বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার গুলশান কার্যালয়ের সামনে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে। গতকাল রাতে ছাত্রদলের নতুন কমিটির নেতৃবৃন্দ খালেদা জিয়াকে শুভেচ্ছা জানাতে গেলে বাইরে এ বিস্ফোরণ ঘটে। তবে এতে কেউ হতাহত হয়নি। তবে বিষয়টি অস্বীকার করেছে পুলিশ। ঘটনার সময় খালেদা জিয়া তার কার্যালয়েই অবস্থান করছিলেন। এ ছাড়া দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ সিনিয়র নেতারাও সেখানে অবস্থান করছিলেন। সূত্র জ
ানায়, রাত ৮টা থেকে ছাত্রদলের শতাধিক নেতাকর্মী চেয়ারপারসনের গুলশানের কার্যালয়ের সামনে জড়ো হন। তাদের অনেকেই নবগঠিত ছাত্রদলের কমিটিকে শুভেচ্ছা জানাতে সেখানে যান। অনেকে আবার পদ না পেয়ে বিােভ করতে নিজের অনুসারীদের নিয়ে আসেন। তাদের মধ্যে ছাত্রদলের সভাপতি রাজিব আহসান ও সাধারণ সম্পাদক আকরামুল হাসানের সমর্থকেরাও রয়েছেন। রাত সাড়ে ৮টার দিকে পদবঞ্চিত নেতাকর্মী ও তাদের সমর্থকেরা ছাত্রদলের নবগঠিত কমিটি মানি না, টুকু-এ্যানীর পকেট কমিটি মানি না বলে সোগান দিয়ে বিােভ প্রদর্শন শুরু করেন। অপর দিকে নতুন কমিটিকে স্বাগত জানিয়েও মিছিল করছেন পদপ্রাপ্ত নেতাকর্মী ও তাদের সমর্থকেরা। এ সময় ছাত্রদলের সভাপতি রাজিব আহসান ও সাধারণ সম্পাদক আকরামুল হাসান বিএনপি চেয়ারপারসনকে শুভেচ্ছা জানানোর জন্য গুলশান কার্যালয়ে অবস্থান করছিলেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুই গ্রুপের মিছিল চলাকালে উত্তর পাশের একটি গলি থেকে ১০-১২ জনের একটি মিছিল বেরিয়ে আসে। তারা দলীয় কার্যালয়ের সামনে গিয়ে বিােভ করে পরপর পাঁচটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে সটকে পড়ে। এ ব্যাপারে নতুন কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান বলেন, পদবঞ্চিত গুটিকয়েক লোক ম্যাডামের অফিসের সামনে বিােভ করে। এ সময় সাবেক কমিটির প্রথম যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল হক নাসিরের বন্ধু দুলালের গাড়ি থেকে পাঁচটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। বিােভে নাসির ছাড়াও বর্তমান কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ইসহাক সরকারের সমর্থকেরাও ছিল। তাদের ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা ধাওয়া করলে পালিয়ে যায়। তবে ঘটনার পর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাংবাদিকদের জানান, এটা সরকারের এজেন্টদের কাজ যারা অতীতেও দল ভাঙার চেষ্টা করেছিল। তিনি আরো বলেন, নয়াপল্টন ও গুলশানের ঘটনা একই সূত্রে গাঁথা। দলের মধ্যে বিভ্রান্তি ছড়াতে পরিকল্পিতভাবে এ রকম কাজ করা হচ্ছে। এ ব্যাপারে গুলশান থানার এসআই শাহনুর জানান, ককটেল বিস্ফোরণের মতো কোনো ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। আমরা ওই এলাকায়ই টহল দিচ্ছিলাম। কোনো ককটেল বিস্ফোরণ ঘটেনি।
No comments:
Post a Comment