ারক তার বিপক্ষে। ইতিহাস বিকৃতি এবং রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগে সরকারের প্রভাবশালী ব্যক্তিরা সেক্টর কমান্ডারস ফোরামের চেয়ারম্যান এ কে খন্দকারকে গ্রেফতারেরও দাবি জানিয়েছেন। বুড়ো বয়সে একে খন্দকারের মতিভ্রম হয়েছে মন্তব্য করে দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, দেশের মানুষ জানেন কার নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধ হয়েছে। তাই কোথাকার কোন এ কে খন্দকার কী বলল তাতে কিছু আসে যায় না। অন্য দিকে বই নিষিদ্ধ করে তাকে আইনের আওতায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ। নয়া দিগন্তের সাথে আলাপকালে তারা এসব মন্তব্য করেন। ‘১৯৭১ : ভেতরে বাইরে’ বইয়ের ৩২ পৃষ্ঠায় এ কে খন্দকার লিখেছেন, ঐতিহাসিক ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর ভাষণের শেষ শব্দ ছিল ‘জয় পাকিস্তান’। এ ছাড়া এ কে খন্দকার তার বন্ধু মঈদুল হাসানের বরাত দিয়ে বলেছেন, তাজউদ্দীন আহমদ ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে স্বাধীনতার একটি ঘোষণাপত্র লিখে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে তা পাঠ করতে বললেও তিনি রাজি হননি। উল্টো তিনি বলেন, ‘এটা আমার বিরুদ্ধে একটা দলিল হয়ে থাকবে। এর জন্য পাকিস্তানিরা আমাকে দেশদ্রোহের বিচার করতে পারবে।’ এ কথা শুনে তাজউদ্দীন আহমদ প্তি হয়ে বঙ্গবন্ধুর বাসা থেকে বেরিয়ে যান। এ ছাড়া ‘মুজিব বাহিনী ভারতীয়দের কাছ থেকে সম্মানী পেতো’, ‘মুজিব বাহিনী অস্থায়ী সরকার ও মুক্তিবাহিনীকে অবজ্ঞা করত’ মুক্তিযুদ্ধকালীন এমন আরো কিছু তথ্য তিনি তার বইয়ে উল্লেখ করেছেন। সরকারের একাধিক সূত্র জানায়, মুক্তিযুদ্ধে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের অবদান নিয়ে যখন আওয়ামী লীগ ও বিএনপি জোটে তর্কবিতর্ক চলছে ঠিক সেই মুহূর্তে বইটি প্রকাশ করে এ কে খন্দকার বিএনপির কোর্টেই বলটি তুলে দিলেন বলে মনে করছে ক্ষমতাসীনরা। সম্প্রতি বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান লন্ডনে বসে বঙ্গবন্ধু এবং মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে যেসব মন্তব্য করেছেন বইটিতে তারই মুদ্রণ প্রকাশ করা হয়েছে বলে মনে করছেন তারা। এর মাধ্যমে আওয়ামী লীগকে নতুন করে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে দেয়া হয়েছে বলে মত তাদের। আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা আলাপকালে বলেন, লন্ডনে বসে তারেক রহমানের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতির চেষ্টা, বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদের কন্যা শারমিন আহমদের বইয়ে বঙ্গবন্ধুর অবদানকে খাটো করে দেখানোর চেষ্টা এবং এ কে খন্দকারের সাম্প্রতিক বইয়ের মধ্যে যোগসাজশ থাকতে পারে। তাই এ বিষয়টি কোনোভাবেই হালকা করে দেখার সুযোগ নেই। এ নেতা আরো বলেন, আওয়ামী লীগ যখন তারেক রহমানের বিতর্কিত নানা মন্তব্যের জবাব দিতে গিয়ে কান্ত হয়ে পড়েছে ঠিক সেই সময় এমন একটি বই প্রকাশ করে একে খন্দকার অকৃতজ্ঞের মতো কাজ করেছেন। এখন বিএনপি বা তারেক রহমানের সমালোচনার জবাব না দিয়ে আমাদেরই সদ্যসাবেক মন্ত্রীকে সামাল দিতে হচ্ছে। এটি রীতিমতো বিব্রতকর। বিষয়টি নিয়ে গত বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে পয়েন্ট অব অর্ডারে দাঁড়িয়ে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির সিনিয়র নেতারা যখন তীব্র ভাষায় সমালোচনা করছিলেন তখন সিনিয়ার নেতাদের বেশ চিন্তিত মনে হচ্ছিল। