কে শনাক্ত বা গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) গত বুধবার এ ঘটনাকে ‘কিছু ছেলেদের দুষ্টামি’ বলে উল্লেখ করেছেন। বর্ষবরণের দিন নারী লাঞ্ছনার ঘটনা তদন্ত করতে গত ১৮ এপ্রিল তিন সদস্যের কমিটি গঠন করে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। কমিটির প্রধান ছিলেন অতিরিক্ত কমিশনার ইব্রাহিম ফাতেমী। কমিটির অন্য দুই সদস্য হলেন যুগ্ম কমিশনার বেলালুর রহমান ও উপকমিশনার জাহাঙ্গীর হোসেন মাতুব্বর। কমিটিকে প্রথমে সাত দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হলেও পরে সময় বাড়ানো হয়। কমিটির সদস্যরা ৭ মে ডিএমপির কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়ার কাছে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন। ওই প্রতিবেদনে ঢাকা মহানগর পুলিশের সহকারী কমিশনার শাহেদুর রহমান, শাহবাগ থানার পরিদর্শক সাঈদুল হক ভূঁইয়া ও উপপরিদর্শক (এসআই) আশরাফের বিরুদ্ধে ‘শাস্তিমূলক’ ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করা হয়। কিন্তু গতকাল পর্যন্ত তাঁদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানা যায়নি। তবে ঘটনার সময় সেখানে দায়িত্বে থাকা পরিদর্শক সাঈদুল হক ভূঁইয়াকে কয়েক দিন আগে তুরাগ থানায় বদলি করা হয়েছে। জানতে চাইলে পরিদর্শক সাঈদুল বলেন, পয়লা বৈশাখে কয়েকজন যুবক যে দুজনকে পুলিশের হাতে দিয়েছিলেন, তাঁদের শাহবাগ থানার উপপরিদর্শক আশরাফ ছেড়ে দিয়েছিলেন। পুলিশের তদন্ত কমিটির সদস্য উপকমিশনার জাহাঙ্গীর হোসেন মাতুব্বর গতকাল প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমাদের কাজ আমরা করেছি। এরপর কমিটির আর কোনো কাজ নেই।’ কমিটির একজন সদস্য জানান, নারী লাঞ্ছনাকারীদের চিহ্নিত করতে ঘটনাস্থলে উপস্থিত কোনো ব্যক্তির কাছে কোনো ছবি অথবা ঘটনার সঙ্গে জড়িত কোনো ব্যক্তির পরিচয় বা কোনো ধরনের তথ্য থাকলে একটি নির্ধারিত মোবাইল ফোন নম্বরে জানাতে অনুরোধ করেছিল পুলিশ। তথ্যদাতার নাম-পরিচয় গোপন রাখার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হলেও তাতে সাড়া পাওয়া যায়নি। ওই নম্বরে আসা ফোনকল থেকে বিভিন্নজনের গালাগালও শুনতে হয়েছে পুলিশকে। লাঞ্ছনাকারীদের শনাক্ত করতে না পারার জন্য ওই এলাকায় দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যদেরও দায়ী করছেন সবাই। অভিযোগ রয়েছে, যদি সে সময় আটক দুজনকে ছেড়ে দেওয়া না হতো, তাহলে অপরাধীদের খুব সহজেই শনাক্ত করা সম্ভব হতো। বর্ষবরণের দিন বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিসংলগ্ন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ফটকে ভিড়ের মধ্যে একদল যুবক নারীদের লাঞ্ছনা করেন। এতে বাধা দিতে গিয়ে আহত হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি লিটন নন্দীসহ কয়েকজন। সে সময় দুজনকে ধরে এসআই আশরাফসহ দুই পুলিশ কর্মকর্তার কাছে দেওয়া হলেও পরে তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ করেন লিটন নন্দী। পরে এসআই আশরাফকে শাহবাগ থানা থেকে প্রত্যাহার করা হয়। নারী লাঞ্ছনার ঘটনায় শাহবাগ থানায় মামলা হলেও এখনো পুলিশ কাউকে শনাক্ত করতে পারেনি। কেউ গ্রেপ্তারও হয়নি। মামলা তদন্তের অগ্রগতি নিয়েও কথা বলতে চান না পুলিশের কেউ।
Headlines from most popular newspapers of Bangladesh. বাংলাদেশে প্রকাশিত প্রধান প্রধান দৈনিক পত্রিকার সংবাদ শিরোনামগুলো এক নজরে দেখে নিন।
Saturday, May 16, 2015
সুপারিশ থাকলেও তিন পুলিশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি:প্রথম অালো
কে শনাক্ত বা গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) গত বুধবার এ ঘটনাকে ‘কিছু ছেলেদের দুষ্টামি’ বলে উল্লেখ করেছেন। বর্ষবরণের দিন নারী লাঞ্ছনার ঘটনা তদন্ত করতে গত ১৮ এপ্রিল তিন সদস্যের কমিটি গঠন করে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। কমিটির প্রধান ছিলেন অতিরিক্ত কমিশনার ইব্রাহিম ফাতেমী। কমিটির অন্য দুই সদস্য হলেন যুগ্ম কমিশনার বেলালুর রহমান ও উপকমিশনার জাহাঙ্গীর হোসেন মাতুব্বর। কমিটিকে প্রথমে সাত দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হলেও পরে সময় বাড়ানো হয়। কমিটির সদস্যরা ৭ মে ডিএমপির কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়ার কাছে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন। ওই প্রতিবেদনে ঢাকা মহানগর পুলিশের সহকারী কমিশনার শাহেদুর রহমান, শাহবাগ থানার পরিদর্শক সাঈদুল হক ভূঁইয়া ও উপপরিদর্শক (এসআই) আশরাফের বিরুদ্ধে ‘শাস্তিমূলক’ ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করা হয়। কিন্তু গতকাল পর্যন্ত তাঁদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানা যায়নি। তবে ঘটনার সময় সেখানে দায়িত্বে থাকা পরিদর্শক সাঈদুল হক ভূঁইয়াকে কয়েক দিন আগে তুরাগ থানায় বদলি করা হয়েছে। জানতে চাইলে পরিদর্শক সাঈদুল বলেন, পয়লা বৈশাখে কয়েকজন যুবক যে দুজনকে পুলিশের হাতে দিয়েছিলেন, তাঁদের শাহবাগ থানার উপপরিদর্শক আশরাফ ছেড়ে দিয়েছিলেন। পুলিশের তদন্ত কমিটির সদস্য উপকমিশনার জাহাঙ্গীর হোসেন মাতুব্বর গতকাল প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমাদের কাজ আমরা করেছি। এরপর কমিটির আর কোনো কাজ নেই।’ কমিটির একজন সদস্য জানান, নারী লাঞ্ছনাকারীদের চিহ্নিত করতে ঘটনাস্থলে উপস্থিত কোনো ব্যক্তির কাছে কোনো ছবি অথবা ঘটনার সঙ্গে জড়িত কোনো ব্যক্তির পরিচয় বা কোনো ধরনের তথ্য থাকলে একটি নির্ধারিত মোবাইল ফোন নম্বরে জানাতে অনুরোধ করেছিল পুলিশ। তথ্যদাতার নাম-পরিচয় গোপন রাখার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হলেও তাতে সাড়া পাওয়া যায়নি। ওই নম্বরে আসা ফোনকল থেকে বিভিন্নজনের গালাগালও শুনতে হয়েছে পুলিশকে। লাঞ্ছনাকারীদের শনাক্ত করতে না পারার জন্য ওই এলাকায় দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যদেরও দায়ী করছেন সবাই। অভিযোগ রয়েছে, যদি সে সময় আটক দুজনকে ছেড়ে দেওয়া না হতো, তাহলে অপরাধীদের খুব সহজেই শনাক্ত করা সম্ভব হতো। বর্ষবরণের দিন বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিসংলগ্ন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ফটকে ভিড়ের মধ্যে একদল যুবক নারীদের লাঞ্ছনা করেন। এতে বাধা দিতে গিয়ে আহত হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি লিটন নন্দীসহ কয়েকজন। সে সময় দুজনকে ধরে এসআই আশরাফসহ দুই পুলিশ কর্মকর্তার কাছে দেওয়া হলেও পরে তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ করেন লিটন নন্দী। পরে এসআই আশরাফকে শাহবাগ থানা থেকে প্রত্যাহার করা হয়। নারী লাঞ্ছনার ঘটনায় শাহবাগ থানায় মামলা হলেও এখনো পুলিশ কাউকে শনাক্ত করতে পারেনি। কেউ গ্রেপ্তারও হয়নি। মামলা তদন্তের অগ্রগতি নিয়েও কথা বলতে চান না পুলিশের কেউ।
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment