তুরস্কের প্রধানমন্ত্রী রজব তাইয়েব এরদোগান বলেছেন, গাজায় বিমান হামলা চালানোর মাধ্যমে ইসরাইল ‘সুপরিকল্পিতভাবে গণহত্যা সংঘটিত করার চেষ্টা করছে। বৃহস্পতিবার ইস্তাম্বুলে ইসলামি বিশেষজ্ঞদের সম্মানে আয়োজিত ইফতার মাহফিলে এক বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন। তিনি গাজার নিরপরাধ মানুষের ওপর ইসরাইলের বিমান হামলার তীব্র্র নিন্দা জানান। তুর্কি প্রধানমন্ত্রী এ সুপরিকল্পিত গণহত্যার মুখে হাত গুটিয়ে বসে থাকার জন্য জাতিসঙ্ঘ
ও মুসলিম দেশগুলোর তীব্র সমালোচনা করেছেন। এরদোগান বলেন, ‘এ ধরনের পরিস্থিতির সাথে আমরা এই প্রথমবারের মতো দেখছি তা নয়; ১৯৪৮ (সালে ইসরাইল সৃষ্টির) পর থেকে আমরা প্রতি মাসে প্রতিদিনই এ ধরনের গণহত্যার ঘটনা ঘটতে দেখে আসছি। সর্বোপরি প্রতি রমজানেই আমরা সুপরিকল্পিত গণহত্যার ঘটনা প্রত্যক্ষ করছি।’ তিনি আরো বলেন, ‘পশ্চিমা জগৎ যেমন নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছে তেমনি ইসলামি বিশ্বও চুপচাপ বসে রয়েছে। কারণ যারা জীবন দিচ্ছে তারা ফিলিস্তিনি, আপনাদের কানে তাদের কথা পৌঁছে না।’ জাতিসঙ্ঘের তীব্র সমালোচনা করে তুর্কি প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ সংস্থা কোনোই কাজে আসে না এবং এরা একটি গোপন এজেন্ডা বাস্তবায়নে কাজ করছে। তিনি বলেন, ‘জাতিসঙ্ঘ কী করছে? কেন একে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল? তারা কেবল তাদের গোপন এজেন্ডাগুলো বাস্তবায়নেই কাজ করে যাচ্ছে।’ ফিলিস্তিনিদের দুর্দশার ব্যাপারে উদাসিন ভূমিকা পালনের জন্য এরদোগান ইসলামি দেশগুলোরও দোষারোপ করেন। তিনি বলেন, ‘আমি ইসলামি বিশ্বের কাছে জানতে চাই, এ ঘটনা কি আপনাদের অন্তরকে ক্ষতবিক্ষত করে না? পশ্চিমারা কি করল বা না করল তা দেখার দরকার নেই। আপনার পরিবার যদি আপনাকে কাছে টেনে না নিই তা হলে অন্যরা নেবে কেন? তুর্কি প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, কোনো কোনো মুসলিম দেশ ফিলিস্তিনে যা ঘটছে তা থেকে ‘খুশি’ হচ্ছে। তিনি এ ব্যাপারে দেশগুলোর নাম বা বিস্তারিত কিছু বলেননি। ফিলিস্তিনে যা ঘটছে তা কোনো গোষ্ঠীগত সংঘাতÑ শিয়া-সুন্নি সংঘর্ষ নয়, দুর্ভাগ্যবশত এর অর্থ হচ্ছে যে, এ ঘটনা মুসলিম বিশ্বের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পারছে না। এরদোগান বলেন, জাতিসঙ্ঘ ‘শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য গঠিত হয়নি’। কারণ নিরাপত্তা পরিষদের পাঁচ স্থায়ী সদস্যের মধ্যে কোনো মুসলমান দেশকে রাখা হয়নি।
No comments:
Post a Comment