Saturday, April 25, 2015

ঢাকায় ৮০ চট্টগ্রামে ৮৩ ভাগ কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ:যুগান্তর

ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে মোট ভোট কেন্দ্রের ৮০ ভাগ এবং চট্টগ্রামে ৮৩ ভাগ ঝুঁকিপূর্ণ। এর মধ্যে ঢাকার দুই সিটির ১৯৮২টি কেন্দ্রের মধ্যে উত্তরে ৫৮৭ ও দক্ষিণে ৯৯৮ কেন্দ্র ঝুঁকিতে রয়েছে। আর চট্টগ্রামে ৭১৯টির মধ্যে ৫৯৫ কেন্দ্রই ঝুঁকিপূর্ণ। নির্বাচন কমিশন (ইসি), স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও পুলিশ সদর দফতর সূত্রে জানা গেছে এসব তথ্য।
/delivery/ck.php?n=acd94d5f' target='_blank'> আরও জানা গেছে, ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রের জন্য সাধারণ কেন্দ্রের চেয় বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। এ ধরনের কেন্দ্রগুলোকে চার স্তরের নিরাপত্তাবলয় গড়ে তোলা হবে। নির্বাচনের দু’দিন আগ থেকেই ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্র ও এর পার্শ্ববর্তী এলাকায় থাকবে বাড়তি গোয়েন্দা নজরদারি। যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবেলায় থাকবে আইনশৃংখলা বাহিনীর স্ট্রাইকিং ফোর্স। এছাড়া কেন্দ্রের আশপাশে সার্বক্ষণিক ভ্রাম্যমাণ আদালতে টহল থাকবে। নির্বাচন কমিশন এবং পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যেই ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। এ ব্যাপারে প্রার্থীদের আশ্বস্ত করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন সরকারের সংশ্লিষ্টরা। তবে সরকারের এমন পদক্ষেপে আশ্বস্ত হতে পারছে না বিএনপি। এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জমান খান কামাল শুক্রবার সন্ধ্যায় টেলিফোনে যুগান্তরকে বলেন, আসন্ন সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করতে সব ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবেলায় আইনশৃংখলা বাহিনী সম্পূর্ণ প্রস্তুত আছে। তিনি বলেন, ‘আমাদের আইনশৃংখলা বাহিনীর সে সক্ষমতাও আছে।’ অন্যদিকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আসম হান্নান শাহ শুক্রবার টেলিফোনে যুগান্তরকে বলেন, ‘আসন্ন সিটি নির্বাচনে ঢাকায় শতকরা ৯৯ ভাগ ভোট কেন্দ্রই ঝুঁকিপূর্ণ।’ ‘সরকারের অভিলাষ পূরণে নীলনকশা তৈরি করা হচ্ছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, ‘সরকারদলীয় প্রার্থীদের পাশে যেসব লোকজন ঘোরাফেরা করে তাদের কোমরে অস্ত্র গোঁজা থাকে। তারা সন্ত্রাসের মাধ্যমে জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নিতে চায়।’ সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠান ও কেন্দ্রে ভোটারদের নির্বিঘ্নে যাতায়াত নিশ্চিত করতে প্রতি কেন্দ্রেই সেনা মোতায়েন করার দাবি জানান তিনি। