দীর্ঘ প্রায় ১৭ বছর বন্ধ থাকার পর অবশেষে গতকাল থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়েছে ফরিদপুর-রাজবাড়ী রুটে রেল চলাচল। এ উপলে ফরিদপুরের লক্ষীপুরে ফরিদপুর স্টেশনের প্লাটফর্মজুড়ে আয়োজন করা হয় উদ্বোধন অনুষ্ঠানের। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রবাসীকল্যাণমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন। রেল চলাচল উদ্বোধন করেন রেলপথমন্ত্রী মুজিবুল হক। প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রবাসীকল্যাণমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশার
রফ হোসেন বলেন, আগামীতে ফরিদপুরের কুমার নদ খনন করে নৌপথও চালু করা হবে। ফরিদপুরে একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা বাকি রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, যদি ফরিদপুরে বিশ্ববিদ্যালয় না করা হয় তবে দেশের কোথাও আর বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করতে দেবো না। রেলপথমন্ত্রী মুজিবুল হক বলেন, টুঙ্গিপাড়া-কাশিয়ানী রেলপথের জমি অধিগ্রহণের কাজ চলছে। ফরিদপুর-ভাঙ্গা রেলপথে ২৭ কিলোমিটার পুরনো ও তিন কিলোমিটার নতুন রেলপথসহ কয়েকটি ব্রিজের কাজ বাকি রয়েছে। আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই এ রেলপথ চালু হবে। বক্তব্য শেষে তিনি ফরিদপুর-রাজবাড়ী রুটে রেল চলাচল উদ্বোধন করার ঘোষণা দেন। রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো: আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য দেন সংরতি মহিলা আসনের এমপি কামরুন্নাহার লাভলী, রেলওয়ের মহাপরিচালক মো: তোফাজ্জল হোসেন, রাজবাড়ীর জেলা প্রশাসক মো: রফিকুল ইসলাম, ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক সরদার সরাফত আলী, আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলী পরিষদের সদস্য এস এম নুরুন্নবী, ফরিদপুর সদর উপজেলার চেয়ারম্যান খন্দকার মোহতেশাম হোসেন বাবর, ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিজয় বসাক, আওয়ামী লীগ নেতা মোকাররম মিয়া বাবু, নাজমুল হাসান লেভী খন্দকার প্রমুখ। এ দিকে গতকাল দুপুর থেকে রাজবাড়ী-ফরিদপুর লাইনে এক জোড়া আন্তঃনগর ট্রেন নিয়ে ২৫ কিলোমিটার পুনর্বাসনকৃত লাইনে আনুষ্ঠনিকভাবে ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে।এ উপলে রাজবাড়ী রেল স্টেশনে আনুষ্ঠানিকভাবে ট্রেন চলাচল উদ্বোধন করেন রাজবাড়ী-১ আসনের এমপি কাজী কেরামত আলী। বক্তব্য রাখেন রেলের পশ্চিমাঞ্চলের জেনারেল ম্যানেজার মোশারফ হোসেন, সংরতি আসনের মহিলা এমপি কামরুন নাহার চৌধুরী, জেলা প্রশাসক রফিকুল ইসলাম খান, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান অ্যাভোকেট এম এ খালেক, কে এম শফিকুর রহমান ও প্রকৌশলী আমজাদ হোসেন। জানা গেছে, রাজবাড়ী থেকে ফরিদপুর পর্যন্ত সাতটি রেল স্টেশন নতুন করে মেরামত করা হলেও এ লাইনের নতুন চালু হওয়া ট্রেনটি পাচুরিয়া, আমিরাবাদ ও ফরিদপুরসহ মাত্র তিনটি স্টেশনে স্টপেজ দিচ্ছে। আর এ লাইনের অধিক গুরুত্বপূর্ণ ও প্রসিদ্ধ ব্যবসা কেন্দ্র খানখানাপুর, বসন্তপুর ও দুলদি স্টেশনে এ ট্রেনের কেনো স্টপেজ না থাকায় এসব স্টেশনের যাত্রীদের মধ্যে তীব্র ােভ ও বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। রাজবাড়ী-ফরিদপুর লাইনে অবিলম্বে আরো একটি লোকাল ট্রেন সার্ভিস চালু করার জন্য অনুষ্ঠানের সবাই জোর দাবি জানিয়েছেন।
No comments:
Post a Comment