চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বরাক ওবামা গ্রিন হাউজ গ্যাস নিঃসরণ হ্রাসের নতুন ল্যমাত্রা নির্ধারণ করেছেন। গতকাল বুধবার বেইজিংয়ে দুই নেতার মধ্যে এক দ্বিপীয় বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে সমঝোতা হয়। এই সমঝোতাকে ঐতিহাসিক বলে বর্ণনা করেছেন প্রেসিডেন্ট ওবামা। বৈঠকে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের গ্রিন হাউজ গ্যাস নিঃসরণের মাত্রা ২০২৫ সালের মধ্যে ২০০৫ সালের তুলনায় ২৬ থেকে ২৮ শতাংশ হ্রাস করার প্রতিশ্রুত
ি দিয়েছেন। চীন এ ধরনের কোনো নির্দিষ্ট ল্যমাত্রা নির্ধারণ না করলেও ২০৩০ সালের মধ্যে নির্গমণ সর্বোচ্চ পর্যায়ে যাবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। অর্থাৎ এরপর আর গ্যাস নিঃসরণ বাড়াবে না চীন। গতকাল বুধবার বেইজিংয়ে চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা এক যৌথ ঘোষণায় এসব কথা বলেন। এই প্রথমবারের মতো বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় গ্রিন হাউজ গ্যাস নিঃসরণকারী দেশ চীন সর্বোচ্চ নিঃসরণের একটি আনুমানিক তারিখ নির্ধারণ করল। গ্রিন হাউজ গ্যাস নির্গমনে চীনের পরেই যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান। এই দুই দেশ মিলিতভাবে বিশ্বের ৪৫ শতাংশ কার্বন নিঃসরণ করে। অ্যাপেক সম্মেলন উপলে চীনের রাজধানীতে এক রাষ্ট্রীয় সফরে এসে দ্বিপীয় বৈঠকে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন দুই প্রেসিডেন্ট। এই বৈঠক থেকে গ্রিন হাউজ গ্যাস নিঃসরণ হ্রাসের প্রতিশ্রুতি আসাটা অপ্রত্যাশিত ছিল। তবে ২০২০ সালের পর গ্রিন হাউজ গ্যাস নিঃসরণ হ্রাস করার বিষয়ে আগামী বছর প্যারিসে একটি আন্তর্জাতিক চুক্তি হওয়ার কথা। ওই চুক্তিকে সামনে রেখেই দুই নেতা এ বিষয়ে আগাম প্রতিশ্রুতি দিয়ে রাখলেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ বিষয়ে শি বলেন, ‘প্যারিসে জলবায়ু পরিবর্তনের ওপর আন্তর্জাতিক বৈঠকে একটি চুক্তিতে উপনীত হওয়া নিশ্চিত করতে আমরা একমত হয়েছি।’ মার্কিন প্রশাসনের সিনিয়র কর্মকর্তারা বলেন, কার্বন ডাইঅক্সাইড নিঃসরণকারী বিশ্বের দুই প্রধান দেশের মধ্যে কয়েক মাসের সংলাপের ফল এই সমঝোতা। এতে অন্যান্য দেশও প্রতিশ্রুতি দিতে উৎসাহিত হবে এবং ২০১০ সাল থেকে কার্যকর হওয়ার নতুন বিশ্ব চুক্তির আলোচনায় গতি আসবে।
No comments:
Post a Comment