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, প্রতিটি ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্র ও এর আশপাশে বিশেষ ব্যবস্থার পাশাপাশি ১২ জন অস্ত্রধারীসহ মোট ২৪ জন এবং স্বাভাবিক কেন্দ্রগুলোতে ১০ জন অস্ত্রধারীসহ আইনশৃংখলা বাহিনীর ২২ সদস্য নিয়োজিত থাকবে। র‌্যাব, পুলিশ, আনসার-ভিডিপি, ব্যাটালিয়ন আনসার ও কোস্টগার্ডের সমন্বয়ে এ বাহিনী ২৬ এপ্রিল থেকে শুরু করে ২৯ এপ্রিল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করবে। ঢাকা মহানগর পুলিশের মুখপাত্র যুগ্ম কমিশনার মনিরুল ইসলাম যুগান্তরকে বলেন, ২৮ এপ্রিলের ওই নির্বাচনকে ঘিরে ইতিমধ্যেই র‌্যাব ও পুলিশ প্রথম ধাপে (প্রাক-নির্বাচন) সন্ত্রাসী গ্রেফতার ও অস্ত্র উদ্ধারে অভিযান শুরু করেছে। দ্বিতীয় ধাপে নির্বাচনের দুই দিন আগে থেকে র‌্যাব, পুলিশ ও বিজিবির সমন্বয়ে নগরজুড়ে চার স্তরের নিরাপত্তা বলয় গড়ে তুলবে। অপর এক প্রশ্নের জবাবে ওই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ‘নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হবে কিনা সেটি নির্ধারণ করবে সরকার এবং নির্বাচন কমিশন। পুলিশের সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলেছে, ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশনে মোট ভোট কেন্দ্রের সংখ্যা ১৯৮২টি। এর মধ্যে ঢাকা উত্তরে ভোট কেন্দ্রের সংখ্যা ১ হাজার ৯৩টি। অন্যদিকে দক্ষিণে ভোট কেন্দ্রের সংখ্যা ৮৮৯টি। পুলিশের দেয়া তথ্যমতে, বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা ও পুলিশের প্রতিবেদন অনুযায়ী উত্তরে মোট ভোট কেন্দ্রের মধ্যে ১৫৮৫টি কেন্দ্রই ঝুঁকিপূর্ণ। এর মধ্যে অধিক ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রের সংখ্যা ১১২০টি। আর কম ঝুঁকিপূর্ণ ৪৬৫টি। বাকি ৩৯৭টি সাধারণ কেন্দ্র। সূত্র জানায়, খিলগাঁও জোনের ২১টি কেন্দ্রের মধ্যে ১৬টি কেন্দ্রই ঝুঁকিপূর্ণ। এর মধ্যে রয়েছে- খিলগাঁও মডেল হাইস্কুলের ৩টি, পূর্ব খিলগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, খিলগাঁও মডেল বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের ৪টি, খিলগাঁও ন্যাশনাল আইডিয়াল স্কুল ও কলেজের ২টি, খিলগাঁও সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ৩টি, খিলগাঁও গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজের ২টি এবং হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় অধিক ঝুঁকিপূর্ণ। গোড়ান এলাকার ২৮টি কেন্দ্রের মধ্যে ১৮টি কেন্দ্রই ঝুঁকিপূর্ণ। এর মধ্যে আলী আহমদ স্কুল অ্যান্ড কলেজের ৪টি, শান্তিপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ৩টি, গোড়ান আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের ৩টি, দক্ষিণ বনশ্রী মডেল হাইস্কুলের ৪টি, শান্তিপুর কলেজের ২টি, সানরাইজ কিন্ডারগার্টেন এবং এলিগ্যান্ট কিন্ডারগার্টেন অধিক ঝুঁকিপূর্ণ। সূত্র বলেছে, মতিঝিল এলাকার ১০টি কেন্দ্রের মধ্যে ১০টিই ঝুঁকিপূর্ণ। এগুলো হচ্ছে- আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের দুটি, মতিঝিল কলোনি ক্লাবের দুটি, বাংলাদেশ ব্যাংক উচ্চ বিদ্যালয়ের ২টি, টিঅ্যান্ডটি উচ্চ বিদ্যালয়ের দুটি, পোস্ট অফিস হাই স্কুল, মতিঝিল কলোনি কমিউনিটি সেন্টার। এছাড়া ঝুঁকিতে রয়েছে ওয়াসা অফিসের দুটি ও ঢাকা জেলা ক্রীড়া সংস্থার ১টি কেন্দ্র। আর শাহজাহানপুর এলাকার ১৩টি কেন্দ্রের