্ব পর্যায়ের হতাশার কারণে এখানে দলটিতে স্থবিরতার সৃষ্টি হয়েছে। নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদউদ্দিন আহমদ দলে এই হতাশা ও স্থবিরতার কথা স্বীকার করেন। তবে তিনি দাবি করেন, হতাশার কারণ কেবল সিটি নির্বাচনের পরাজয় নয়, রাজনৈতিক কর্মসূচির নামে জামায়াত-শিবিরের নৈরাজ্যকর পরিস্থিতিও দায়ী। আসাদউদ্দিন বলেন, দলের স্থবিরতা কাটাতে ইতিমধ্যে সিটি করপোরেশনের ২৭টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১৯টিতে দলীয় সম্মেলন করা হয়েছে। বাকি আট ওয়ার্ডের সম্মেলনও চলতি মাসেই করা হবে। বদরউদ্দিন আহমদ কামরান যুক্তরাজ্যে অবস্থান করায় এ ব্যাপারে তাঁর বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তিনি দুই মাস ধরে যুক্তরাজ্যে আছেন। সিলেট সিটি করপোরেশনে উন্নীত হওয়ার পর আওয়ামী লীগের শহর কমিটিকে মহানগর কমিটিতে রূপ দিতে ২০০৫ সালের ৩ অক্টোবর দলের সম্মেলন হয়। সম্মেলনে কামরান সভাপতি ও মিসবাহউদ্দিন সিরাজ সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। কিন্তু এরপর পাঁচ বছরেও পূর্ণাঙ্গ কমিটি আর হয়নি। ২০১০ সালে মিসবাহউদ্দিন কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মনোনীত হন। পরের বছর ২০১১ সালের নভেম্বরে কামরানকে সভাপতি ও আসাদউদ্দিন আহমদকে সাধারণ সম্পাদক করে ৫১ সদস্যবিশিষ্ট নতুন নগর কমিটি ঘোষণা করা হয় কেন্দ্র থেকে। দলের দায়িত্বশীল একাধিক নেতা জানান, নতুন এই কমিটির প্রথম চ্যালেঞ্জ ছিল গত বছরের ১৫ জুন অনুষ্ঠিত সিটি করপোরেশন নির্বাচন। মেয়র পদে নগর সভাপতি কামরানের পরাজয়ের পর দলে তাঁর অনুসারী নেতা-কর্মীরা বেশ হতাশায় পড়েন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক নগর কমিটির একজন নেতা বলেন, হতাশা কাটাতে দলীয়ভাবে কোনো উদ্যোগ না নেওয়ায় সাংগঠনিক স্থবিরতা প্রকট হয়ে দেখা দিয়েছে। সিলেটে আওয়ামী লীগের কোনো দলীয় কার্যালয় নেই। নগরের চালিবন্দর এলাকায় ইব্রাহিম স্মৃতি সংসদকে (২০০৪ সালে গ্রেনেড হামলায় নিহত আওয়ামী লীগের নেতা) সিলেট জেলা ও নগর আওয়ামী লীগের কার্যালয় হিসেবে ব্যবহার করা হয়। দিবসকেন্দ্রিক দলীয় কর্মসূচিগুলো এখান থেকে পালন করা হয়। ইব্রাহিম স্মৃতি সংসদে কথা হয় নগর আওয়ামী লীগের পদধারী একজন তরুণ নেতার সঙ্গে। তিনি কিছুটা দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, ক্ষমতায় থেকেও এখন দল অগোছালো অবস্থার মধ্যে রয়েছে। অথচ নগর কমিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক পদে আছেন। এ বিবেচনায় নগর কমিটি সবচেয়ে শক্তিশালী থাকার কথা। এই বিষয়ে জানতে চাইলে সিলেট বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মিসবাহউদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, কেন্দ্রের বিবেচনায় সিলেট নগরের দলে সাংগঠনিকভাবে কিছুটা স্থবিরতা থাকলেও এটা কাটিয়ে উঠতে তিনি মহানগরে সাংগঠনিকভাবে কাজ করছেন।
Headlines from most popular newspapers of Bangladesh. বাংলাদেশে প্রকাশিত প্রধান প্রধান দৈনিক পত্রিকার সংবাদ শিরোনামগুলো এক নজরে দেখে নিন।
Monday, September 8, 2014
কামরানের পরাজয়ে স্থবির আ.লীগ:প্রথম অালো
্ব পর্যায়ের হতাশার কারণে এখানে দলটিতে স্থবিরতার সৃষ্টি হয়েছে। নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদউদ্দিন আহমদ দলে এই হতাশা ও স্থবিরতার কথা স্বীকার করেন। তবে তিনি দাবি করেন, হতাশার কারণ কেবল সিটি নির্বাচনের পরাজয় নয়, রাজনৈতিক কর্মসূচির নামে জামায়াত-শিবিরের নৈরাজ্যকর পরিস্থিতিও দায়ী। আসাদউদ্দিন বলেন, দলের স্থবিরতা কাটাতে ইতিমধ্যে সিটি করপোরেশনের ২৭টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১৯টিতে দলীয় সম্মেলন করা হয়েছে। বাকি আট ওয়ার্ডের সম্মেলনও চলতি মাসেই করা হবে। বদরউদ্দিন আহমদ কামরান যুক্তরাজ্যে অবস্থান করায় এ ব্যাপারে তাঁর বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তিনি দুই মাস ধরে যুক্তরাজ্যে আছেন। সিলেট সিটি করপোরেশনে উন্নীত হওয়ার পর আওয়ামী লীগের শহর কমিটিকে মহানগর কমিটিতে রূপ দিতে ২০০৫ সালের ৩ অক্টোবর দলের সম্মেলন হয়। সম্মেলনে কামরান সভাপতি ও মিসবাহউদ্দিন সিরাজ সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। কিন্তু এরপর পাঁচ বছরেও পূর্ণাঙ্গ কমিটি আর হয়নি। ২০১০ সালে মিসবাহউদ্দিন কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মনোনীত হন। পরের বছর ২০১১ সালের নভেম্বরে কামরানকে সভাপতি ও আসাদউদ্দিন আহমদকে সাধারণ সম্পাদক করে ৫১ সদস্যবিশিষ্ট নতুন নগর কমিটি ঘোষণা করা হয় কেন্দ্র থেকে। দলের দায়িত্বশীল একাধিক নেতা জানান, নতুন এই কমিটির প্রথম চ্যালেঞ্জ ছিল গত বছরের ১৫ জুন অনুষ্ঠিত সিটি করপোরেশন নির্বাচন। মেয়র পদে নগর সভাপতি কামরানের পরাজয়ের পর দলে তাঁর অনুসারী নেতা-কর্মীরা বেশ হতাশায় পড়েন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক নগর কমিটির একজন নেতা বলেন, হতাশা কাটাতে দলীয়ভাবে কোনো উদ্যোগ না নেওয়ায় সাংগঠনিক স্থবিরতা প্রকট হয়ে দেখা দিয়েছে। সিলেটে আওয়ামী লীগের কোনো দলীয় কার্যালয় নেই। নগরের চালিবন্দর এলাকায় ইব্রাহিম স্মৃতি সংসদকে (২০০৪ সালে গ্রেনেড হামলায় নিহত আওয়ামী লীগের নেতা) সিলেট জেলা ও নগর আওয়ামী লীগের কার্যালয় হিসেবে ব্যবহার করা হয়। দিবসকেন্দ্রিক দলীয় কর্মসূচিগুলো এখান থেকে পালন করা হয়। ইব্রাহিম স্মৃতি সংসদে কথা হয় নগর আওয়ামী লীগের পদধারী একজন তরুণ নেতার সঙ্গে। তিনি কিছুটা দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, ক্ষমতায় থেকেও এখন দল অগোছালো অবস্থার মধ্যে রয়েছে। অথচ নগর কমিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক পদে আছেন। এ বিবেচনায় নগর কমিটি সবচেয়ে শক্তিশালী থাকার কথা। এই বিষয়ে জানতে চাইলে সিলেট বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মিসবাহউদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, কেন্দ্রের বিবেচনায় সিলেট নগরের দলে সাংগঠনিকভাবে কিছুটা স্থবিরতা থাকলেও এটা কাটিয়ে উঠতে তিনি মহানগরে সাংগঠনিকভাবে কাজ করছেন।
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment