Sunday, July 20, 2014

দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে ভুল পথে সরকার:যুগান্তর

মুক্তবাজার অর্থনীতিতে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের নামে ভুল পথে হাঁটছে সরকার। মূলত জনগণের ক্রয়ক্ষমতা বাড়াতে পারলে সেই অর্থে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের প্রয়োজন হয় না। আর ক্রয়ক্ষমতা বাড়াতে হলে মানুষের আয় বাড়ানোর কোনো বিকল্প নেই। এজন্য ব্যাপকভিত্তিক বিনিয়োগের পরিবেশ সৃষ্টির মাধ্যমে কর্মসংস্থান বাড়াতে সরকারকে দৃশ্যমান উদ্যোগ নিতে হবে। তবে এ ক্ষেত্রে সরকার জনগণকে সেবা দিতে চাইলে বিভিন্ন পর্যায়ে চাঁদাবাজি বন্ধ
করাসহ সরবরাহ লাইন স্বাভাবিক রাখতে উদ্যোগ নিতে পারে। নানারকম ভুর্তকি সুবিধা দিতে পারে আমদানি ও উৎপাদনে। সরকারের কাছে জনসাধারণ তেমনটিই প্রত্যাশা করে। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি ও বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকারের অকার্যকর পদক্ষেপ ইস্যুতে অর্থনৈতিক বিশ্লেষকরা যুগান্তরের কাছে এমন প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। তথ্যানুসন্ধানে দেখা গেছে, জনসাধারণের ক্রয়ক্ষমতা বৃদ্ধির হারের তুলনায় জ্যামিতিক হারে বাড়ছে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যসহ সবকিছুর দাম। কিন্তু এটিই বাস্তবতা। শুধু বাংলাদেশ নয়, সারা বিশ্বে একই ধারা বিরাজ করছে। আর অর্থনীতিতে এটিই স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। কেননা উৎপাদন খরচ বাড়লে বিক্রি মূল্য অবশ্যই বাড়বে। আবার সরবরাহের তুলনায় চাহিদা বেশি হলেও দাম বাড়বে। এ প্রসঙ্গে অর্থনৈতিক বিশ্লেষক জোর দিয়ে বলেন, জিনিসপত্রের দাম নির্ভর করে চাহিদা ও সরবরাহের ওপর। চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম হলে দাম বাড়বেই। এটা ঠেকানো যাবে না। এক্ষেত্রে সরকার কোনো পণ্যের দাম নির্ধারণ করে দিতে পারে না। যদি নির্ধারণ করে দেয়া হয় তা হবে ভুল পলিসি। কেননা এ পর্যন্ত যতবার এ ধরনের উদ্যোগ নিয়েছে তা ব্যর্থ হয়েছে। যেমন ভোজ্যতেল, চিনি ও পেঁয়াজের দাম বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে বহুবার বেঁধে দিলেও তা বাজারে কার্যকর হয়নি। বিশ্লেষকদের মতে, এসব কারণে উন্নত ও উন্নয়নশীল দেশগুলোতে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ চেষ্টা না করে জনগণের ক্রয়ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য নানামুখী উদ্যোগ নেয়া হয়। অথচ বাংলাদেশে তা না করে উল্টোপথ বেছে নেয়া হয়েছে। কিন্তু চলন্ত ট্রেনকে যেমন হাত দিয়ে থামানো যায় না, তেমনি মুক্তবাজার অর্থনীতির চাকাকে সরকার জোড়াতালি দিয়ে আটকাতে পারে না। ফলে জনসাধারণকে বারবার প্রতিশ্র“তি দিলেও রমজানসহ কোনো সময়ই সরকার কার্যত বাজারের লাগাম টেনে ধরতে পারছে না। এদিকে বাজারমূল্য বাড়ার পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, গত পাঁচ বছরে দেশে দ্রব্যমূল্য বেড়েছে লাগামহীনভাবে। কিন্তু পণ্যমূল্য বাড়ার সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাড়েনি মানুষের আয়। ফলে মানুষের ক্রয়ক্ষমতা কমেছে। পণ্যমূল্য বাড়লেই