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অন্য এক নেতা বলেন, কে কী বলল তাতে কিছু যায় আসে না। কিন্তু এ কে খন্দকার মুক্তিযুদ্ধের উপঅধিনায়ক ছিলেন। তিনি সেক্টর কমান্ডারস ফোরামের চেয়ারম্যান এবং আওয়ামী লীগের সদ্যসাবেক প্রভাবশালী মন্ত্রী। তাই তিনি যে কথা লিখেছেন তা সাধারণ মানুষের সাথে আওয়ামী লীগের মাঠ নেতাকর্মীদের মনেও দাগ কাটতে পারে। বিষয়টি আওয়ামী লীগের জন্য একটি বিপদের মতো। এ দিকে এ কে খন্দকারের বই ১৯৭১ : ভেতরে বাইরে নিষিদ্ধের জোর দাবি উঠলেও সেই পথে যেতে নারাজ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। তার মতে, কোনো বইয়ের প্রতি ঘৃণা প্রকাশ করে তা বাজেয়াপ্ত না করে অন্য একটি বই লিখে এর প্রতিবাদ বা ঘৃণা প্রকাশ করতে হবে। তাই বই যত বাজেই হোক না কেন, তা বাজেয়াপ্ত করা আমি সমর্থন করি না। দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেন, বুড়ো বয়সে এ কে খন্দকারের মতিভ্রম হয়েছে। বেশি বয়স হলে মানুষের ভীমরতি ধরে, তার সেই ভীমরতি ধরেছে। দেশের মানুষ জানেন কার নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধ হয়েছে। কোথাকার কোন এ কে খন্দকার কী বলল তাতে কিছু আসে যায় না। কিন্তু বিএনপির নিজেদের কথা বলার কোনো ইস্যু না থাকায়, তারা অন্যের ভুল উক্তি নিয়েই লাফালাফি করছেন। সরকারের প্রভাবশালী এ মন্ত্রী আরো বলেন, স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু এই এ কে খন্দকারকে বীর উত্তম উপাধি দিয়ে মর্যাদা দিয়েছিলেন, কিন্তু তিনি খন্দকার মোশতাককে সমর্থন দিয়ে কলঙ্কিত হয়েছিলেন। আবার গত সরকার আমলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাকে মন্ত্রীর মর্যাদা দিয়েছিলেন, কিন্তু এই এ কে খন্দকার অন্যের প্ররোচনায় ভুল তথ্য দিয়ে বই লিখেছেন। আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ এমপি বলেন, স্বাধীনতার ইতিহাসকে বিকৃত করার জন্য, বিভ্রান্ত করার জন্য এ ধরনের পরিকল্পনা অতীতেও করা হয়েছিল। এখনো হচ্ছে। তারই অংশ হিসেবে ১৯৭১: ভেতরে বাইরে বইটি বের করা হয়েছে। তিনি বলেন, বইয়ে এ কে খন্দকার নিজেই লিখেছেন বয়সের কারণে তার চিন্তাশক্তি লোপ পেয়েছে। তার যে চিন্তাশক্তি লোপ পেয়েছে তার লেখনীতে উঠে এসেছে। চিন্তাশক্তি লোপ পাওয়ার কারণেই অপশক্তিরা তাকে দিয়ে বিভ্রান্তিকর কথাবার্তা লিখিয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর সাবেক এ বিশেষ সহকারী আরো বলেন, কার উদ্দেশে, কোন ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে এবং কার প্ররোচনায় মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতি করা হচ্ছে, সেটি দেখার জন্য বই নিষিদ্ধ করে তাকে আইনের আওতায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন। বিশিষ্ট টিভি টকশো ব্যক্তিত্ব, যুবমহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক এমপি অধ্যাপিকা অপু উকিল বলেন, এ কে খন্দকার শুধু আওয়ামী লীগের মন্ত্রীই নন, তিনি বিএনপি এবং এরশাদেরও ঘনিষ্ঠ ছিলেন। আওয়ামী লীগের মন্ত্রী থাকাকালে বিরোধী দলের সদস্যরা সংসদে তাকে ‘বয়স প্রতিবন্ধী’ আখ্যা দেন। তিনি স্মৃতিভ্রম ছিলেন বলে ওনার অনেক কাজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেই করে দিতেন। তাই এ রকম একজন প্রতিবন্ধীর লেখা নিয়ে আলোচনা বা হইচই করার কিছু নেই।
Headlines from most popular newspapers of Bangladesh. বাংলাদেশে প্রকাশিত প্রধান প্রধান দৈনিক পত্রিকার সংবাদ শিরোনামগুলো এক নজরে দেখে নিন।
