এক দিনে সর্বোচ্চ সংখ্যক ছয় হাজার ১৫১ জন বিসিএস ডাক্তার কাজে যোগদান করলেন গতকাল বৃহস্পতিবার। এটি বাংলাদেশ সরকারি কর্মকমিশনের ইতিহাসে বিরল ঘটনা। স্বাস্থ্য মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমের উপস্থিতিতে এ সর্বোচ্চসংখ্যক চিকিৎসক যোগদান করলেন। সকাল ৭টা থেকে ডাক্তারদের নিয়োগ কার্যক্রম শুরু হয়। এ জন্য খোলা হয় ৩৫টি বুথ। এর আগে আওয়ামী লীগ সরকারের সময় সর্বোচ্চসংখ্যক ডাক্তার নিয়োগ দেয়া হয় অ্যাডহক ভিত্তিতে। সরকারি ক
র্ম কমিশনকে (পিএসসি) পাশ কাটিয়ে অ্যাডহক ভিত্তিতে নিয়োগ দেয়ায় ওই নিয়োগ প্রক্রিয়াটি যথেষ্ট সমালোচিত হয়। স্বাস্থ্যসচিব এম এম নিয়াজ উদ্দিনের সভাপতিত্বে যোগদান অনুষ্ঠানে সাবেক স্বাস্থ্য মন্ত্রী অধ্যাপক ডা. আ ফ ম রুহুল হক, স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেক, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. দীন মো: নুরুল হক, বিএমএ মহাসচিব অধ্যাপক ডা: ইকবাল আর্সলান প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। নতুন নিয়োগপ্রাপ্ত এ চিকিৎসকদের আগামী এক সপ্তাহের মধ্যেই পদায়ন করা হবে। সাধারণত প্রতিটি নবীন চিকিৎসককে তার নিজ থানায় পদায়ন করা হয় ব্যতিক্রম না হলে। এখান থেকে অনেকেই উচ্চশিক্ষার জন্য চলে আসেন ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন পোস্ট গ্রাজুয়েশন মেডিক্যাল ইনস্টিটিউশনে। আর কিছু আছে কেবল দলীয় প্রভাব খাটিয়ে কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকেন বছরের পর বছর। কেবল মাসে একবার কর্মস্থলে গিয়ে হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করে আসেন। সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী আ ফ ম রুহুল হককে সংসদেও এসব কথা বলে নিজের ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা গেছে। নতুন ডাক্তারদের উদ্দেশ্যে স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেন, যাদের যে স্থানে পদায়ন করা হবে, আগামী দুই বছর বাধ্যতামূলকভাবে তাদের সে স্থানে থেকে জনগণকে চিকিৎসা সেবা দিতে হবে। দুই বছরের আগে নতুন নিয়োগ পাওয়া চিকিৎসেরা নিজ কর্মস্থল থেকে বদলী হতে পারবেন না। যারা এর ব্যত্যয় ঘটাবেন তাদের কোনো ছাড় দেয়া হবে না। দুই বছর পরে তাদের সুবিধাজনক পদায়ন এবং প্রয়োজনে উন্নত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থাও করা হবে বলে জানান তিনি। কথায় কথায় ধর্মঘট না ডাকারও আহবান জানিয়েছেন নতুন ডাক্তারদের প্রতি স্বাস্থ্যমন্ত্রী। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় সেশনে নতুন চিকিৎসকদেরকে অটিজম বিষয়ে ধারণা দেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ডা: প্রাণ গোপাল দত্ত। গতকাল স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, সিরাজগঞ্জ, গাজীপুর ও নোয়াখালী মেডিক্যাল কলেজের নতুন নামকরণ করা হয়েছে। গত ৬ আগস্ট তিনটি পৃথক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে এ নামগুলো পরিবর্তন করা হয়। সিরাজগঞ্জ মেডিক্যাল কলেজের নতুন নাম হবে শহীদ এম মনসুর আলী মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল, গাজীপুর মেডিক্যাল কলেজের নতুন নাম হবে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল এবং নোয়াখালী মেডিক্যাল কলেজের নতুন নাম হবে আব্দুল মালেক উকিল মেডিক্যাল কলেজ।
No comments:
Post a Comment