সরকার তা নিয়ন্ত্রণের ব্যর্থ চেষ্টা করে। কিন্তু ক্রয়ক্ষমতা বাড়িয়ে যে পণ্যমূল্য সহনীয় পর্যায়ে রাখা যায় সেদিকে সরকারের কোনো দৃষ্টি নেই। এতে একদিকে পণ্যমূল্য বাড়ছেই, অন্যদিকে ক্রয়ক্ষমতা কমে যাচ্ছে। এই প্রক্রিয়ায় দুই দিক দিয়েই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে মানুষ। এ প্রসঙ্গে পলিসি রিসার্চ ইন্সটিটিউটের নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর যুগান্তরকে বলেন, মুক্তবাজার অর্থনীতিতে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সরকার সরাসরি হস্তক্ষেপ করতে পারে না। করলেও তাতে কোনো ফল হয় না। তিনি বলেন, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে সরকার ও ব্যবসায়ীরা প্রায়ই এক টেবিলে বৈঠক করছে। তাতে অঙ্গীকারও থাকছে। দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ না করে তিনি মূল্যস্ফীতিকে নিয়ন্ত্রণের পরামর্শ দিয়েছেন। সংযত মুদ্রানীতি দিয়ে এই মুল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখার কথা বলেন। পর্যায়ক্রমে মূল্যস্ফীতি হার নামিয়ে আনতে পরামর্শ দিয়েছেন। পাশাপাশি মানুষের আয়ও বাড়াতে কার্যকর পন্থায় জাতীয় প্রবৃদ্ধি বাড়ানোর কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, মূল্যস্ফীতি এবং মূল্যস্ফীতির কর এই দুভাবেই মানুষের আয় খেয়ে ফেলা হচ্ছে। এটিকে নিয়ন্ত্রণে আনলে একদিকে যেমন মানুষের আয় না কমে ক্রয়ক্ষমতা বেড়ে যাবে, অন্যদিকে বাজারমূল্য থাকবে মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে। দেশের শীর্ষ স্থানীয় অর্থনীতিবিদ ও ব্যবসায়ীরা বলেছেন, মুক্তবাজার অর্থনীতিতে কোনো কিছুই নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়। সরকার নীতি প্রণয়ন করে বেসরকারি খাতকে সহায়তা করার সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। বিনিয়োগ বাড়িয়ে টেকসই ও মানসম্মত কর্মসংস্থান বাড়ার উদ্যোগ নিলে দ্রব্যমূল্য বাড়লেও মানুষের ক্রয়ক্ষমতায় তেমন আঘাত আসবে না। কিন্তু সরকার সে পথে না হেঁটে মুক্তবাজার অর্থনীতিকে অসহায় অবস্থায় প্রতিরোধের চেষ্টা করছে। কনজুমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) এক জরিপে ৫ বছরের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, ২০০৯ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত সময়ে গড়ে প্রতি বছর নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ও সেবার মূল্য বেড়েছে প্রায় ১২ শতাংশ হারে। এতে জীবনযাত্রার ব্যয় বছরে বেড়েছে ১০ দশমিক ৩২ শতাংশ হারে। অপরদিকে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) তথ্যানুযায়ী কৃষি, মৎস্য, শিল্পসহ ৫টি খাতে মজুরি বা গড় আয় বেড়েছে ১২ দশমিক ৯২ শতাংশ। অর্থাৎ ওই সময়ে জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়েছে প্রায় সাড়ে ১০ ভাগ আর স্বল্প আয়ের মানুষের আয় বেড়েছে প্রায় ১৩ ভাগ। আয় ও ব্যয়ের মধ্যে ব্যবধান হচ্ছে মাত্র দেড় শতাংশ। অর্থাৎ বছরে মোট আয়ের মাত্র দেড় শতাংশ বাড়তি থাকছে। এর বাইরে আরও রয়েছে অন্যান্য বাড়তি ব্যয় ও সামাজিক দায়বদ্ধতার খরচ। ওই খাতের ব্যয়ের হার এই