Monday, September 8, 2014
এ কে খন্দকারের বই নিয়ে বিপাকে আওয়ামী লীগ:নয়াদিগন্ত
ারক তার বিপক্ষে। ইতিহাস বিকৃতি এবং রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগে সরকারের প্রভাবশালী ব্যক্তিরা সেক্টর কমান্ডারস ফোরামের চেয়ারম্যান এ কে খন্দকারকে গ্রেফতারেরও দাবি জানিয়েছেন। বুড়ো বয়সে একে খন্দকারের মতিভ্রম হয়েছে মন্তব্য করে দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, দেশের মানুষ জানেন কার নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধ হয়েছে। তাই কোথাকার কোন এ কে খন্দকার কী বলল তাতে কিছু আসে যায় না। অন্য দিকে বই নিষিদ্ধ করে তাকে আইনের আওতায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ। নয়া দিগন্তের সাথে আলাপকালে তারা এসব মন্তব্য করেন। ‘১৯৭১ : ভেতরে বাইরে’ বইয়ের ৩২ পৃষ্ঠায় এ কে খন্দকার লিখেছেন, ঐতিহাসিক ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর ভাষণের শেষ শব্দ ছিল ‘জয় পাকিস্তান’। এ ছাড়া এ কে খন্দকার তার বন্ধু মঈদুল হাসানের বরাত দিয়ে বলেছেন, তাজউদ্দীন আহমদ ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে স্বাধীনতার একটি ঘোষণাপত্র লিখে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে তা পাঠ করতে বললেও তিনি রাজি হননি। উল্টো তিনি বলেন, ‘এটা আমার বিরুদ্ধে একটা দলিল হয়ে থাকবে। এর জন্য পাকিস্তানিরা আমাকে দেশদ্রোহের বিচার করতে পারবে।’ এ কথা শুনে তাজউদ্দীন আহমদ প্তি হয়ে বঙ্গবন্ধুর বাসা থেকে বেরিয়ে যান। এ ছাড়া ‘মুজিব বাহিনী ভারতীয়দের কাছ থেকে সম্মানী পেতো’, ‘মুজিব বাহিনী অস্থায়ী সরকার ও মুক্তিবাহিনীকে অবজ্ঞা করত’ মুক্তিযুদ্ধকালীন এমন আরো কিছু তথ্য তিনি তার বইয়ে উল্লেখ করেছেন। সরকারের একাধিক সূত্র জানায়, মুক্তিযুদ্ধে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের অবদান নিয়ে যখন আওয়ামী লীগ ও বিএনপি জোটে তর্কবিতর্ক চলছে ঠিক সেই মুহূর্তে বইটি প্রকাশ করে এ কে খন্দকার বিএনপির কোর্টেই বলটি তুলে দিলেন বলে মনে করছে ক্ষমতাসীনরা। সম্প্রতি বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান লন্ডনে বসে বঙ্গবন্ধু এবং মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে যেসব মন্তব্য করেছেন বইটিতে তারই মুদ্রণ প্রকাশ করা হয়েছে বলে মনে করছেন তারা। এর মাধ্যমে আওয়ামী লীগকে নতুন করে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে দেয়া হয়েছে বলে মত তাদের। আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা আলাপকালে বলেন, লন্ডনে বসে তারেক রহমানের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতির চেষ্টা, বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদের কন্যা শারমিন আহমদের বইয়ে বঙ্গবন্ধুর অবদানকে খাটো করে দেখানোর চেষ্টা এবং এ কে খন্দকারের সাম্প্রতিক বইয়ের মধ্যে যোগসাজশ থাকতে পারে। তাই এ বিষয়টি কোনোভাবেই হালকা করে দেখার সুযোগ নেই। এ নেতা আরো বলেন, আওয়ামী লীগ যখন তারেক রহমানের বিতর্কিত নানা মন্তব্যের জবাব দিতে গিয়ে কান্ত হয়ে পড়েছে ঠিক সেই সময় এমন একটি বই প্রকাশ করে একে খন্দকার অকৃতজ্ঞের মতো কাজ করেছেন। এখন বিএনপি বা তারেক রহমানের সমালোচনার জবাব না দিয়ে আমাদেরই সদ্যসাবেক মন্ত্রীকে সামাল দিতে হচ্ছে। এটি রীতিমতো বিব্রতকর। বিষয়টি নিয়ে গত বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে পয়েন্ট অব অর্ডারে দাঁড়িয়ে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির সিনিয়র নেতারা যখন তীব্র ভাষায় সমালোচনা করছিলেন তখন সিনিয়ার নেতাদের বেশ চিন্তিত মনে হচ্ছিল। