Tuesday, October 21, 2014

কেরানীগঞ্জে মাদরাসা ছাত্রকে গলা কেটে হত্যা : আটক ৯:নয়াদিগন্ত

ঢাকার কেরানীগঞ্জে এক মাদরাসাছাত্রকে গলা কেটে নৃশংসভাবে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। নিহত ছাত্রের নাম মো: আবু রায়হান (১২)। ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল ভোরে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের পূর্ব আগানগর এলাকায় জেলা পরিষদ মার্কেটের চতুর্থ তলায় তাহফিজুল কুরআন নূরানী হাফেজি মাদরাসার রান্নাঘরে। পুলিশ সকালে ঘটনাস্থল থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য স্যার সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে। এই ঘটনায় জিজ
্ঞাসাবাদের জন্য মাদরাসার শিক্ষক মাওলানা আবিদুর রহমান, দারোয়ান মো: কাউছার ও মো: আব্দুল মজিদ এবং মাদরাসার বাবুর্চি মো: শাহ আলম ওরফে সালাউদ্দিনসহ নয়জনকে আটক করা হয়েছে। তাহফিজুল কুরআন নূরানী হাফেজি মাদরাসাটিতে বর্তমানে ১৫০ ছাত্র রয়েছে। তাদের মধ্যে ১৩০ জন আবাসিক ছাত্র এবং বাকি ২০ জন তাদের নিজ বাসা থেকে মাদরাসায় এসে লেখাপড়া করে। গতকাল ভোরে নিহত আবু রায়হান অজুখানায় অজু করতে যায়। এ সময় অজুখানার পাশেই অবস্থিত রান্নাঘরে থাকা দুর্বৃত্তরা আবু রায়হানকে রান্নাঘরের ধারালো বঁটি দিয়ে গলা কেটে নৃশংসভাবে হত্যা করে। সকালে খবর পেয়ে থানা পুলিশ আবু রায়হানের লাশ উদ্ধার করে। নিহত আবু রায়হান মাদরাসায় হেফজখানার ছাত্র। তার বড় ভাই মো: রেজোয়ান একই মাদরাসায় একই শ্রেণীতে পড়ে। নিহত আবু রায়হানের বাবার নাম মো: মুরাদ হোসেন। গ্রামের বাড়ি কুমিল্লা জেলার মেঘনা থানার রামপুর গ্রামে। নিহত আবু রায়হানের বড় ভাই রেজোয়ান বলেন, আমরা দুই ভাই একসাথেই মাদরাসায় থেকে লেখাপড়া করতাম। রাতে একসাথেই ঘুমাই। রাতে ছোট ভাই অজুু করার জন্য অজুখানায় যায়। তারপর কী ঘটেছে বলতে পারব না। ফজরের নামাজের সময় অন্য ছাত্রদের মাধ্যমে আমি ঘটনা শুনে রান্না ঘরে গিয়ে ভাইয়ের গলাকাটা লাশ পড়ে থাকতে দেখি। মাদরাসার শিক্ষক মাওলানা আবিদুর রহমান বলেন, ফজরের নামাজের সময় মাদরাসার ছাত্ররা রান্নাঘরের ভেতর আবু রায়হানের গলাকাটা লাশ পড়ে থাকতে দেখে আমাকে খবর দেয়। তবে কারা ও কেন আবু রায়হানকে হত্যা করেছে তা কিছুই বলতে পারব না। কেরানীগঞ্জ ক্ষুদ্র গার্মেন্ট দোকান মালিক সমবায় সমিতির সভাপতি হাজী আব্দুল আজিজ বলেন, মার্কেট এলাকায় মাদরাসাটি বন্ধ করে অন্যত্র সরিয়ে নেয়ার জন্য মাদরাসা কর্তৃপক্ষকে বলা হয়েছে। দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মো: জামাল উদ্দিন মীর বলেন, যেহেতু মাদরাসাটিতে দুইজন নিরাপত্তা কর্মী রয়েছে এবং রাতে মাদরাসাটির গেট তালাবদ্ধ ছিল। তাই বাইরের কোনো লোক এই হত্যাকাণ্ড ঘটাতে পারবে না। মাদরাসার ভেতরের কোনো লোক এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকতে পারে।

No comments:

Post a Comment