Thursday, May 14, 2015

বাস্তবায়ন কঠিন হবে না:প্রথম অালো

মোটের ওপর ভালো সুপারিশই এসেছে এবং এগুলো বাস্তবায়ন করা সরকারের জন্য বড় কোনো কঠিন কাজ হবে না। সরকারের সবচেয়ে বড় সুবিধার দিক হচ্ছে জ্বালানি তেলের দাম কম। আর এ কারণে ভর্তুকির মাত্রাও কম। তবে বেতন বাড়লে সব সময়ই একটা ভয় থাকে যে এই বুঝি মূল্যস্ফীতি বাড়ল। এতেও আমি মনে করি যে ভয়ের কোনো কারণ নেই। কারণ, নতুন কাঠামো কার্যকর করতে যে বাড়তি ব্যয় হবে, সরকারের মোট ব্যয়ের তুলনায় তা খুবই কম। তা ছাড়া বি
শ্ববাজারে সব পণ্যের দামই পড়তির দিকে। সে বিবেচনায়ও সরকার সুবিধাজনক অবস্থায় আছে। টাইম স্কেল-সিলেকশন গ্রেড বাতিলের যে সুপারিশ এসেছে, এতে অসন্তোষ তৈরির শঙ্কা রয়েছে। কমিশন ও সচিব কমিটি—এ ব্যাপারে কারও সুপারিশই আমার কাছে পরিষ্কার নয়। যদি বাদ দিতেই হয়, সরকারের উচিত হবে তাঁদের ইনক্রিমেন্ট বা অন্যভাবে পুষিয়ে দেওয়া। যাতে তাঁরা বঞ্চিত না হন। প্রতিবেশী দেশগুলোর তুলনায় আমাদের সরকারি চাকুরেদের বেতন কম। বেসরকারি খাতের তুলনায় এখন একটু পিছিয়ে থাকলেও, নতুন সুপারিশ কার্যকর হলে একটি সন্তোষজনক ও সম্মানজনক জায়গা তৈরি হবে। এতে বেসরকারি খাত যদি পিছিয়ে পড়ে, উচিত হবে তাদেরও তাল মেলানো। নইলে বেসরকারি খাতে উৎপাদনশীলতা কমে যাওয়ার শঙ্কা থাকবে। এ বি মির্জ্জা মো. আজিজুল ইসলাম: সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা

No comments:

Post a Comment