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অন্য এক নেতা বলেন, কে কী বলল তাতে কিছু যায় আসে না। কিন্তু এ কে খন্দকার মুক্তিযুদ্ধের উপঅধিনায়ক ছিলেন। তিনি সেক্টর কমান্ডারস ফোরামের চেয়ারম্যান এবং আওয়ামী লীগের সদ্যসাবেক প্রভাবশালী মন্ত্রী। তাই তিনি যে কথা লিখেছেন তা সাধারণ মানুষের সাথে আওয়ামী লীগের মাঠ নেতাকর্মীদের মনেও দাগ কাটতে পারে। বিষয়টি আওয়ামী লীগের জন্য একটি বিপদের মতো। এ দিকে এ কে খন্দকারের বই ১৯৭১ : ভেতরে বাইরে নিষিদ্ধের জোর দাবি উঠলেও সেই পথে যেতে নারাজ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। তার মতে, কোনো বইয়ের প্রতি ঘৃণা প্রকাশ করে তা বাজেয়াপ্ত না করে অন্য একটি বই লিখে এর প্রতিবাদ বা ঘৃণা প্রকাশ করতে হবে। তাই বই যত বাজেই হোক না কেন, তা বাজেয়াপ্ত করা আমি সমর্থন করি না। দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেন, বুড়ো বয়সে এ কে খন্দকারের মতিভ্রম হয়েছে। বেশি বয়স হলে মানুষের ভীমরতি ধরে, তার সেই ভীমরতি ধরেছে। দেশের মানুষ জানেন কার নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধ হয়েছে। কোথাকার কোন এ কে খন্দকার কী বলল তাতে কিছু আসে যায় না। কিন্তু বিএনপির নিজেদের কথা বলার কোনো ইস্যু না থাকায়, তারা অন্যের ভুল উক্তি নিয়েই লাফালাফি করছেন। সরকারের প্রভাবশালী এ মন্ত্রী আরো বলেন, স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু এই এ কে খন্দকারকে বীর উত্তম উপাধি দিয়ে মর্যাদা দিয়েছিলেন, কিন্তু তিনি খন্দকার মোশতাককে সমর্থন দিয়ে কলঙ্কিত হয়েছিলেন। আবার গত সরকার আমলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাকে মন্ত্রীর মর্যাদা দিয়েছিলেন, কিন্তু এই এ কে খন্দকার অন্যের প্ররোচনায় ভুল তথ্য দিয়ে বই লিখেছেন। আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ এমপি বলেন, স্বাধীনতার ইতিহাসকে বিকৃত করার জন্য, বিভ্রান্ত করার জন্য এ ধরনের পরিকল্পনা অতীতেও করা হয়েছিল। এখনো হচ্ছে। তারই অংশ হিসেবে ১৯৭১: ভেতরে বাইরে বইটি বের করা হয়েছে। তিনি বলেন, বইয়ে এ কে খন্দকার নিজেই লিখেছেন বয়সের কারণে তার চিন্তাশক্তি লোপ পেয়েছে। তার যে চিন্তাশক্তি লোপ পেয়েছে তার লেখনীতে উঠে এসেছে। চিন্তাশক্তি লোপ পাওয়ার কারণেই অপশক্তিরা তাকে দিয়ে বিভ্রান্তিকর কথাবার্তা লিখিয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর সাবেক এ বিশেষ সহকারী আরো বলেন, কার উদ্দেশে, কোন ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে এবং কার প্ররোচনায় মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতি করা হচ্ছে, সেটি দেখার জন্য বই নিষিদ্ধ করে তাকে আইনের আওতায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন। বিশিষ্ট টিভি টকশো ব্যক্তিত্ব, যুবমহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক এমপি অধ্যাপিকা অপু উকিল বলেন, এ কে খন্দকার শুধু আওয়ামী লীগের মন্ত্রীই নন, তিনি বিএনপি এবং এরশাদেরও ঘনিষ্ঠ ছিলেন। আওয়ামী লীগের মন্ত্রী থাকাকালে বিরোধী দলের সদস্যরা সংসদে তাকে ‘বয়স প্রতিবন্ধী’ আখ্যা দেন। তিনি স্মৃতিভ্রম ছিলেন বলে ওনার অনেক কাজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেই করে দিতেন। তাই এ রকম একজন প্রতিবন্ধীর লেখা নিয়ে আলোচনা বা হইচই করার কিছু নেই।
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment