Thursday, September 4, 2014

খালেদার দুই মামলার শুনানি পিছিয়েছে:প্রথম অালো

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও তাঁর ছেলে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে করা জিয়া অরফানেজ ও চ্যারিটেবল ট্রাস্টের অর্থ আত্মসাৎ মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণের শুনানি আবার পিছিয়েছেন আদালত। ১০ সেপ্টেম্বর পরবর্তী তারিখ ধার্য করা হয়েছে। খালেদা জিয়ার পক্ষে করা সময় আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল বুধবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৩-এর বিচারক বাসুদেব রায় এ দিন ধার্য করেন। মামলা দুটিতে সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য ছিল। বেলা এ
কটার দিকে খালেদা জিয়া বকশীবাজারের আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে স্থাপিত বিশেষ এজলাসে হাজিরা দিতে আসেন। খালেদা জিয়ার হাজিরা উপলক্ষে গতকাল দুপুরে বিএনপির বিপুলসংখ্যক নেতা-কর্মী সেখানে জড়ো হন। তাঁদের বকশীবাজার মোড়ে আটকে দেয় পুলিশ। এটাকে কেন্দ্র করে বিএনপির নেতা-কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ বাধে। পুলিশ তাঁদের লাঠিপেটা করে ও কাঁদানে গ্যাস ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এদিকে খালেদা জিয়ার ওপর হামলা হয়েছে বলে গুজবে বগুড়ায় বিএনপির কর্মীরা বিক্ষোভ করেন। এ সময় বিএনপি ও আওয়ামী লীগ পাল্টাপাল্টি একে অন্যের কার্যালয়ে হামলা চালায়। এ ঘটনায় বিএনপি আজ বৃহস্পতিবার বগুড়ায় আধা বেলা হরতাল ডেকেছে। বিক্ষোভ কর্মসূচি: সন্ধ্যায় বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী অভিযোগ করেন, বকশীবাজারে খালেদা জিয়াকে স্বাগত জানাতে আসা বিএনপির কর্মীদের ওপর পুলিশ হামলা চালিয়ে ২৫ জনকে আহত করেছে। এর প্রতিবাদে আজ বৃহস্পতিবার রাজধানী বাদে সারা দেশে মহানগর ও জেলা পর্যায়ে বিক্ষোভের কর্মসূচি দিয়েছে বিএনপি। আদালতে খালেদা: খালেদা জিয়া আদালতের এজলাসে রক্ষিত একটি চেয়ারে বসেন। তাঁর আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন আদালতকে বলেন, এই আদালতের বিচারক নিয়োগের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে উচ্চ আদালতে আবেদন করা হয়েছে। তা শুনানির অপেক্ষায় আছে। সেটা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত সময় প্রয়োজন। এর বিরোধিতা করে দুদকের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন আদালতকে বলেন, আসামিপক্ষ একই বিষয়ে ইতিপূর্বে একাধিকবার সময় নিয়েছেন। উচ্চ আদালত মামলার কার্যক্রমের ওপর কোনো স্থগিতাদেশ দেননি। তাই সাক্ষ্য গ্রহণ করার ক্ষেত্রে আইনগত কোনো বাধা নেই। শুনানি শেষে আসামিপক্ষের সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে পরবর্তী তারিখ ধার্য করেন আদালত। আসামিপক্ষে শুনানিতে অংশ নেন মাহবুব উদ্দিন খোকন, সানাউল্লাহ মিয়া, মহসীন মিয়া, মোসলেহ উদ্দিন প্রমুখ। মামলা: জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে ২০০৮ সালের ৩ জুলাই দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) মামলা করে। ২০০৯ সালের ৫ আগস্ট খালেদা জিয়া, তাঁর ছেলে তারেক রহমানসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয় দুদক। অপর মামলাটিও দুদক করে। জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে অর্থ লেনদেনের অভিযোগ এনে ২০১১ সালের ৮ আগস্ট খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে তেজগাঁও থানায় মামলাটি হয়। ২০১২ সালের ১৬ জানুয়ারি অভিযোগপত্র দেয় দুদক। এ দুটিসহ খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে পাঁচটি মামলা রয়েছে। তাঁর বড় ছেলে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে ১৭টি ও ছোট ছেলে আরাফাত রহমানের বিরুদ্ধে সাতটি মামলা রয়েছে। এ ছাড়া তারেক রহমানের স্ত্রী জোবাইদা রহমানও স্বামীর সঙ্গে দুদকের একটি মামলার আসামি।

No comments:

Post a Comment