দেড় শতাংশ দিয়ে মেটানো মোটেই সম্ভব হবে না। ফলে তাদের জীবনযাত্রার মানের সঙ্গে আপস করতে হচ্ছে। বাধ্য হয়ে কমাতে হচ্ছে খরচ। এর প্রভাব পড়ছে শিক্ষা ও খাদ্য ব্যয়ে। এই দুই খাতে ব্যয় কমায় জাতি হিসেবে পিছিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। ফলে জীবনযাত্রার মান কমছে। এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে। ক্রয়ক্ষমতা কমায় উৎপাদিত পণ্যের চাহিদা বাড়ছে না। ফলে একদিকে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে উৎপাদন খাত, অন্যদিকে দেশে পণ্যের চাহিদা বাড়ানো যাচ্ছে না। আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে বাংলাদেশের পণ্যের দামে ওঠানামা করে বলে ইচ্ছা করলেও পণ্যের দামে স্থিরতা বজায় রাখা সম্ভব হচ্ছে না। আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্যের দামে ওঠানামা করলে দেশের বাজারেও এর প্রভাব পড়ে। তখন ইচ্ছা করলেও পণ্যের দাম কোনো সীমার মধ্যে বেঁধে রাখা যায় না। বেড়ে যায় দাম। তখন ক্রেতাদের ক্রয়ক্ষমতা না বাড়ায় তারা চাহিদা অনুযায়ী পণ্য কিনতে পারে না। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয় ব্যবসা খাত। এ প্রেক্ষাপটে দেশের বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ও উদ্যোক্তারা বলছেন, দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য ও অভ্যন্তরীণ বাজারের সরবরাহ ও চাহিদার মধ্যে ভারসাম্য রাখতে ভোক্তাদের ক্রয়ক্ষমতা অবশ্যই বাড়াতে হবে। এর জন্য স্থায়ী ব্যবস্থা হিসেবে ভোক্তাদের মানসম্পন্ন টেকসই কর্মসংস্থান ও মজুরি বাড়াতে হবে। এর সঙ্গে সমন্বয় রেখে বাড়াতে হবে সরবরাহ। এই দুইয়ের মধ্যে সমন্বয় না রাখলে বাজারে পণ্যের জোগান ও চাহিদার মধ্যে কখনও ভারসাম্য আসবে না। এটি না হলে দেশের শিল্প ও ব্যবসা খাতের টেকসই বিকাশ হবে না। বিবিএসের আয় বৃদ্ধি সংক্রান্ত সর্বশেষ জরিপে দেখা যায়, ২০১২-১৩ অর্থবছরে শিল্প খাতে কর্মরত শ্রমিকদের মাসিক গড় আয় ৭ হাজার ৯৭৮ টাকা। ৫ বছর আগে অর্থাৎ ২০০৮-০৯ অর্থবছরে এই আয়ের পরিমাণ ছিল ৬ হাজার ১২৮ টাকা। প্রতি বছর গড়ে আয় বেড়েছে ১২ দশমিক ৯২ শতাংশ হারে। কৃষি শ্রমিকদের ২০০৮-০৯ অর্থবছরে গড় আয় ছিল ৪ হাজার ২৭৪ টাকা। সর্বশেষ এই আয় হয়েছে ৭ হাজার ৪৪৮ টাকা। ৫ বছরে এই খাতে গড় আয় বেড়েছে ১৬ দশমিক ২২ শতাংশ। ওই সময়ে এর চেয়ে বেশি হারে বেড়েছে পণ্যমূল্য। এটা শুধু সরকারি হিসাব। এর বাইরে পণ্য পরিবহনে চাঁদাবাজি, যানজটে আটকে থাকা, হরতাল-ধর্মঘটে পণ্য পচে যাওয়া, সহিংসতায় পণ্য নষ্ট হওয়া এসব ক্ষয়ক্ষতিজনিত কারণে পণ্যের দামে যে প্রভাব পড়ে তা সরকারি হিসাবে নেই। ফলে সরকারের হিসাবের চেয়ে ব্যয় আরও বেশি। বর্তমান বাজারে পণ্যমূল্য বৃদ্ধি পাওয়াটা আন্তর্জাতিক বাজারের ওপর অনেকটা নির্ভরশীল। চাহিদা, সরবরাহ ও উৎপাদনের ওপর নির্ভর করে আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্যের দাম ওঠানামা করে। এর সঙ্গে সমন্বয় রেখে পণ্যের দাম ওঠানামা করে দেশীয় বাজারে। ফলে কোনোক্রমেই পণ্যের দাম নির্দিষ্ট একটি ছকে রাখা যাচ্ছে না। এদিকে কিছু খাতে মজুরি বেশি বাড়লেও বিশেষ করে নিু আয়ের মানুষের মজুরি বাড়ছে না। ফলে তাদের