
েকে শিকারপুর যাওয়ার পথে সুপার হাইওয়ের কাথোর লিংক রোডে চলন্ত ট্যাংকারের সাথে এ সংঘর্ষ হয়। মধ্যরাতের একটু পরেই এ সংঘর্ষ হয়েছে এবং ট্যাংকারটি ভুল দিক থেকে ছুটে এসে প্রায় যাত্রীবাহী বাসটিকে ধাক্কা দেয়। বাসটিতে এ সময়ে ৬০ জনের বেশি যাত্রী ছিল। সংঘর্ষের পরই বাসে আগুন ধরে যায়। বাসটির দরজায় তালা লাগানো ছিল এবং ছাদে বসা প্রায় ছয় যাত্রী লাফিয়ে প্রাণ বাঁচাতে পারেন। অবশ্য বাসচালক, হেলপার এবং ট্রাকচালক তাদের প্রাণ বাঁচাতে পেরেছে। দমকল বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নেভানোর আগেই বাস ও ট্যাংকারটি পুরোপুরি পুড়ে যায়। যাত্রীদের বেশির ভাগই মারাত্মকভাবে অগ্নিদগ্ধ হয়েছে এবং ডিএনএ পরীা ছাড়া তাদের পরিচয় উদ্ধারের কোনো উপায়ই আর নেই বলে পুলিশ জানিয়েছে। তিন মাসের মধ্যে পাকিস্তানের সিন্ধু প্রদেশে এ নিয়ে দ্বিতীয় মারাত্মক সড়ক দুর্ঘটনা ঘটল। করাচির জিন্নাহ হাসপাতালের চিকিৎসক সামি জামালি বলেছেন, আমরা ৬২টি লাশ গ্রহণ করেছি। তাদের দেহ পুরোপুরি পুড়ে গেছে। নিহতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলেও জানিয়েছেন তিনি। গভীর রাতে সংঘর্ষের পর বাসটির ভেতরে থাকা যাত্রীরা আটকে পড়ায় হতাহতের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। ধারণা করা হচ্ছে, খারাপ রাস্তা, অতিরিক্ত যাত্রী ও বেপরোয়া গাড়ি চালানোর ফলে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। দেশটিতে প্রায়ই সড়ক দুর্ঘটনার ঘটনা ঘটে থাকে। পাকিস্তান পরিসংখ্যান ব্যুরোর দেয়া তথ্যমতে, দেশটিতে ২০১১ সাল থেকে প্রতি বছর গড়ে ৯ হাজার সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে থাকে। এ দুর্ঘটনাগুলোয় প্রতি বছর গড়ে অন্তত চার হাজার ৫০০ জন নিহত হয়। গত বছরের নভেম্বরেও করাচিতে এক সড়ক দুর্ঘটনায় ৫৮ জন নিহত হয়।
No comments:
Post a Comment