Friday, May 8, 2015

ঢাকায় সর্বোচ্চ ৯৭.২৬ সর্বনিম্ন ৪.১৫ শতাংশ:কালের কন্ঠ

উত্তরার ৭ নম্বর সেক্টরে উত্তরা হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ৮ নম্বর কেন্দ্রে মেয়র পদে ভোট পড়েছে ৯৭ দশমিক ২৬ শতাংশ। এ কেন্দ্রের মোট ভোটার ২৫৫৮ জন, ভোট দিয়েছেন ২৫১৭ জন; বাতিল হয়েছে ৩২টি ভোট। আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী আনিসুল হক পেয়েছেন ২১২২ ভোট। বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী তাবিথ আউয়াল পেয়েছেন ৩০৭ ভোট। উত্তর সিটির কাফরুলের শহীদ পুলিশ স্মৃতি উচ্চ বিদ্যালয় অ্যান্ড কলেজে ১৩৫ নম্বর কেন
্দ্রে ভোট পড়েছে মাত্র ৪ দশমিক ১৫ শতাংশ। এ কেন্দ্রের মোট ভোটার ১৮৫৫ জন, ভোট দিয়েছেন ৭৭ জন; বাতিল হয়েছে ১টি ভোট। আনিসুল হক পেয়েছেন ৩২ ও তাবিথ আউয়াল পেয়েছেন ৩৬ ভোট। মিরপুরের পাইকপাড়া স্টাফ কোয়ার্টার উচ্চ বিদ্যালয়ে ৪০৪ নম্বর কেন্দ্রের মোট ভোটার ১৭৯৪ জন। এ কেন্দ্রে ৪৮ দশমিক ০৫ শতাংশ ভোট পড়েছে। তাবিথ আউয়াল পেয়েছেন মাত্র ১ ভোট। চৌধুরী ইরাদ আহমেদ সিদ্দিকী লাউ প্রতীকে ৪১৩ ভোট পেয়ে প্রথম হয়েছেন। আনিসুল হক পেয়েছেন ৩৯৫ ভোট। কমলালেবু প্রতীকে ২০ ভোট পেয়েছেন শেখ মো. ফজলে বারী আর ফ্লাস্ক প্রতীকে ১৪ ভোট পেয়েছেন মোয়াজ্জেম হোসেন খান মজলিশ। এ ধরনের ফলাফল অস্বাভাবিক বলেই সংশ্লিষ্ট অনেকের ধারণা। তাঁরা বলছেন, ঢাকার দুই সিটি নির্বাচনে এবার ভোটার উপস্থিতি বেশি ছিল না। বিএনপি নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেওয়ায় এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। এ অবস্থায় কোনো কেন্দ্রে ৯৭ দশমিক ২৬ শতাংশ ভোট পড়ার বিষয়টি স্বাভাবিক নয়। আবার বর্জনের পরও বেশ কিছু কেন্দ্রে বিএনপি সমর্থিত মেয়র প্রার্থী তাবিথ আউয়ালের জয়লাভ বিস্ময়কর। তবে নির্বাচন কমিশনাররা একে অস্বাভাবিক বা বিস্ময়কর বলতে রাজি নন। নির্বাচন কমিশনার মো. শাহ নেওয়াজ কালের কণ্ঠকে বলেন, সকালের দিকে প্রচুর ভোট পড়েছে। ফলে বিএনপি ভোট বর্জনের ঘোষণা দিলেও সকালে পাওয়া ভোটেই তিনি (তাবিথ) বেশ কিছু কেন্দ্রে জিতেছেন। আর যেসব কেন্দ্রে বিএনপির ভোট বর্জন কোনো প্রভাব ফেলেনি সেসব কেন্দ্রে বেশি ভোট পড়াই স্বাভাবিক। ঢাকা দক্ষিণ সিটিতেও এ ধরনের চিত্র রয়েছে। মেয়র পদে কোথাও ৯৪ শতাংশ আবার কোথাও ১৪ শতাংশ ভোট পড়েছে। প্রসঙ্গত, নির্বাচন কমিশন সদ্য অনুষ্ঠিত সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদের কেন্দ্রভিত্তিক ফলাফল প্রকাশে কঠোর গোপনীয়তা অবলম্বন করলেও গত বুধবার তা সাংবাদিকদের হাতে পৌঁছে যায়। সে ফলাফল বিশ্লেষণ করে অস্বাভাবিক