মধ্যে ১৩টিই ঝুঁকিপূর্ণ। এগুলো হচ্ছে- মির্জা আব্বাস মহিলা ডিগ্রি কলেজের দুটি, শাহজাহানপুর রেলওয়ে সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ৩টি, রিয়েল আইডিয়াল, আবদুল গফুর শিক্ষা শিবির, খিলগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, শাহজাহানপুর রেলওয়ে মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মাহবুব আলী ইন্সটিটিউট, বাটারফ্লাই কিন্ডারগার্টেন, ডাইনামিক স্কুল, দ্বীপ শিখা প্রি-ক্যাডেট অ্যান্ড স্কুল। শহীদবাগ ও শান্তিবাগের ৮টি কেন্দ্রই ঝুঁকিপূর্ণ। এগুলো হচ্ছে- শান্তিবাগ উচ্চ বিদ্যালয়ের চারটি কেন্দ্র, ঢাকা বিজ্ঞান কলেজের দুটি কেন্দ্র এবং দি মিলিনিয়াম ইউনিভার্সিটির দুটি কেন্দ্র। সূত্র জানায়, পুরান ঢাকার প্রায় সব কেন্দ্রই অধিক ঝুঁকিপূর্ণের তালিকায় রয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে- বংশালে ইউসেফ মাজেদ সরদার স্কুল, আগা সাদেক রোড সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ঢাকা ফ্রি হাফেজিয়া ফোরকানিয় মাদ্রাসার দুটি, মহল্লা উন্নয়ন সোসাইটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, অগ্রগামী শিশু নিকেতন, আগামাসি লেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দুটি কেন্দ্র, কেন্দ্রীয় পশু হাসপাতালের দুটি কেন্দ্র, সিদ্দিকবাজারের মেয়র মোহাম্মদ হানিফ কমিউনিটি সেন্টার, সিদ্দিকবাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দুটি কেন্দ্র, নাজিরাবাহার বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের দুটি কেন্দ্র, নাজিরাবাজার ইসলামিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দুটি কেন্দ্র, সুরিটোলা মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তিনটি কেন্দ্র। এদিকে, ঢাকা উত্তরের ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রের তালিকার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে- উত্তরা সাত নম্বর সেক্টরের উত্তরা হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজ, ৪ নম্বর সেক্টরে নবাব হাবীবুল্লাহ স্কুল অ্যান্ড কলেজ, উত্তরা গার্লস হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজ, ৯ নম্বর সেক্টরে মাইলস্টোন প্রিপারেটরি কেজি স্কুল, আবদুল্লাহপুরের মালেকাবানু আদর্শ বিদ্যা নিকেতন, পল্লবীর খলিলুর রহমান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, রশিদ আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়, পল্লবী প্রিপারেটরি হাইস্কুল, বাংলাদেশ আদর্শ বিদ্যা নিকেতন, বঙ্গবন্ধু কলেজ, কালসীর ওমর বিন খাত্তাব মাদ্রাসা, সাউথ পয়েন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজ, পল্লবীর রিয়াজুল জান্নাত নূরানী মাদ্রাসা, ঢাকা আইডিয়াল প্রিপারেটরি স্কুল, শহীদ জিয়া মহিলা কলেজ, সুলতান মোল্লা আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়, শহীদ আবু তালেব উচ্চ বিদ্যালয়, সেনপাড়া পর্বতা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মিরপুরের গার্লস আইডিয়াল ল্যাব. ইন্সটিটিউট, মিরপুর উদয়ন