Thursday, July 24, 2014

মন্ত্রী-এমপিদের বিতর্কিত কর্মকাণ্ড থামছে না:নয়াদিগন্ত

একের পর এক বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ছেন সরকারের মন্ত্রী-এমপিরা। নিজ দলের নেতাকর্মীদের নৃশংসভাবে হত্যা, গুম, সাংবাদিক পেটানো, প্রকৌশলীকে চড়-থাপ্পড়, প্রকাশ্যে ঘুষ দাবি, সোনার নৌকা উপহার নেয়া, সংবর্ধনার নামে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের ঘণ্টার পর ঘণ্টা রোদে দাঁড় করিয়ে রাখা, একে-অপরকে সরাসরি আক্রমণসহ নানাভাবে সমালোচিত হচ্ছেন তারা। সংসদের হুইপ ও সিনিয়র মন্ত্রী থেকে শুরু করে একেবারেই নবীন এমপিরাও বাদ যাচ্ছে
ন না এসব কাজ থেকে। সর্বশেষ যৌনপল্লী উচ্ছেদকারীদের শিরñেদ দাবি করে এ বিতর্কে জড়ালেন সমাজকল্যাণমন্ত্রী সৈয়দ মহসিন আলী। এর আগেও বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে একাধিকবার বিতর্কে জড়ান তিনি। এ ছাড়া দেশের বেহাল সড়ক ও মহাসড়কগুলো নিয়ে সম্প্রতি নানা ধরনের বক্তব্য দিয়ে আলোচনা আর সমালোচনার খোরাক বনে যান যোগযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। শুধু দশম সংসদই নয়, এর আগের সংসদের অনেক প্রভাবশলী মন্ত্রী-এমপিও একইভাবে বিতর্কে জড়ান। এতে নানা সময়ে বিব্রতকর অবস্থায় পড়তে হয়েছে সরকারকে। বিষয়টি স্বীকার করে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ এমপি নয়া দিগন্তকে বলেন, আওয়ামী লীগ গণমানুষের দল। তাই কোনো মন্ত্রী-এমপি গণমানুষের বিপক্ষে কোনো কর্মকাণ্ডে জড়ালে তা সরকারের জন্যও বিব্রতকর। মন্ত্রী, এমপি বা দলের দায়িত্বশীল ব্যাক্তিদের এসব বক্তব্য একান্তই তাদের ব্যক্তিগত, সরকারের নয়। তবে এসব নেতাকর্মীকে কখনোই আওয়ামী লীগ প্রশ্রয় দেয় না। এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার কঠোর হুঁশিয়ারি রয়েছে। দলের সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এমপি বলেন, এত বড় দলে দু-একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটতেই পারে। তবে যারা নেতিবাচক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ছেন তাদের আওয়ামী লীগ বা সরকার কোনোভাবেই গ্রহণ করছে না। সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, এবার সরকার গঠনের পর মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকেই কোনো ধরনের বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে না জড়াতে মন্ত্রী-এমপিদের সতর্ক করে দেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর সেই নির্দেশনা উপেক্ষা করে সরকারের মন্ত্রী, সংসদের হুইপ ও দলীয় এমপিরা একের পর এক অঘটন ঘটিয়ে চলেছেন। তাদের সেসব অপকর্মে ইতোমধ্যেই দলীয় নেতাকর্মীসহ সাধারণ মানুষের মধ্যে সরকার সম্পর্কে বিরূপ ধারণার সৃষ্টি হয়েছে। আর সরকারও বারবার বেকায়দায় পড়েছে। সর্বশেষ এ বিতর্কে জড়ালেন সমাজকল্যাণ মন্ত্রী সৈয়দ মহসিন আলী। গত মঙ্গলবার সচিবালয়ে এক আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠকে সম্প্রতি টাঙ্গাইলে যৌনপল্লী উচ্ছেদকারীদের শিরñেদ দাবি করে এই মন্ত্রী বলেন, ‘প্রাচীন এই যৌনপল্লী যেসব মাওলানা উচ্ছেদ করেছেন তাদের সৌদি আরবের আইনে শিরñেদ করা উচিত’। এ সময় নারায়ণগঞ্জে সাত খুনের ঘটনার জন্য মিডিয়ার সমালোচনা করে তিনি আরো বলেন, ‘ওই ঘটনা নিয়ে মিডিয়া অনেক বাড়াবাড়ি করেছে। তাই সরকার মিডিয়া নিয়ন্ত্রণের জন্য নতুন আইন করছে।’ গতকাল সকালে নগরীর সমাজসেবা অধিদফতর মিলনায়তনে নিউরো-ডেভেলপমেন্টাল প্রতিবন্ধী সুরা ট্রাস্টি বোর্ডের পরিচিতি সভায় অধিকাংশ সময় ঘুমিয়ে কাটান তিনি। সভায় প্রতিবন্ধীবিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হলেও কখনো কপালে হাত, কখনো ডান হাতের ওপরে মাথা, কখনো আবার বাম হাতের ওপরে মাথা রেখে ঘুমিয়েছেন অনুষ্ঠানের এই প্রধান অতিথি। বিষয়টিকে ভালো চোখে দেখেননি মন্ত্রীর পাশে বিশেষ অতিথির আসনে বসা অটিজম ও নিউরো-ডেভেলপমেন্টাল ডিসঅর্ডার জাতীয় উপদেষ্টা কমিটির সভাপতি প্রধানমন্ত্রীকন্যা সায়মা ওয়াজেদ হোসেন পুতুলসহ অন্যান্য অতিথিও। তবে এ দৃশ্য ক্যামেরাবন্দী করতে গেলে সাংবাদিকদের বাধা দিয়ে মন্ত্রীর জনসংযোগ কর্মকর্তা মাইদুল ইসলাম প্রধান বলেন, ‘মন্ত্রী প্রোগ্রামে গেলে এভাবেই ঘুমায়। মানুষের তন্দ্রা ভাব আসতেই পারে। তাই বলে ছবি তোলা এবং ছাপানো সাংবাদিকের কোনো ইথিক্সে পড়ে না।’ এর আগেও আলোচিত এই মন্ত্রী সিলেটে বিজিবি স্কুলে শিার্থীদের এক অনুষ্ঠানে মঞ্চে বসে প্রকাশ্যে ধূমপান করে প্রবল সমালোচনার মুখে পড়েন। বিভিন্ন মিডিয়ায় তার সেই ছবি প্রকাশ করা হলে বিপাকে পড়ে সরকার। একপর্যায়ে সেই আচরণের জন্য মাপ্রার্থনা করেন সমাজকল্যাণমন্ত্রী। তবে বিতর্ক পিছু ছাড়েনি এই মন্ত্রীর। সিগারেট কেলেঙ্কারির পর পাসপোর্টবিহীন তিন সঙ্গী নিয়ে ভারত সফরে যান তিনি। মন্ত্রিত্বের জোরে বাংলাদেশ ইমিগ্রেশন তাদের ছেড়ে দিলেও ভারতীয় ইমিগ্রেশন তাদের আটকে দেয়। মন্ত্রীকে ছাড়া মন্ত্রীর তিন সঙ্গীকে ফেরত পাঠায় আসাম। এ নিয়ে আসামের একটি দৈনিক পত্রিকা ফলাও করে রিপোর্ট প্রকাশ করলে আবারো আলোচনায় আসেন তিনি। সম্প্রতি সারা দেশে বেহাল রাস্তাঘাট সংস্কার নিয়ে নানা ধরনের বক্তব্য দিয়ে আলোচনায় আসেন যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। জরাজীর্ণ রাস্তাঘাট নিয়ে মিডিয়া গতবারের ছবি দিয়ে অসত্য রিপোর্ট প্রকাশ করছে দাবি করে মিডিয়ার হেদায়েত কামনা করেন তিনি। এর আগে বিআরটিএর এক কর্মকর্তাকে প্রকাশ্যে থাপ্পড় মেরে সমালোচিত হন ‘ফাটা কেস্ট’ খেতাব পাওয়া এই মন্ত্রী। তবে ‘একতরফা’ নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার গঠনের পর সবচেয়ে লোমহর্ষক ঘটনা ঘটে রাজধানীর মিরপুরের বিহারিপল্লীতে। প্রকাশ্য দিবালোকে আগুন দিয়ে নয়জন ও গুলি করে একজন বিহারিকে নৃশংসভাবে হত্যা করে স্থানীয় সরকারদলীয় এমপি ইলিয়াস মোল্লার সমর্থকেরা। এমপির নির্দেশে বিহারিদের জমি দখল করতে গিয়েই জঘন্য এ হত্যাকাণ্ড চালানো হয় বলে অভিযোগ করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এর আগে নারায়ণগঞ্জে সরকার সমর্থিত প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলামসহ সাতজনকে অপহরণের পর হত্যা করে নদীতে ফেলে দেয়া হয়, যা সারা দেশে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনামন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়ার জামাতা র‌্যাব কর্মকর্তা তারেক সাঈদকে ইতোমধ্যে গ্রেফতার