ও বিস্ময়কর কিছু তথ্য পাওয়া গেছে। ঢাকা উত্তর সিটির তেজগাঁওয়ের টেকনিক্যাল টিচার্স ট্রেনিং কলেজে ৮২১ নম্বর কেন্দ্রে ৬ দশমিক ৬২ শতাংশ ভোট পড়েছে। এ প্রতিষ্ঠানের আরেকটি কেন্দ্রে ভোট পড়েছে ৯ দশমিক ৯৮ শতাংশ। তেজগাঁও আদর্শ হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজে ৮১০ নম্বর কেন্দ্রে ৮ দশমিক ৪৬ শতাংশ ভোট পড়েছে। উত্তরের যেসব কেন্দ্রে ১৫ শতাংশের কম ভোট পড়েছে সেগুলো হচ্ছে পল্লবী মাজেদুল ইসলাম মডেল হাই স্কুল, পল্লবী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মনিপুর উচ্চ বিদ্যালয় (বালক শাখা), গ্রিন ভিউ হাই স্কুল, ইসলামী ব্যাংক ইন্টারন্যাশনাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, সানফ্লাওয়ার স্কুল অ্যান্ড কলেজ, মানারাত ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল কলেজ ও খালেদ হায়দার মেমোরিয়াল হাই স্কুল। ফলাফল বিশ্লেষণে দেখা গেছে, উত্তর সিটির বেশ কিছু কেন্দ্রে বাতিল ভোটের হারও অস্বাভাবিক। এসব কেন্দ্রে মেয়র পদে ২০ শতাংশ পর্যন্ত ভোট বাতিল করা হয়েছে। কেন্দ্রগুলো হচ্ছে আনন্দ নিকেতন প্রাথমিক বিদ্যালয়, আরসি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, সিদ্দিক মেমোরিয়াল স্কুল, কুড়িল আইডিয়াল পাবলিক স্কুল, বনানী বিদ্যানিকেতন স্কুল অ্যান্ড কলেজ, গুলশান মডেল উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, নিউ মডেল ইন্টারন্যাশনাল স্কুল, মালিবাগ চৌধুরীপাড়া সরকারি বালক প্রাথমিক বিদ্যালয়, সিভিল অ্যাভিয়েশন উচ্চ বিদ্যালয়, তেজগাঁও সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজ। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন : চট্টগ্রাম সিটির পাঁচটি কেন্দ্রে ৯৫ শতাংশের বেশি ভোট পড়েছে। ২০টি কেন্দ্রে ৮০ শতাংশের বেশি ভোট পড়েছে। প্রায় ৯৯ শতাংশ ভোট পড়েছে দুটি কেন্দ্রে। একটি কেন্দ্রে ৯ শতাংশেরও কম ভোট পড়েছে। এমনও কেন্দ্র আছে যেখানে বৈধ ভোটের চেয়ে বাতিল ভোটই বেশি। একটি কেন্দ্রে বিএনপি সমর্থিত মেয়র প্রার্থী এম মনজুর আলম কোনো ভোটই পাননি; একটি কেন্দ্রে পেয়েছেন মাত্র সাত ভোট। ২৪১টি কেন্দ্রে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী আ জ ম নাছিরের চেয়ে বেশি ভোট পেয়েছেন তিনি। হালিশহর মেহের আফজল উচ্চ বিদ্যালয়ের চারটি কেন্দ্রের একটিতে কোনো ভোট পাননি মনজুর আলম। ওই কেন্দ্রে নাছির পেয়েছেন ৭৪৬ ভোট। মনজুর আলম সাত ভোট পান দক্ষিণ পাহাড়তলী অলি আহমদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে। ওই কেন্দ্রে নাছির পেয়েছেন ১৪২৩ ভোট।

No comments:

Post a Comment