তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে গাজীপুর সদর হাসপাতাল চত্বরে গতকাল দুপুরে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে গুলাগুলি হয়েছে। এ ঘটনায় ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে গাজীপুর শহর ছাত্রলীগের আহ্বায়ক শেখ মোস্তাক আহমেদ কাজলকে আটক করেছে। গাজীপুর সিটি করপোরেশনের গাছা ইউনিট ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মশিউর রহমান মশি জানান, ছাত্রলীগের গাছা ইউনিটের সদস্য সাদ্দাম হোসেন (২৭) বোর্ডবা
জার এলাকা থেকে মোটরসাইকেলে ধীরাশ্রম হয়ে জেলা শহরে যাচ্ছিলেন। ধীরাশ্রম এলাকায় স্থানীয় ছাত্রলীগ কর্মী পলাশ তার সহযোগীদের নিয়ে সাদ্দামের গতিরোধ করে। তাদের মধ্যে কথাকাটাকাটির একপর্যায়ে পলাশ তার সঙ্গীদের নিয়ে সাদ্দামকে বেধড়ক মারধর করে রক্তাক্ত অবস্থায় রেখে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে গাজীপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। খবর পেয়ে গাছা ইউনিট ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মশিউর রহমান মশি ও তার সহযোগীরা হাসপাতালে আহত সাদ্দামকে দেখতে যান। গাজীপুর শহর যুবলীগের সদস্য সুমন মোল্লা জানান, তার বাড়ির এক ভাড়াটিয়াকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যান। এ সময় তিনি হাসপাতালের জরুরি বিভাগের বেডে আহত সাদ্দামকে দেখতে পান। তিনি সাদ্দামের কাছে যাওয়া মাত্রই মশির সহযোগীরা সুমনের ওপর চড়াও হয়। পরে সুমন মোল্লা এ খবর গাজীপুর শহর ছাত্রলীগের আহ্বায়ক কাজলকে মোবাইলে জানান। কাজল ৮-১০ জন সহযোগী নিয়ে গাজীপুর সদর হাসপাতালের গেটে পৌঁছা মাত্র চার-পাঁচ রাউন্ড গুলির শব্দ শুনতে পান। সুমন জানান, মশিউর রহমান মশি তার লাইসেন্সকৃত শর্টগান দিয়ে একাধিক ফাঁকা গুলি করে। এ সময় তার সহযোগীরাও পিস্তল দিয়ে কয়েক রাউন্ড গুলিবর্ষণ করে এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি করে। মশিউর রহমান গুলি করার কথা অস্বীকার করে সাংবাদিকদের বলেন, কাজল, সুমন ও তার সহযোগীরাই হাসপাতালের সামনে গুলিবর্ষণ করেছে। এ ছাড়া সাদ্দামের ওপর হামলাকারী পলাশের সাথে তাদের পূর্বপরিচয় রয়েছে। খবর পেয়ে জয়দেবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এস এম কামরুজ্জামান ঘটনাস্থলে গিয়ে কাজলকে আটক করে থানায় নিয়ে আসেন। তিনি জানান, এ ব্যাপারে কেউ লিখিত অভিযোগ দেননি। অভিযোগ দিলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
No comments:
Post a Comment