করা হয়েছে। মামলার প্রধান আসামি আরেক আওয়ামী লীগ নেতা নূর হোসেনকে ভারতে পালিয়ে যেতে সহায়তা করে নতুন করে আলোচনার জন্ম দেন স্থানীয় এমপি শামীম ওসমান। এতে নৃশংস এ হত্যাকাণ্ডের সাথে তারও সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ ওঠে। নারায়ণগঞ্জের ঘটনার রেশ কাটতে-না-কাটতে ফেনীর ফুলগাজী উপজেলা চেয়ারম্যান ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা একরামকে গুলি করে এবং গাড়িসহ পুড়িয়ে মেরে নতুন করে আলোচনায় আসেন ফেনীর নব্য গডফাদার বনে যাওয়া নিজাম হাজারী এমপি। পরপর এ দু’টি ঘটনায় ব্যাপক চাপের মুখে পড়ে সরকার। সম্প্রতি ময়মনসিংহে এক কলেজশিক্ষককে নিজ কর্র্মীদের দিয়ে প্রকাশ্যে দিগম্বর এবং নিজ দলের কর্মীদের মাথা ন্যাড়া করে দিয়ে আলোচনায় আসেন সাবেক স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী মজিবুর রহমান ফকির এমপি। এ ঘটনায় দেশজুড়ে নিন্দার ঝড় বয়ে যায়। স্থানীয় শিক্ষক, শিক্ষার্থীসহ সাধারণ মানুষ সরকারদলীয় এ এমপির শাস্তি দাবিতে এখনো আন্দোলন অব্যাহত রেখেছেন। সাবেক ছাত্রলীগ নেতারাও মজিবুর রহমান ফকিরের শাস্তি দাবিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে স্মারকলিপি দেন। এর আগে নতুন মন্ত্রিসভা গঠনের পরই সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সোনার নৌকা উপহার নিয়ে ব্যাপক হইচই ফেলে দেন রাজশাহীর এমপি ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম। পরে নানা সমালোচনার মুখে তিনি ওই নৌকা একটি এতিমখানায় দান করার ঘোষণা দিয়ে আপাতত পার পান। এর পরই সংসদে চিফ হুইপের দায়িত্ব পেয়ে আ স ম ফিরোজ নিজ নির্বাচনী এলাকার মানুষের দেয়া সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রকাশ্যে ঘুষ দাবি করে বলেন, ‘ক্রেস্ট চাই না, এবার ক্যাশ চাই, ক্যাশ’। তার এ ঘোষণায় রীতিমতো নির্বাক বনে যান উপস্থিত নেতাকর্মীসহ সাধারণ মানুষ। দেশব্যাপী নিন্দার ঝড় ওঠে। এর আগেও একাধিকবার হুইপের দায়িত্ব পালনকারী এ রাজনীতিকের বক্তব্যে চরম বিব্রতকর পরিস্থিতির মুখে পড়ে সরকার। নানা সময়ে নানা ধরনের বক্তব্য দিয়ে রাজনীতিতে বহুল আলোচিত সরকারের ডাক টেলিযোগাযোগমন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকী গত ২৮ মার্চ নিজ বাড়িতে ডেকে নিয়ে বিদ্যুৎ বিভাগের একজন উপসহকারী প্রকৌশলীকে পিটিয়ে মারাত্মক জখম করেন। এর বিচার দাবিতে আন্দোলনে নামেন প্রকৌশলীরা। সরকারের একজন দায়িত্বশীল মন্ত্রীর এমন আচরণে সাধারণ মানুষও ব্যাপক ুব্ধ হন। চাঁপাইনবাবগঞ্জ আসনের সরকারদলীয় সংসদ সদস্য আবদুল ওয়াদুদ নিজ উপজেলা শিা অফিসারের কে এমরান ফারুক নামে এক সাংবাদিককে ব্যাপক মারধর করেন। সাংবাদিক পেটানোর এ কথা অকপটে স্বীকারও করেন সংসদ সদস্য আবদুল ওয়াদুদ। এ ঘটনার প্রতিবাদে চাঁপাইনবাবগঞ্জের সাংবাদিকেরা ওই এমপিকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে তার সব ধরনের সংবাদ বর্জনের ঘোষণা দেন। এ ছাড়া প্রকাশ্যে বিতণ্ডায় জড়িয়ে নতুন করে সবার নজর কাড়েন সরকারের অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত ও পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল (লোটাস কামাল)। তাদের প্রকাশ্য