Thursday, July 24, 2014

৪ আসামির রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের করা লিভ টু আপিল মঞ্জুর:নয়াদিগন্ত

সৌদি দূতাবাসের কর্মকর্তা খালাফ আল আলি হত্যা মামলায় এক আসামির খালাস ও তিনজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশের হাইকোর্টের রায় বাতিল চেয়ে রাষ্ট্রপরে করা লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) মঞ্জুর করেছেন আপিল বিভাগ। গতকাল বুধবার প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে রাষ্ট্রপে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। তার সাথে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মুরাদ রেজা ও সহকারী অ্যাটর্নি
জেনারেল বশির আহমেদ। খালাফকে হত্যার দায়ে ২০১২ সালের ৩০ ডিসেম্বর এক রায়ে পাঁচজনকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-৪। তবে মৃত্যুদণ্ডের রায়ের বিরুদ্ধে আসামিদের আপিল ও ডেথ রেফারেন্সের ওপর (মৃত্যুদণ্ডাদেশ অনুমোদন) শুনানি শেষে গত ১৮ নভেম্বর হাইকোর্টের দেয়া রায়ে মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত পাঁচ আসামির মধ্যে পলাতক সেলিম চৌধুরীকে খালাস এবং আল আমীন, আকবর আলী ও রফিকুল ইসলামকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দেয়া হয়; আর সাইফুল ইসলামের মৃত্যুদণ্ডাদেশ বহাল রাখা হয়। সেলিম চৌধুরীর খালাস এবং আল আমীন, আকবর আলী ও রফিকুল ইসলামের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ অপর্যাপ্ত উল্লেখ করে আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তি চেয়ে লিভ টু আপিল দায়ের করে রাষ্ট্রপ। গতকাল আদালত রাষ্ট্রপরে করা লিভ টু আপিলগুলো মঞ্জুর করেন। পরে সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল বশির আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, এক আসামিকে খালাস ও তিন আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপ তিনটি লিভ টু আপিল করেছিল। আদালত রাষ্ট্রপরে লিভ টু আপিলগুলো মঞ্জুর করেছেন। এখন নিয়মিত আপিলের সাথে এর শুনানি হবে। ২০১২ সালের ৫ মার্চ রাত ১টায় গুলশানের কূটনৈতিক এলাকার ১২০ নম্বর সড়কের ১৯/বি নম্বর বাসার অদূরে গুলিবিদ্ধ হন খালাফ আল আলি। ৬ মার্চ ভোরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সৌদি দূতাবাসের ওই কর্মকর্তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় ৭ মার্চ গুলশান থানার এসআই মোশারফ হোসেন মামলা করেন। ওই বছরের ২৪ সেপ্টেম্বর ডিবি পুলিশ আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেন।

No comments:

Post a Comment