঝিয়ে দিতে চাই, তারা ভুল লোকদের সমর্থন দিয়েছে।' তবে দল সমর্থিত প্রার্থীরা বলছেন, 'অসৎ উদ্দেশ্য নিয়ে বিদ্রোহী প্রার্থীরা মাঠে আছেন। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে তাঁরা বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীদের কাছ থেকে আর্থিক সুবিধা নিচ্ছেন। আর কোনো কোনো ক্ষেত্রে স্থানীয় সংসদ সদস্য ও ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের নেতাদের দ্বন্দ্বে বিদ্রোহীরা মাঠে আছেন।' খোঁজ নিয়ে জানা যায়, দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের যে ৪২টি ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগের দলীয় একাধিক প্রার্থী রয়েছেন সেগুলোতে এখনো একক প্রার্থী রাখার চেষ্টা চলছে। তবে এ ওয়ার্ডগুলোর মধ্যে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই কয়েকজন প্রার্থী থাকায় একক প্রার্থী নিশ্চিত করতে বেগ পেতে হচ্ছে। একাধিক প্রার্থী থাকা ওয়ার্ডগুলোর কোনো কোনোটিতে তিন-চারজন করেও বিদ্রোহী প্রার্থী রয়েছেন। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি প্রার্থী আছেন ৩৪ নম্বর ওয়ার্ডে, সাতজন। বিদ্রোহী প্রার্থীদের বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এম এ আজিজ কালের কণ্ঠকে বলেন, 'আমরা আর দুই দিন দেখব। এর মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে না সরলে বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। দলের কেন্দ্রীয় নীতিনির্ধারকরা এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।' কোন ওয়ার্ডে কারা বিদ্রোহী : দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৩ নম্বর ওয়ার্ডে দল সমর্থিত প্রার্থী মাকসুদ হোসেন মহসীন। বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন আফছার উদ্দিন। ৪ নম্বর ওয়ার্ডে মাসুদ হাসান শামীম দল সমর্থিত প্রার্থী, বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহসভাপতি গোলাম মোস্তফা। ৫ নম্বর ওয়ার্ডে আশ্রাফুজ্জামান ফরিদ দলের সমর্থন পেয়েছেন। এখানে বিদ্রোহী আছেন তিনজন- গিয়াসউদ্দিন সরকার, ইসমত তাকির ও ইসমাইল সরদার। এ ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগের চিত্তরঞ্জন দাস ও তানিয়া হোসেনও বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছিলেন, পরে নির্বাচন থেকে তাঁরা সরে দাঁড়িয়েছেন। ৯ নম্বর ওয়ার্ডে দলের সমর্থন পেয়েছেন এ কে এম মমিনুল হক সাঈদ, বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা মুকছেমুল হাকিম খান ও ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সভাপতি আরিফুর রহমান। ১৭ নম্বর ওয়ার্ডে দলের সমর্থন পেয়েছেন সালাউদ্দিন আহমেদ ঢালী, এ ছাড়া মাঠে আছেন আকতার হোসেন নিরু। ১৮ নম্বর ওয়ার্ডে দলের সমর্থন পেয়েছেন জসীম উদ্দিন আহমেদ, বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন আব্দুল খালেক। ২০ নম্বর ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগের সমর্থন পেয়েছেন ফরিদ উদ্দিন আহমেদ রতন, বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে আছেন কৃষক লীগের সাবেক নেতা সারোয়ার ওয়াদুদ চৌধুরী ও সাবেক ছাত্রলীগ নেতা জাকির হোসেন জিকু। ২১ নম্বর ওয়ার্ডে দলের সমর্থন পেয়েছেন অ্যাডভোকেট এম এ হামিদ খান, বিদ্রোহী হিসেবে আছেন ছাত্রলীগ নেতা মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান। ২৩ নম্বর ওয়ার্ডে দল সমর্থিত মো. হুমায়ুন কবির ছাড়াও আছেন এম এ আকবর ও হাজি মোহাম্মদ আলমগীর। ২৪ নম্বর ওয়ার্ডে দল সমর্থিত মোশাররফ হোসেনের বিরুদ্ধে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন দেলোয়ার হোসেন মিয়া। ২৫ নম্বর ওয়ার্ডে দল সমর্থিত হাজি মো. দেলোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে আছেন মনির হোসেন। ২৬ নম্বর ওয়ার্ডে দল সমর্থিত ওসমান গনির বিরুদ্ধে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মতিউর রহমান জামাল, ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক সেলিম খান, ছাত্রলীগ নেতা হাসিবুর রহমান মানিক। ২৭ নম্বর ওয়ার্ডে দল সমর্থিত ওমর-বিন-আবদাল আজিজ ছাড়াও বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে মাঠে আছেন ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনিসুর রহমান হুমায়ুন ও লালবাগ থানা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক ফয়সাল হোসেন। ২৮ নম্বর ওয়ার্ডে দল সমর্থিত মোহাম্মদ ইউনুস সুমনের বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন কামালউদ্দিন কাবুল ও মতিউর রহমান মতি। ২৯ নম্বর ওয়ার্ডে দল সমর্থিত জাহাঙ্গীর আলম বাবুলের বিরুদ্ধে মাঠে আছেন ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম। ৩০ নম্বর ওয়ার্ডে হাসান মাহমুদ পিল্লুর বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন হাজি মোহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাক ও মো. মুসা। ৩১ নম্বর ওয়ার্ডে সফিকুর রহমান জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন শেখ মোহাম্মদ আলমগীর। ৩২ নম্বর ওয়ার্ডে সাফির উদ্দিন সাফির বিরুদ্ধে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন চারজন- আ. মান্নান, বিল্লাল শাহ, মো. মন্টু ও মো. সুবা। ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডে ইলিয়াস রশীদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহী হয়েছেন তিনজন- আরশাদ হোসেন, আউয়াল হোসেন ও মোহাম্মদ সফিউল্লা সফি। ৩৪ নম্বর ওয়ার্ডে দলের সমর্থন পেয়েছেন মো. আফজাল হোসেন সিদ্দিকী। বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন সাতজন- সারওয়ার উদ্দীন আহমেদ সিদ্দিকী, এস এম নাজিম উদ্দিন, নাছির আহমেদ খান, নওয়াব মিয়া, শেখ মোহাম্মদ আবেদ উদ্দিন, মীর সমির ও জহিরউদ্দিন পিন্টু। ৩৫ নম্বর ওয়ার্ডে গোলাম মোস্তফার বিরুদ্ধে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন শরীফ হোসেন। ৩৬ নম্বর ওয়ার্ডে দলের সমর্থন পাওয়া রঞ্জন বিশ্বাসের বিরুদ্ধে লড়ছেন জামাল উদ্দিন মো. আকবর বাবলা, মঞ্জুর হাসান রিন্টু ও মোল্লা জাহাঙ্গীর ইসলাম। ৩৭ নম্বর ওয়ার্ডে আব্দুর রহমান মিয়াজীর বিরুদ্ধে বাচ্চা নওয়াব ও শাহাবুদ্দিন জনি প্রার্থী হয়েছেন। ৪০ নম্বর ওয়ার্ডে আসাদউল্লাহ আসাদের বিরুদ্ধে প্রার্থী হয়েছেন ফায়দুল ইসলাম। ৪১ নম্বর ওয়ার্ডে সারোয়ার হাসান আলোর বিরুদ্ধে রাশেদ রেজা রিজভী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ৪৩ নম্বর ওয়ার্ডে হাজি মোহাম্মদ সাহিদের বিরুদ্ধে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক গাজী সারোয়ার হোসেন বাবু প্রার্থী হয়েছেন। ৪৪ নম্বর ওয়ার্ডে দল সমর্থিত সালেহ্ জামান সেলিমের বিরুদ্ধে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন চারজন- মশিউর রহমান খান নিপু, আনোয়ার হোসেন আনু, নিজাম উদ্দিন নিজাম ও মোহাম্মদ আলী। ৪৫ নম্বর ওয়ার্ডে হাসান আসকারীর বিরুদ্ধে আছেন শামসুজ্জোহা। ৪৬ নম্বর ওয়ার্ডে শহিদ উল্লাহ মিনুর বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন শরীফুর রহমান শরীফ। ৪৭ নম্বর ওয়ার্ডে মো. নাছির আহমেদ ভুঁইয়ার বিরুদ্ধে আছেন সরোয়ার ব্যাপারী। ৪৮ নম্বর ওয়ার্ডে আবুল কালাম অনুর বিরুদ্ধে যাত্রাবাড়ী থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক গাজী সুমন আহম্মেদ ও সাবেক ছাত্রলীগের নেতা জাহিদ হোসেন জুয়েল প্রার্থী হয়েছেন। ৪৯ নম্বর ওয়ার্ডে গাজী শামীম আহমেদের বিরুদ্ধে আছেন রাগিব আহসান। ৫০ নম্বর ওয়ার্ডে সায়েম খন্দকারের বিরুদ্ধে মাঠে আছেন ফকরুল ইসলাম মুরাদ। প্রতীক পেলেও সরে দাঁড়িয়েছেন আওয়ামী লীগ দলীয় দুই প্রার্থী এ কে এম নুরুজ্জামান ও হারুন অর রশীদ। ৫১ নম্বর ওয়ার্ডে কাজী হাবিবুর রহমান হাবুর বিরুদ্ধে ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মোখলেছুর রহমান মাঠে আছেন। ৫২ নম্বর ওয়ার্ডে মোহাম্মদ নাছিম মিয়ার বিরুদ্ধে ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. হামিদ ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম শাহীন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ৫৩ নম্বর ওয়ার্ডে হাজি মোহাম্মদ নূর হোসেনের বিরুদ্ধে ইকবাল হোসেন চৌধুরী, মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান মাঠে আছেন। ৫৪ নম্বর ওয়ার্ডে শরীফ মো. আলমগীরের বিরুদ্ধে মাঠে আছেন মোহাম্মদ মনির হোসেন ও মো. মাসুদ। ৫৫ নম্বর ওয়ার্ডে হাজি মো. নূরের বিরুদ্ধে ৫৬ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের আইনবিষয়ক সম্পাদক জিন্নাতুল ইসলাম ছাড়াও কেরামত আলী মেম্বার ও মোহাম্মদ মহিউদ্দিন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ৫৬ নম্বর ওয়ার্ডে মোহাম্মদ হোসেনের বিরুদ্ধে ডা. মোশাররফ ওহাসেন খান ও শাহ আলী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। দুটি ওয়ার্ড উন্মুক্ত : ১৪ ও ২২ নম্বর ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে কাউকে সর্মথন দেওয়া হয়নি। ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী আছেন দুজন- মোহাম্মদ সেলিম ও ইলিয়াসুর রহমান। ২২ নম্বর ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগের প্রার্থী পাঁচজন- ফ ক ম ইকবাল, আব্দুল মোহাইমেন, মনিরুল হক বাবু, তারিকুল ইসলাম সজীব ও আবিদ আলী।

No comments:

Post a Comment