স্কুল, প্রগতি উচ্চ বিদ্যালয়, মিরপুর শহীদ আইডিয়াল স্কুল, মিরপুর শাহীন স্কুল, আলহাজ আব্বাস উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়, ঢাকা মডেল ডিগ্রি কলেজ, হাজী আলী হোসেন উচ্চ বিদ্যালয়, এসওএস হারমেইন মেইনার কলেজ, কাফরুলের সরকারি ইউনানী ও আয়ুর্বেদিক ডিগ্রি কলেজ, জাতীয় বিশেষ শিক্ষা কেন্দ্র সমাজসেবা অধিদফতর, রোটারি স্কুল অ্যান্ড কলেজ, শহীদ পুলিশ স্মৃতি উচ্চ বিদ্যালয়, শেরেবাংলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, আল জাহারা গার্লস একাডেমি, পল্লবীর জান্নাত একাডেমি হাইস্কুল, কালসী ইসলামিয়া উচ্চ বিদ্যালয়, পলাশ নগর মডেল স্কুল, বাউনিয়া বাঁধ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বাউনিয়া বাঁধ ইসলামিয়া আলিম মাদ্রাসা, আহছানিয়া মিশন কলেজ, রূপনগরের রূপনগর আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়, রূপনগর পাইলট স্কুল অ্যান্ড কলেজ, মিরপুর আদর্শ বিদ্যা নিকেতন, মিরপুর শহীদ স্মৃতি উচ্চবিদ্যালয়, নিউ সেন্টমার্টিন প্রিপারেটরি স্কুল, ইসলামিয়া হাইস্কুল, ইসলামিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্রালয়, মিরপুর বাংলা স্কুল অ্যান্ড কলেজ, বঙ্গবন্ধু বিদ্যা নিকেতন, ঢাকা কমার্স কলেজ, জাহানাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মিরপুর ল্যাব হাইস্কুল, পাঞ্জেরি মডেল হাইস্কুল, শহীদ মান্নান খান মডেল স্কুল, আসমা বিদ্যা নিকেতন, গাবতলীর সপ্তঋষি কিন্ডারগার্টেন, দারুসসালাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, শাহ আলী মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, পাইক পাড়ার খান ইন্টারন্যাশনাল স্কুল, পাইকপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ঢাকা মডার্ন স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ইউসেফ ইসমাইল স্কুল, মনিপুর উচ্চ বিদ্যালয়, পীরের বাগ আলীম উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়, ভাষানটেক উচ্চ বিদ্যালয়, পশ্চিম ভাষানটেক মুক্তিযোদ্ধা উচ্চ বিদ্যালয়, পশ্চিম ভাষানটেক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পশ্চিম কাফরুলের হালিম ফাউন্ডেশন ও বাড্ডার জানে আলম সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়সহ বেশ কিছু কেন্দ্র। ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশনে মোট ভোটারের সংখ্যা ৪২ লাখ ১৬ হাজার ১২৭। এর মধ্যে উত্তরে ২৩ লাখ ৪৫ হাজার ৩৭৪ এবং দক্ষিণে ভোটার রয়েছেন ১৮ লাখ ৭০ হাজার ৭৫৩। দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনে মেয়র পদে ২০ এবং উত্তরে ১৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। আর দুই সিটি কর্পোরেশনের ৯৩টি ওয়ার্ডে দক্ষিণে কাউন্সিলর পদে ৩৮৬ এবং উত্তরে ২৭৭ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। চট্টগ্রাম ব্যুরো থেকে নাসির উদ্দিন রকি জানিয়েছেন, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ১২ মেয়রসহ ২৮৬ প্রার্থী। মেয়র ছাড়া সাধারণ কাউন্সিলর পদে ২১২ জন এবং সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদে ৬২ জন রয়েছেন ভোটের লড়াইয়ে। নগরীর ৪১টি ওয়ার্ডে ভোটার রয়েছেন ১৮ লাখ ১৩ হাজার ৪৪৯। পুরুষ ভোটার ৯ লাখ ৩৭ হাজার ৬৩ এবং মহিলা ভোটার ৮ লাখ ৭৬ হাজার ৩৯৬। ৭১৯টি ভোট কেন্দ্রের মধ্যে বুথ (ভোট কক্ষ) থাকবে ৪ হাজার ৯০৬টি। ৫৯৫টি ভোট কেন্দ্রকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে পুলিশ। ওইসব কেন্দ্রের জন্য নেয়া হয়েছে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা। সিএমপি সূত্রে জানা যায়, নগরীর ১৫টি থানার ৭১৯টি ভোট কেন্দ্রের মধ্যে ৫৯৫টি ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। অর্থাৎ মোট ৭১৯টি ভোট কেন্দ্রের মধ্যে ৮৩ শতাংশ কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ। এর মধ্যে নগরীর কোতোয়ালি, বায়েজিদ বোস্তামি, চকবাজার এবং আকবর শাহ এ চার থানা এলাকার ১৯৬টি কেন্দ্রের সবক’টিকেই ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। অন্যদিকে বাকলিয়া থানার ৫০টি ভোট কেন্দ্রের মধ্যে ৩৮টি, সদরঘাট থানার ৩৬টি কেন্দ্রের মধ্যে ২৫টি, পাঁচলাইশ থানার ৪০টি কেন্দ্রের মধ্যে ২৬টি, খুলশী থানার ৫৩টি কেন্দ্রের মধ্যে ২৯টি, চান্দগাঁও থানার ৬৫টি কেন্দ্রের মধ্যে ৫৬টি, ডবলমুরিং থানায় ৫৮টি কেন্দ্রের মধ্যে ৫৫টি, হালিশহর থানায় ৪৬টি কেন্দ্রের মধ্যে ৩৮টি, পাহাড়তলী থানায় ৩৮টি কেন্দ্রের মধ্যে ৩৪টি, বন্দর থানার ৫৫টি কেন্দ্রের মধ্যে ৩৩টি, ইপিজেড থানার ৪৩টি কেন্দ্রের মধ্যে ৩৬টি, পতেঙ্গা থানার ২৭টি কেন্দ্রের মধ্যে ২৫টি এবং জেলা পুলিশের অধীনে হাটহাজারী থানার ১২টি ভোট কেন্দ্রের মধ্যে ৪টিকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার আবদুল বাতেন বলেন, ৭১৯টি ভোট কেন্দ্রের ভেতরে মোতায়েন থাকবে ?১৭ হাজার পুলিশ ও আনসার। এর মধ্যে ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ কেন্দ্রগুলোতে থাকবে ২৪ জন এবং সাধারণ কেন্দ্রে থাকবে ২২ জন সদস্য। কেন্দ্রের বাইরে ওয়ার্ডভিত্তিক থাকবে র‌্যাব, পুলিশ ও বিজিবির আলাদা স্ট্রাইকিং ফোর্স। ৩০ প্লাটুন বিজিবি সদস্য নির্বাচনী কাজে মোতায়েন থাকবেন। স্ট্রাইকিং ফোর্সের সঙ্গে একজন করে ম্যাজিস্ট্রেট থাকবেন। ১৪০ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এবং ১০ জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নির্বাচনী দায়িত্ব পালন করবেন। সিএমপি কমিশনার আবদুল জলিল মণ্ডল বলেন, সব ভোট কেন্দ্রেই চার স্তরের নিরাপত্তা থাকবে। তবে ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রে পুলিশ ও সশস্ত্র আনসার মিলিয়ে ১০ জন করে বাড়তি ফোর্স দেয়া হবে। চার স্তরের মধ্যে প্রথম স্তরে প্রত্যেক কেন্দ্রে থাকবে পুলিশের একজন এসআই, একজন এএসআইসহ কমপক্ষে ১০ জন পুলিশ। দ্বিতীয় স্তরে থাকবে ৮ জন সশস্ত্র ও লাঠিধারী ৭ জন আনসার সদস্য। তৃতীয় ও চতুর্থ স্তরে ঝুঁকিপূর্ণ ভোট কেন্দ্র ঘিরে থাকবে বিজিবি ও র‌্যাব সদস্যদের দুটি আলাদা টিম। এদের সঙ্গে সার্বক্ষণিক পুলিশ ফোর্সও মোতায়েন থাকবে। আর সাধারণ ভোট কেন্দ্রের ক্ষেত্রে বিজিবি ও র‌্যাব সদস্যরা এলাকাজুড়ে টহল দেবেন।  

No comments:

Post a Comment