বিরোধে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ এবং সরকারের নানা মহলে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনার জন্ম দেয়। পরিকল্পনা কমিশনের জনসংযোগ কর্মকর্তার কক্ষে সংশোধিত এডিপি নিয়ে অর্থমন্ত্রীর দেয়া চিঠির প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে পরিকল্পনামন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, ‘উনি (অর্থমন্ত্রী) আমাকে অনুধাবন করতে বলেছেন। আমি তো ওনার সহকর্মী, অধীন নই। উনি প্রতি বছর বিশাল বাজেট দেন। হাজার হাজার কথা বলেন। কিন্তু অনেক কিছুই বাস্তবায়ন করতে পারেন না। বাজেট বক্তব্য দিতে দিতে উনি শুয়ে পড়েন। আমি হলে ১৫ পাতায় বাজেট শেষ করে দিতাম। তবে এটা ঠিক যে ওনার বয়স হয়েছে। অনেক কিছু ভুলভাল বলেন। আমরা মাফ করে দেই।’ পরিকল্পনামন্ত্রীর এমন তীর্যক মন্তব্যের পর মঙ্গলবার সচিবালয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালকে ‘শিষ্টাচার’ মেনে চলার পরামর্শ দিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘মন্ত্রীদের শিষ্টাচারের একটা লেভেল মেনে চলা উচিত’। এ ছাড়া এমপিদের সংবর্ধনার জন্য শিশুদের রাস্তায় দাঁড় না করাতে শিা মন্ত্রণালয় থেকে পরিপত্র জারি করা হলেও কোনো মন্ত্রী-এমপি তার তোয়াক্কা করছেন না। সরকারের একাধিক মন্ত্রী-এমপির সংবর্ধনার নামে কোমলমতি শিার্থীদের রাস্তায় দাঁড় করিয়ে রাখেন। রোদ, ধুলাবালুযুক্ত পরিবেশে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থেকে শিশুরা অসুস্থ হয়ে যাওয়ার খবরও গণমাধ্যমে প্রকাশ হয়েছে একাধিকবার। এর আগেও গত সরকারের যোগাযোগমন্ত্রী আবুল হোসেন পদ্মা সেতু, রেলমন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত ঘুষ কেলেঙ্কারি, অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদল মুহিত শেয়ারবাজার এবং কক্সবাজারের এমপি আবদুর রহমান বদি, মিরপুরের আসলামুল হক আসলাম, কামাল আহমেদ মজুমদারসহ অনেক মন্ত্রী-এমপি সাংবাদিক পেটানো, টিআর-কাবিখা লুটপাট, সরকারি জমি, নদীনালা দখলসহ নানা বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে জড়ান। এতে বারবার বিব্রত হতে হয় সরকারকে। এ ব্যাপারে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এমপি নয়া দিগন্তকে বলেন, যেকোনো নেতিবাচক ঘটনায় দল ও সরকার বিব্রত হতে পারে। তবে যা ঘটেছে তা একেবারেই বিচ্ছিন্ন ঘটনা। যারা এসব কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ছেন তাদের আওয়ামী লীগ বা সরকার কোনোভাবেই গ্রহণ করছে না। এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কঠোর নির্দেশনা রয়েছে। দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও প্রধানমন্ত্রীর সাবেক বিশেষ সহকারী মাহাবুব-উল আলম হানিফ এমপি বলেন, আওয়ামী লীগ গণমানুষের দল এবং তাদের আস্থা নিয়ে সরকার পরিচালনা করে আসছে। তাই যেটা সাধারণ মানুষের কাছে খারাপ সেটা দল ও সরকারের জন্যও বিব্রতকর। তবে এসব বিষয় কখনোই আওয়ামী লীগ প্রশ্রয় দেয় না। জনমানুষের বিপক্ষে অবস্থানকারী মন্ত্রী এমপিদের ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সব সময় কঠোর অবস্থানে রয়েছেন।

No comments:

Post a Comment