আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক) বলেছে, এ বছরের প্রথম তিন মাসে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হেফাজতে ও ‘বন্দুকযুদ্ধে’ ৬৪ জন নিহত হয়েছেন। এঁদের মধ্যে ২৪ জন নিহত হন পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’। বিভিন্ন জাতীয় পত্রিকায় প্রকাশিত তথ্যের ভিত্তিতে এ কথা জানিয়েছে মানবাধিকার সংস্থাটি। গতকাল মঙ্গলবার গণমাধ্যমে আসকের পাঠানো বিবৃতিতে বলা হয়, গত তিন মাসে পুলিশের পাশাপাশি র্যাব, বিজিবি, কোস্টগার্ড,² আনসার বাহিনীর সঙ
্গেও ‘বন্দুকযুদ্ধের’ ঘটনা ঘটেছে। এসবের মধ্যে র্যাবের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ ১৫ জন, র্যাব ও বিজিবির সঙ্গে একজন, কোস্টগার্ড ও আনসারের সঙ্গে একজন ও পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) সঙ্গে পাঁচজন নিহত হন। এ ছাড়া সাদাপোশাকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়ে ২৫ জনকে আটক করা হয়েছে। পরে এঁদের একজনের লাশ উদ্ধার হয়। ‘বন্দুকযুদ্ধে’ পুলিশের হাতে সবচেয়ে বেশি নিহত হওয়ার বিষয়ে জানতে পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) শহীদুল হকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। কিন্তু তিনি তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য করেননি। জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত ৫৫৬টি রাজনৈতিক সংঘাতের তথ্য দিয়েছে আসক। পত্রপত্রিকা থেকে পাওয়া তথ্য বিশ্লেষণ করে সংস্থাটি বলেছে, এসব সংঘাতে ১২২ জন প্রাণ হারিয়েছেন। এঁদের ৬৯ জন পেট্রলবোমায় দগ্ধ হয়ে মারা গেছেন। এ ছাড়া আওয়ামী লীগ-বিএনপি-জামায়াত-পুলিশের মধ্যে সংঘাতে ৩ হাজার ৫১ জন আহত হয়েছেন। বছরের প্রথম তিন মাসে সাংবাদিকদের হয়রানির চিত্রও তুলে ধরেছে মানবাধিকার সংস্থাটি। সবচেয়ে বেশি হুমকি দিয়েছেন পৌর মেয়র। সাংবাদিকদের মধ্যে কমপক্ষে ৩০ জনকে হুমকি দেন পৌর মেয়ররা। এ ছাড়া আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের মাধ্যমে হামলা, হয়রানি,²নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে ১৭টি, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মাধ্যমে নয়টি। একই সময়ে সরকারদলীয় কর্মী, সরকারি কর্মকর্তা, সন্ত্রাসী ও অজ্ঞাতপরিচয়ে টেলিফোনে নয়জনকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়। গত তিন মাসে হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রতিমা, পূজামণ্ডপ, মন্দিরে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে ১০৫টি। একই সময়ে বাসস্থান ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে ১৭টিতে। পারিবারিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন ৯৯ জন নারী। এঁদের ৫৮ জন স্বামীর হাতে খুন হয়েছেন। আসকের দেওয়া তথ্যমতে, ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে ১২৩টি। এঁদের ১৫ জনকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়।
No comments:
Post a Comment