আয়ের চেয়ে ব্যয়ের মাত্রা বেড়ে যাচ্ছে। এ প্রসঙ্গে সরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) মহাপরিচালক ড. এমকে মুজেরি যুগান্তরকে বলেন, মানুষের ক্রয়ক্ষমতা নির্ভর করে তার আয়ের ওপর। আয় বেশি হলে ক্রয়ক্ষমতা বাড়বে। এটিই প্রধানতম উপায়। তিনি আরও বলেন, আয় বাড়ানোর উপায় অনেকটা চক্রাকার বৃত্তে আবর্তিত। সেখানে প্রধান উপায় হচ্ছে ব্যাপকভিত্তিক মানসম্পন্ন কর্মসংস্থান তৈরি ও কর্মসংস্থান সহায়ক জাতীয় প্রবৃদ্ধির পথ প্রশস্ত করা। এজন্য শিল্পায়নের প্রসার ঘটিয়ে বিভিন্ন খাতে উৎপাদন বাড়াতে হবে। অবশ্য এর জন্য প্রচুর বিনিয়োগ প্রয়োজন হবে। বিশেষ করে বেসরকারি খাতের বিনিয়োগ বাড়াতে হবে। তিনি আরও বলেন, বিনিয়োগ বাড়াতে হলে দেশে বিনিয়োগ সহায়ক পরিবেশ বজায় রাখতে হবে। তাহলেই বিনিয়োগ হবে এবং ব্যাপকভিত্তিক কর্মসংস্থানের মাধ্যমে মানুষের আয় বাড়বে। মানুষের আয় না বাড়িয়ে ভর্তুকি দিয়ে সমাজে দারিদ্র্য বিমোচন করা যাবে না। বিবিএসের তথ্যানুযায়ী নির্মাণ খাতে শ্রমিকদের ২০০৮-০৯ সালে গড় আয় ছিল ৪ হাজার ৩১১ টাকা, ২০১২-১৩ অর্থবছরে আয় দাঁড়িয়েছে ৭ হাজার ৬৮৪ টাকা। এই সময়ে বছরপ্রতি গড় আয় বেড়েছে ১৭ দশমিক ৩১ শতাংশ। মৎস্য খাতের গড় আয় ৫ বছরে ৪ হাজার ২৩৬ টাকা থেকে বেড়ে ৬ হাজার ২১ টাকায় উঠেছে। সাধারণ শ্রমিকদের গড় আয় ৫ বছরে ৫ হাজার ২৬ টাকা থেকে বেড়ে ৭ হাজার ৪২২ টাকায় দাঁড়িয়েছে। কৃষি, শিল্প, নির্মাণসহ ৫টি খাতের শ্রমিকদের মজুরি বা আয় বৃদ্ধির হার খুব অপ্রতুল। এই আয় বৃদ্ধি দিয়ে জীবনযাত্রার ব্যয়ের সঙ্গে তাল মেলাতে পারছে না। কারণ ওই হারে বিনিয়োগ না হওয়ায় কর্মসংস্থান বেশি হয়নি। ফলে মানুষের আয়ও খুব বেশি বাড়েনি। ২০০৯ থেকে ২০১৩ এই সময়ে দ্রব্যমূল্য প্রতি বছর গড়ে প্রায় ১২ শতাংশ বেড়েছে। যে কারণে অপর্যাপ্ত আয় বাড়লেও ব্যয় সামাল দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। এদিকে ব্যবসায়ীর একটি প্রবণতা থাকে বাড়তি মুনাফা করার। তারা মুনাফার আশায়ই পণ্য উৎপাদন ও আমদানি করে। ফলে চাহিদা বাড়লেই পণ্যের দাম বেড়ে যায়। এক গবেষণায় দেখা গেছে, মানুষের আয়ের ৬৫ শতাংশ ব্যয় হচ্ছে খাদ্যের পেছনে। ফলে খাদ্যপণ্যের দাম বৃদ্ধি সবচেয়ে বড় আঘাত হিসেবে আসছে আয়ের ওপর। কিন্তু আয় বাড়াতে বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান সৃষ্টির ক্ষেত্রে বড় ধরনের কোনো ভূমিকা থাকছে না। দেশী ও বিদেশী বিনিয়োগের খরা কাটছে না। বিনিয়োগ না বাড়ায় বেকার সংখ্যার বিপরীতে আশানুরূপ কর্মসংস্থান হচ্ছে না। এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ যুগান্তরকে বলেন, আয় বাড়াতে হলে ব্যাপক কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে হবে। এজন্য দেশে বেকারের চেয়ে কর্মসংস্থানের সুযোগ থাকতে হবে বেশি। তাহলে ভোক্তারা কাজের ক্ষেত্র পরিবর্তন করে প্রতিযোগিতামূলক আয়ের পথে এগোতে পারবে। বর্তমানে কর্মসংস্থানের সুযোগ কম থাকায় তাদের পক্ষে এটি করা সম্ভব হচ্ছে না। তিনি আরও বলেন, সরকার সেভাবে কর্মসংস্থানের পরিবেশ সৃষ্টি করতে না পারায় কর্মক্ষম বেকারের সংখ্যা বেড়েই চলেছে।  

No comments:

Post a Comment